জেলার গোমস্তাপুর উপজেলার তিনটি গ্রামে ‘জঙ্গি আস্তানা’ সন্দেহে তিন বাড়ি ঘিরে অবস্থান নেয়া দুই বাড়ির অভিযান সম্পন্ন করেছে র্যাব।
র্যাবের অভিযানে চানপাড়া গ্রামের পর চকপোস্তুম গ্রামের ইজাবুল হকের বাড়িতে কিছু মেলেনি।
বুধবার সকাল ৮টায় চানপাড়া গ্রামের আবদুল মজিদের বাড়িতে ‘জঙ্গি আস্তানা’ সন্দেহে প্রথমে অভিযান চালায় র্যাব।
অভিযানের পর র্যাব জানায়, ওই বাড়িটি থেকে জঙ্গি সদস্য বা কোনো অস্ত্র-বিস্ফোরক মেলেনি। তবে বাড়ির মালিক আবদুল মজিদকে সন্দেহভাজান হিসেবে (৪২) আটক করেছে র্যাব। মজিদ ওই বাড়ির তৌবরুল হকের ছেলে।
একইভাবে সকাল ১০টায় চকপোস্তুম গ্রামের ইজাবুল হকের বাড়িতে অভিযান শেষে সেখানেও কিছু মেলেনি বলে জানায় র্যাব।
র্যাব- ৫ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল মাহবুব আলম জানান, চানপাড়া গ্রামের বাড়িতে অভিযানে বাড়ির মালিক আবদুল মজিদকে সন্দেহভাজন হিসেবে আটক করা হয়েছে। তবে বাড়িটি থেকে কোনো জঙ্গি সদস্য বা অস্ত্র-বিস্ফোরক মেলেনি বলে জানান র্যাবের এই কর্মকর্তা।
আর চকপোস্তুম গ্রামের ইজাবুল হকের বাড়ির অভিযানও ছিল নিষ্ফল। সেখানেও কিছু মেলেনি। অভিযানের সময় মালিক ইজাবুল হক বাড়িতে ছিলেন না। তার স্ত্রী ও দুই সন্তান বাড়িতে ছিল। এখান থেকে র্যাব কাউকে আটক করেনি।
মঙ্গলবার গভীর রাত থেকে গোমস্তাপুর উপজেলার চানপাড়া, চকপোস্তুম ও বালুগ্রাম গ্রামের তিনটি বাড়ি ঘিরে অবস্থান নেয় র্যাবের বিপুল পরিমাণ সদস্য।
এরপর প্রথমে সকাল ৮টায় চানপাড়া গ্রামের মজিদের বাড়ি ও সকাল ১০টায় চকপোস্তুম ইজাবুল হকের বাড়িতে অভিযান সম্পন্ন করে র্যাব।
তবে এখনো গোমস্তুপুর উপজেলার বালুগ্রাম গ্রামের পুকুরের বাড়ি ঘিরে রাখা হয়েছে।
র্যাবের দাবি, মঙ্গলবার রাতে জঙ্গিবিরোধী অভিযানে সন্দেহভাজন তিনজনকে আটক করা হয়। আটকরা হলো- সুকুদ্দি, সাইফুল ও জাহাঙ্গীর। তাদের বাড়ি গোমস্তাপুর।
এসময় তাদের কাছ থেকে তিন কেজি গান পাউডার, একটি বিদেশি পিস্তল, চার রাউন্ড গুলি ও একটি ম্যাগজিন জব্দ করা হয়।
ওই তিনজনের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে গোমস্তাপুর উপজেলার তিনটি গ্রামের তিনটি বাড়ি ঘিরে অবস্থান নেয় র্যাব।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ র্যাব-৫-এর কোম্পানি কমান্ডার এ কে এম এনামুল করিম বুধবার ভোরে জানিয়েছিলেন, ঘিরে রাখা বাড়িগুলোতে ‘জঙ্গি সদস্যরা’ থাকতে পারে। এছাড়া ওই বাড়িগুলোতে বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরকও রয়েছে বলে ধারণা করে র্যাব।
জঙ্গি আস্তানা
জঙ্গি আস্তানা সন্দেহে ২ বাড়িতে অভিযান: অস্ত্রসহ আটক ৩