ক্রাইমবার্তা রিপোট:ক্ষমতাসীন সরকারকে অনৈতিক, বেআইনি আখ্যা দিয়ে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, এই সরকারের জন্ম বেআইনিভাবে। সংবিধান মোতাবেক যেভাবে সরকার হওয়ার কথা সেভাবে হয়নি।
আজ শনিবার দুপুরে এক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মির্জা ফখরুল ইসলাম এসব বলেন।
রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে জাতীয়তাবাদী যুবদলের উদ্যোগে এই সভা হয়। গত শনিবার বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার গুলশান কার্যালয়ে পুলিশী তল্লাশির প্রতিবাদে এই সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, এই সরকারের জবাবদিহিতার কোনো দায়বদ্ধতা নেই। এই সরকার হচ্ছে বেআইনীভাবে সৃষ্ট সরকার। তাদের জন্মটাই হয়েছে বেআইনীভাবে। কোনো নির্বাচনের মাধ্যমে হয় নাই। কারণ বাংলাদেশের সংবিধানের মতে জনগণের সরাসরি ভোটে বাংলাদেশের সরকার প্রতিষ্ঠিত হবে। এই সরকার সেভাবে হয় নাই। সুতরাং এই সরকার বেআইনি সরকার এবং অনৈতিক সরকার। তাদের কোনো অধিকার নেই এই দেশকে শাসন করবার।
বেগম জিয়ার কার্যালয়ে তল্লাশি প্রসঙ্গে ওবায়দুল কারের বক্তব্য প্রসঙ্গে বিএনপি মহাসচিব বলেন, তিনি বলেছেন, গোয়েন্দা তথ্যেও ভিত্তিতে নাকি বেগম জিয়ার কার্যালয়ে তল্লাশি হয়েছে। সেখানে নাকি অবৈধ কিছু আছে। কিন্তু পুলিশ তল্লাশি চালিয়ে বললো তাদের অভিযানের ফল একেবারে শূন্য। তাহলে কি দাঁড়ালো? আসলে সরকারকে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে। এখন জনগণের মাঝে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে যে সরকার আসলে চালাচ্ছে কে? রাজনীতিবিদেরা আওয়ামী লীগের নাকি গোয়েন্দা বাহিনীর লোকেরা?
মির্জা ফখরুল বলেন, গত কয়েকবছর ধরে বিশেষ করে ২০১৪ সালের পর থেকে এ পর্যন্ত জনগণের ওপর নির্যাতনের স্টিমরোলার চালিয়েছে সরকার। এমন কোনো গ্রাম নেই ইউনিয়ন নেই যে বিএনপি নেতাকর্মীদেও ওপর নির্যাতন করা হয়নি। মামলা দেয়া হয়নি। আজকে সরকার ভয় পেয়েছে বলে মানুষ মন্তব্য করছে। আসলেই সরকার ভয় পেয়েছে। কারণ তারা যে কাজ গুলো করছে সম্পূর্ণ বেআইনী কাজ। সংবিধান বিরোধী কাজ। এমতাবস্থায় যদি জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠিত হয় তবে তাদেরকে জবাবদিহি করতে হবে। এ জন্য সরকার সত্যিকারার্থেই ভয়ে আছে।
যুবদলের সভাপতি সাইফুল আলম নীরবের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকুর সঞ্চালনায় সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন- বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবদুস সালাম আজাদসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।