বিশেষ প্রতিনিধি ॥
——————————
ঘূর্নিঝড় মোরার সম্ভাব্য আঘাত মোকাবেলায় সাতক্ষীরায় ব্যপক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। এরই মধ্যে জেলাব্যপী বিশেষ করে উপকূলীয় উপজেলা শ্যামনগর ও আশাশুনির সব ইউনিয়নে মাইকিং করে জনগনকে সতর্ক রাখার কাজ শুরু হয়েছে। শ্যামনগরে ২০০০ এবং আশাশৃুনিতে ১৩০০ স্বেচ্ছাসেবীকে সতর্ক রাখা হয়েছে। এছাড়া হাসপাতালে ওষুধপত্র রিজার্ভ রাখা হয়েছে। বিভিন্ন উপজেলায় পৃথক মেডিকেল টীম গঠন করা হয়েছে। শুকনো খাবার এবং প্রয়োজনে ব্যবহারের জন্য যানবাহন বিশেষ করে নৌযান প্রস্তুত রাখা হয়েছে। সাইক্লোন সেন্টারগুলি এবং বিভিন্ন স্কুল কলেজ খোলা রাখা হয়েছে। এই দুই উপজেলায় সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারিদের ছুটি আপাততঃ বাতিল করা হয়েছে। বিপদ সংকেত আরও বৃদ্ধি পেলে গ্রামবাসীকে সরিয়ে নেওয়ার ঘোষনা দেওয়া হয়েছে। জেলা প্রশাসক আবুল কাসেম মো. মহিউদ্দিন জানান সুন্দরবনে মাছ ও মধু আহরনকারীদের দ্রুত উপকূলে ফিরে আসার অনুরোধ জানানো হয়েছে। জেলার ১৩২টি সাইক্লোন সেন্টার প্রস্তুত রয়েছে। শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. কামরুজ্জামান জানান আজ স্থানীয় সংসদ সদস্য এসএম জগলুল হায়দারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক সভায় সব ইউপি চেয়ারম্যান ও মেম্বরকে নিজ নিজ এলাকার জনগনকে সতর্ক রাখার পাশাপাশি তাদের সহায়তা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আশাশুনি উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুষমা সুলতানা জানান তার এলাকার সব সাইক্লোন সেন্টার খোলা রাখা হয়েছে। পরিস্থিতির অবনতি হলে গ্রামবাসীকে সরিয়ে নেওয়া হবে।