ক্রাইমবার্তা রিপোট:সৌদি আরবে এক মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় কুমিল্লার আদর্শ সদর উপজেলার দুর্গাপুর উত্তর ইউনিয়নের গুনানন্দী গ্রামের একই পরিবারের নিহত ৩ জন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে নারী শিশুসহ আরও তিন জন। পরিবারের ৩ জনকে হারিয়ে ওই পরিবারে এখন চলছে শোকের মাতম। স্বজনদের আহাজারিতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। প্রিয়জনদের লাশ গুলো দ্রুত দেশে ফিরিয়ে আনতে নিহতের স্বজনরা সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
জানা যায়, কুমিল্লা সদর উপজেলার কোটবাড়ি মাঝিপাড়া গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা আবদুর রাজ্জাকের স্ত্রী শাহানারা বেগম এবং ২ নাতি ও নাতনী নিয়ে শনিবার রাতে সৌদিতে বসবাসরত মেয়ে শাম্মি আক্তার ও জামাতা গুনানন্দী গ্রামের তোফাজ্জলের কাছে যাচ্ছিলেন। উদ্দেশ্য ছিল ওমরা পালন করার। গত রোববার স্থানীয় সময় ভোর ৬ টায় শ^াশুরী ও নিজের সন্তানদের বিমানবন্দর থেকে বাসায় নেয়ার জন্য স্ত্রীসহ বিমানবন্দরে আসেন প্রবাসী তোফাজ্জল হোসেন। ফেরার পথে সকাল সাড়ে ৭ টায় তাদের বহনকারী গাড়ীটি জেদ্দা- আলবাহার সড়কের বাতুয়ায় পৌছলে দুর্ঘটনায় কবলিত হয়ে ঘটনাস্থলে প্রাণ হারান তোফাজ্জেল হোসেন, তার সপ্তম শ্রেণিতে পড়–য়া ছেলে শাহরিয়ার হোসেন ও শাশুড়ি শাহনারা বেগম। ওই দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হন তোফাজ্জলের মেয়ে তৃতীয় শ্রেনির ছাত্রী নিহা ও তিন বছর বয়সের মেয়ে আফনান এবং স্ত্রী শাম্মি আক্তার। আফনান ও শাম্মি আক্তার কিছুটা ভালো হলেও নিহা রয়েছেন আইসিওতে। তার অবস্থাও আশঙ্কাজনক।
পরিবারে চলছে শোকের মাতম
সোমবার দুপুরে নিহতদের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, স্বজনদের হারিয়ে পুরো পরিবারটি এখন শোকে স্তব্ধ। প্রতিবেশীরা আসছেন সান্ত¦না দিতে। পুরো এলাকায়ই যেন নেমে এসেছে শোকের ছায়া। নিহত তোফাজ্জল হোসেনের বড় ভাই আবুল কালাম ও আবুল খায়ের জানান, তার ভাই তোফাজ্জল হোসেন স্ত্রী ও সন্তান নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরে সৌদিতে আছেন, দেশ থেকে যাওয়া তার শাশুড়িও ২ সন্তানকে বিমান বন্দর থেকে নিয়ে বাসায় ফেরার পথে দুর্ঘটনার মুখে পড়েন। স্বজনদের লাশগুলো দ্রুত দেশে ফিরিয়ে আনতে তারা সরকারের সহযোগিতা কামনা করেন। এ বিষয়ে আদর্শ সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এডভোকেট আমিনুল ইসলাম টুটুল জানান, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে নিহতদের লাশগুলো দ্রুত দেশে আনতে জেলা ও উপজেলা প্রশাসন থেকে প্রয়োজনীয় সকল সহায়তা করা হবে।