তালা পুলিশের অত্যাচারে আত্নহত্যার ঘোষনা দিলো কৃষক পরিবার
স্টাফ রিপোর্টার :
সাতক্ষীরার তালা সদরের রহিমাবাদ গ্রামের কৃষক আলাউদ্দীন শেখের ছেলে কৃষক বাহারুল ইসলামকে সরকার উৎখাত ও বিস্ফোরক আইনে দুই মামলা দিয়েছে তালা থানা পুলিশ। শনিবার সকাল ৯টার দিকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায় পুলিশ। এরপর দুই মামলায় আটক দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়।
একের পর এক অনিয়ম আর স্বেচ্ছাচারিতার মাধ্যমে নিরাপরাধ মানুষকে হয়রানির পর এবার সাধারণ পরিবারের ছেলে বাহারুল ইসলামের বিরুদ্ধে সরকার উৎখাত মামলা ও বিস্ফোরক আইনে মামলা দেওয়া হলো।
তালার রহিমাবাদ গ্রামের আলাউদ্দীন শেখ জানান, ঘুম থেকে উঠে বাইরে দাঁড়িয়ে ছিলো ছেলে। হঠাৎ ৪/৫ গাড়ি পুলিশ এসে ধরে নিয়ে যায় থানায়। তালা থানার ওসি তদন্ত অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। আমার ছেলে কৃষিকাজ করে। বাকি সময়টা তালার জাতীয় পার্টির সাবেক চেয়ারম্যান নজরুল ইসলামের সাথে থাকে। ওই চেয়ারম্যানের নামে আগে মিথ্যে চাঁদাবাজি মামলা দিয়েছে পুলিশ। চেয়ারম্যানের সাথে থাকে আমার ছেলের এটাই অপরাধ। হাইকোর্ট থেকে জামিন নিয়েও চেয়ারম্যান গত দুই মাস ধরে বাড়ি ছাড়া।
তিনি আরো বলেন, এখন পুলিশ বলছে, আমার ছেলে সরকার উৎখাত ষড়যন্ত্র করছিলো আর বিস্ফোরক আইনে মামলা। দুই মামলা দিয়েছে তালা পুলিশ। বাহারুলের দুটো বাচ্ছা রয়েছে। তার আয়ে চলে সংসার। আমরা সাধারণ মানুষ এভাবে যদি হয়রানি হই তবে আর কোথায় যাবো। এসপি অফিসের সামনে এসে মরা ছাড়া কোন গতি নেই আমাদের। এর আগে এলাকার মানুষকে ডেকে নিয়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে ছেলের নামে কয়েকটা জিডি নিয়েছে তালা পুলিশ। আমাদের উপর খুব অত্যাচার করছে পুলিশ।
তবে তালা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হাসান হাফিজুর রহমান বলেন, বাহারুল ইসলাম বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত। সে প্রচন্ড নাশকতা ও তান্ডব চালিয়েছে ২০১৩ সালে। এজন্য তাকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
তালা পুলিশের অভিযোগ ভিত্তিহীন জানিয়ে তালা উপজেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক এসএম আলাউদ্দীন জানান, বাহারুল ইসলাম তালা সদর ইউপির সদর ওয়ার্ডের জাপার অঙ্গসংগঠন যুব সংহতির সভাপতি, উপজেলা কমিটির কোষাধাক্ষ্য ও মূল দলের সদস্য পদে রয়েছে। পুলিশ উদ্দেশ্যমূলক ও পরিকল্পিতভাবে তাকে গ্রেফতার করেছে। এর আগে উপজেলা জাপার সভাপতি এসএম নজরুল ইসলামের নামেও মিথ্যে চাঁদাবাজি মামলা দিয়ে হয়রানি করছে তালা পুলিশ। বিভিন্ন মাধ্যমে জেনেছি গত একমাসে সভাপতির নামে ৫০টির অধিক সাধারণ ডায়েরী করেছে তালা থানা পুলিশ। যার সবটাই উদ্দেশ্যমূলক। উর্দ্ধতন পুলিশ কর্মকর্তাদের সুদৃষ্টি কামনা করছি।