ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা’ কক্সবাজার-চট্টগ্রাম উপকূল অতিক্রম করছে। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে কক্সবাজার টেকনাফসহ আশেপাশের এলাকায় ঝড়ো হাওয়া বইছে।
ঘূর্ণিঝড়ে সেন্টমার্টিন্স দ্বীপে প্রায় দুইশোর মতো ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে কক্সবাজারের জেলা প্রশাসন। অনেক কাঁচা বাড়িঘর ভেঙ্গে গেছে এবং অনেক গাছও উপড়ে পড়েছে।
টেকনাফে প্রায় ৩০ হাজার পরিবার ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, ঝড়ে গাছচাপা পড়ে টেকনাফেই একজনের মৃত্যু হয়েছে বলে নিশ্চিত হয়েছেন কর্মকর্তারা।
কক্সবাজারে বিদ্যুৎব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। কক্সবাজারসহ অন্যান্য জেলার ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এবং হতাহতের খবর এখনো নিশ্চিত জানা যায়নি।
অন্যদিকে মহেশখালির স্থানীয় বাসিন্দা মাহবুব রোকন জানিয়েছেন, সকাল নাগাদ আবারো প্রচন্ড বেগে বাতাস বইতে শুরু করে। সেখানে প্রচুর গাছপালাও উপড়ে গেছে। মহেশখালি ও মাতারবাড়িতে বেশিরভাগ বাড়িঘরই কাঁচাবাড়ি এবং এই ঝড়ে সেগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
মহেশখালির মাতারবাড়ি ইউনিয়নের ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র থেকে বাসিন্দা নুর মোহাম্মদ জানাচ্ছেন ওই এলাকায় বহু ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, অনেক গাছপালাও ভেঙে পড়েছে।
মাতারবাড়ি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাস্টার মাহমুদুল্লাহ জানান, তার এলাকায় অন্তত সাত হাজার পরিবার ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। দু’হাজারের মতো ঘরবাড়ি পুরোপুরি ভেঙে পড়েছে আর পাঁচ হাজারের মতো ঘরবাড়ি বাড়ি আংশিক বিধ্বস্ত হয়েছে। ফসলিজমি যা ছিল সব ধ্বংস হয়ে গেছে। এমনকি জমাকৃত যে লবণ ছিল চাষীদের সেগুলোও সব নষ্ট হয়ে গেছে বলে জানালেন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান।
রশিদ নামের এক চাষী যেমন বলছিলেন, ‘চাষবাস করে, কৃষিকাজ করে জীবিকা করতাম। এখনতো একেবারে আমরা নিঃস্ব হয়ে গেলাম। ঘরবাড়ি সব গেল। চাষের যা জমা ছিল সব গেল।’
‘জীবন বাঁচাইতে পোলাপান নিয়া আশ্রয়কেন্দ্রে আছি।’
সবুপারা নামের এক নারীর কন্ঠেও শোনা যায় আহাজারি। ঘূর্ণিঝড়ে ঘরের কোনোকিছুই অবশিষ্ট নাই তার। স্বামী সন্তান নিয়ে আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান করছেন তার মতো আরো অনেক নারী।
সূত্র: বিবিসি