গ্রিক মূর্তি : ভূতের বাপের বাসা বদল

গ্রিক মূর্তি : ভূতের বাপের বাসা বদল

মূর্তি না ভাস্কর্য, এ বিতর্ক অর্থহীন। এর সাথে সভ্যতার কোনো দ্বন্দ্ব নেই, সঙ্কট নেই। সঙ্কট বা দ্বন্দ্বটা আধুনিকতা কিংবা উত্তর আধুনিকতার সাথেও নয়। দ্বন্দ্ব বলি আর সঙ্কট বলি, সবটাই বিশ্বাসগত। বিশ্বাস সতত আধুনিক, চিরায়ত এবং প্রগতিশীল। বিশ্বাসের জায়গায় দাঁড়িয়ে কথা বললে মানুষ আত্মপ্রবঞ্চনার শিকার হয় না। এ কারণেই বলা হয়, কালেমা পড়ে মানুষ প্রথম স্বাধীন হয়। একক সৃষ্টিকর্তা মেনে নিয়ে অন্যসব প্রভুত্বের দাবিদারদের অস্বীকার করা সহজ। কারণ, বিশ্বাস এমন এক অখণ্ড বিষয় যেখানে দ্বান্দ্বিক বস্তুবাদের কোনো জায়গা নেই। আইনমন্ত্রী বললেন, এটি থেমিসের মূর্তি না, বিকৃত কিছু। বিকৃত কিছু না থাকাই সমীচীন। শিল্পী বা ভাস্কর মৃণাল হক একসময় গ্রিক থেকে থেমিস আনার কৃতিত্ব দেখাতেন, পরে বললেন, তিনি আলাদা অবয়বের কিছু একটা ‘সৃষ্টি’ করেছেন, নিজের ভাবনা থেকে শাড়ি পরিয়েছেন; এক হাতে তলোয়ার অন্য হাতে দাঁড়িপাল্লা ধরিয়ে দিয়েছেন- অমনি একটা নান্দনিক শিল্পের জন্ম নিলো। বাহ! হাস্যকর অনুকরণ আর কাকে বলে! কষ্টটা বাড়ে আরো একটি নীতিগত কারণে। আমাদের বিচার বিভাগ পৃথকীকরণের জন্য সোচ্চার, অথচ মূর্তিটি ঠিক বিপরীত ধারণা দেয়। যে হাতে ইনসাফের প্রতীক বা ন্যায়বিচারের পাল্লা থাকে তিনি বিচারক, তার অন্য হাতে তলোয়ার থাকা মানে বিচার ও শাস্তিদাতা একই ব্যক্তি, এটা আমাদের সংবিধানসম্মত নয়। মূর্তিটা নকল কি আসল এ বিতর্ক সুবিধাবাদের, বিশ্বাসীদের নয়। সারা পৃথিবীর মানুষ বললেও বিশ্বাস বদলানোর বিষয় নয়। দুর্ভাগ্য শিল্পবোদ্ধারা এই নকল শিল্প নিয়েই এত মাতামাতি করছেন। তারা বুঝতে চাচ্ছেন না আমাদের হাইকোর্ট-সুপ্রিম কোর্ট পুরো স্থাপনাটি একটি বড় স্থাপত্য নিদর্শন। এই ভাবগাম্ভীর্যপূর্ণ স্থাপত্য নিদর্শনটি কেন একটি বিদেশী মূর্তি দিয়ে আড়াল করা হচ্ছে। এটা জেদ। শুধুই হার-জিতের রাজনৈতিক নাটক। বিতর্কের সব জায়গা মেরামত করতেই সংশ্লিষ্টরা সুপ্রিম কোর্ট চত্বর ও জাতীয় ঈদগাহের সামনে থেকে গ্রিক দেবী থেমিসের বিকৃত মূর্তিটি অপসারণ করেছেন। এই মূর্তি অপসারণ নিয়ে এক ধরনের টানটান উত্তেজনা বিরাজ করছিল। যারা মূর্তি অপসারণের পক্ষে অবস্থান নিয়েছিলেন, তারা চেয়েছিলেন রোজার আগেই এটি অপসারণ করা হোক। শেষ পর্যন্ত, ২৫ মে বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে মূর্তিটি অপসারণ করা হলো। আসলে এটি অপসারণ নয়, স্থানান্তর। ঠিক ভূতের বাপের বাসা বদলের মতো বিষয়। কেন ভূতের বাপের বাসা বদল বলছি- সেটা সময় বলে দেবে।
মূর্তি না ভাস্কর্য এ নিয়ে যারা বিতর্ক করার চেষ্টা করেছেন, তারাও বলেছেন এটি প্রাচীন গ্রিকের দেবী, যাকে ন্যায়বিচারের প্রতীক মনে করা হতো। দেবী বলার পর এটাকে জেদের বশবর্তী হয়ে ভাস্কর্য বলে দাবি করা কোনো বুদ্ধিবৃত্তিক ব্যাপার ছিল না, বরং এটা অসততা। মূর্তির ব্যাপারে একধরনের সহজাত প্রবৃত্তি কাজ করেছে বলেই পূজক না হলেও ভানটা করেছেন। মূর্তিপূজা সব যুগে ছিল, একেশ্বরবাদ জন্ম নেয় মূর্তিবাদের প্রতি তীব্র ঘৃণা ও দ্রোহ থেকে। মানুষ যখনই একজন সৃষ্টিকর্তাকে বুঝতে চায়নি, তখনই প্রকৃতি ও মূর্তির দিকে ঝুঁকে পড়েছে। মানুষ আগুন পানি পাহাড় চন্দ্র সূর্যের পূজা করেছে, শক্তির কাছে মানুষ মাথা নোয়াতে বাধ্য। এটা এক ধরনের সহজাত প্রবৃত্তি। এক আল্লাহ না চিনলে অসংখ্য সৃষ্টিকর্তা ও ভাগ্যবিধাতা বানিয়ে মানুষই মুক্তির সন্ধান করে এবং তাদের পূজা-অর্চনা করে। সৃষ্টিকর্তার সাথে আরো সহযোগী বানিয়ে দেবতা সাজায় ও দেবী বানায়। তাই বিষয়টি বিশ্বাসগত। এ ক্ষেত্রে শিল্পবোধ এক ধরনের মিথ্যাচার। ইচ্ছে করলে যে কেউ মূর্তি পূজার ওপর বিশদ লেখাপড়া করে দেখতে পারেন। অশিক্ষা-কুশিক্ষা ছাড়া এর সাথে প্রগতি ও মডার্নিজমের দূরতম সম্পর্কও নেই। কোনো একত্ববাদী মানুষ ভাস্কর্য ও মূর্তির ভেতর তফাৎ দেখেন না। সেটা পাথুরে, মাটির না মেটালিক, তাও মগজে নেন না। একটা বিষয় বুঝতে হবে, নান্দনিক শিল্প ভেবে যারা ভাস্কর্য সম্পর্কে ইতিবাচক ধারণা পোষণ করেন এবং এর পক্ষে অবস্থান নেন, তেমনি যারা মূর্তি ও ভাস্কর্যের ভেতর কোনো পার্থক্য করতে চান না- তারাও নিজেদের মতো দৃঢ়তার সাথে লালনের অধিকার রাখেন। বিষয়টি বিশ্বাসনির্ভর হওয়ার কারণে স্পর্শকাতরতা বেশি হওয়াটাই স্বাভাবিক। বিশ্বাসের শক্তিটা কতটা প্রবল, তা ঢাকায় বসে ক’জন গণবিচ্ছিন্ন মানুষ ভাবতেও পারেন না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জনগণের হৃদস্পন্দন কিছুটা হলেও টের পেয়েছেন। তাই তিনি অকপটে মতটা দিতে সঙ্কোচ করেননি।
একটা বিষয় স্পষ্ট, উচ্চ আদালত চত্বরে ও জাতীয় ঈদগাহ লাগোয়া স্থানে স্থাপিত মূর্তিটির ব্যাপারে কোনো কর্তৃপক্ষ আগ বাড়িয়ে আগ্রহ দেখাননি। কাদের উদ্যোগে এটি প্রতিষ্ঠিত হলো, কাদের মগজ থেকে এই উদ্ভট পরিকল্পনা বেরুল- কেউ তা খোলাসা করতে চাননি। অপর দিকে, যারা এর বিরোধিতা করেছেন, তারা কেউ বর্ণচোরা নন, বিশ্বাসগত কারণেই দৃঢ়তা প্রদর্শন করেছেন। প্রধানমন্ত্রী গ্রিক মূর্তির ব্যাপারে তার অভিমত দিয়ে দূরদর্শিতার পরিচয় দিয়েছেন। এর ভেতর ভোটের রাজনীতি থাকা সম্ভব, কিন্তু এটি তার বিশ্বাসেরও প্রতিফলন। এর মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী সংক্ষুব্ধ মানুষের রোষানলের মাত্রা বুঝতে পেরেছেন, এ কারণে তিনি তা এড়াতে চেয়েছেন, নিজেও রোষানলে পড়তে চাননি। সুপ্রিম কোর্ট কর্তৃপক্ষ কোথাও স্পষ্ট করে বলেননি, এটি তাদের চিন্তাপ্রসূত। তবে নানা সূত্র থেকে আভাস মিলেছে, এর সাথে সুপ্রিম কোর্ট কর্তৃপক্ষের প্রত্যক্ষ সংশ্লিষ্টতা ছিল। সর্বশেষ, অ্যাটর্নি জেনারেলের মন্তব্য থেকে স্পষ্ট হয়, এই মূর্তি বা ভাস্কর্য বসিয়েছেন সুপ্রিম কোর্ট কর্তৃপক্ষ। শুরুটা যেভাবেই হোক, উচ্চ আদালত এ ব্যাপারে সময় ক্ষেপণ করলেও শেষাবধি জনমতের বিপক্ষে অবস্থান না নিয়ে বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দিয়েছে। মূর্তিটি সরিয়ে নেয়ার সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নেও দূরদর্শিতার পরিচয় মিলেছিল। এখন নতুন বিতর্কের জায়গা করে দিয়ে শেষ রক্ষা হওয়ার সম্ভাবনা একেবারেই কমে গেল, ভুলটা অপনোদন হলো না। কারণ বিশ্বাসের সাংঘর্ষিকতা বেশি দিন টিকে থাকে না। টিকিয়ে রাখা যায় না।
সব কিছুর পরও বলতে চেয়েছিলাম, এই মূর্তি ইস্যুতে কেউ হেরে যায়নি, তবে জনগণ জিতেছে। এখন বলতে বাধ্য হচ্ছি, উচ্চ আদালত কর্তৃপক্ষ বিতর্কটা জিইয়ে রেখে ভালো করেননি। দেশের জনমতের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শনের বিষয়টি যথেষ্ট ইতিবাচক দৃষ্টান্ত হয়ে থাকত। সেটা কারো জন্য অকল্যাণকর ও অপমানের বিষয় ছিল না। প্রধানমন্ত্রীর প্রকাশ্যে দেয়া বক্তব্যের পর মূর্তি সরানোর বিষয়টি ছিল শুধুই সময়ের ব্যাপার। তারপরও পবিত্র রমজানের আগে মূর্তিটি সরিয়ে জনমতের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন করে যারা শুভ বুদ্ধির পরিচয় দিয়েছিলেন, তারা অবশ্যই একটি অস্বস্তিকর পরিস্থিতি এড়ানোর জন্য তাৎক্ষণিক সাধুবাদ পেতে পারতেন।
মূর্তি বিতর্ক অনেকের দৃষ্টি খুলে দিয়েছে। অনেক লেখালেখির মাধ্যমে অভিমত এসেছে যা বিশ্বাসী মনের খোরাক বাড়িয়েছে। যারা বিষয়টির বিশ্বাসগত দিক থেকে নিজেদের আড়াল করতেন, তারাও নিশ্চয়ই লাভবান হয়েছেন। যারা কথিত প্রগতিশীল এবং ভাস্কর্য নিয়ে বিতর্ক করেছেন, এখনো করছেন, তারাও নিশ্চয় জাতির হৃদস্পন্দন বোঝার সুযোগ পেয়েছেন। বিশেষ মহল বাড়াবাড়ি না করলে এ ইস্যুটির স্থায়ী নিষ্পত্তি হয়ে যেতে পারত। গণমানুষের বিশ্বাস নিয়ে বাড়াবাড়ি করার মধ্যে কখনো কল্যাণ ছিল না, এখনো নেই।
একটা বিষয় লক্ষণীয়, রাজনৈতিক কারণে সৃষ্ট ভাস্কর্য আবার রাজনৈতিক কারণেই কালের গর্ভে হারিয়ে যায়। নেতাকে ভক্তরাই মালা পরায়। আবার জনতাই থু থু ছিটায়। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে লেনিনের বিরাট মূর্তিটি কিভাবে ক্রেন দিয়ে উপড়ে ফেলে দেয়া হলো, তাতো মনে রাখার মতো বিষয়। তবে ধর্মীয় অনুরাগ থেকে সৃষ্টি হওয়া দেব-দেবীর মূর্তি সেটা ভাস্কর্য নামেই হোক কিংবা কল্পিতই হোক, সেই ধর্মীয় অনুরাগের মৃত্যু না ঘটলে যুগ যুগ টিকে থাকে। অপরদিকে, ক্ষমতার পট পরিবর্তনের হাওয়ায় অনেক রাজনৈতিক ভাস্কর্য উবে যায়, দেশে দেশে এমন প্রমাণ অনেক।
স্বীকার করতে দোষ কী, ইসলামে শিল্পচর্চায় নান্দনিকতা এনেছে জ্যামিতিক ধারণা এবং প্রাকৃতিক নিস্বর্গ থেকে ফুল, ফল আর লতাগুল্মের দৃষ্টিকাড়া সৌন্দর্যকে সামনে এনে। তার সাথে যোগ হয় দৃষ্টিনন্দন ক্যালিগ্রাফি শিল্প। তাজমহলে শাহজাহান-মমতাজের ছবি থাকলে এত দিনে অস্তিত্ব ও আগ্রহ দুটোই হারাত। অমর কীর্তিটি টিকে আছে এর দৃষ্টিনন্দন সৌকর্যের কারণে।
মূর্তির প্রতি বাঙালি মুসলমানের বাড়তি অ্যালার্জি কোনো যুগে ছিল না। কারণ মূর্তিপূজক ও একত্ববাদী মানুষের সহঅবস্থানের দৃষ্টান্ত এই বাংলার ঐতিহ্যবাহী বৈশিষ্ট্য। ইসলামের সব নবী আ: একত্ববাদ প্রচার করেছেন। সব নবী-রাসূল আল্লাহর সাথে শরিক করাকে মহাপাপ বলেছেন। দেখা গেছে, নবী পরম্পরায় একটু ছেদ পড়লেই মানুষ মূর্তির দিকে ঝুঁকে পড়েছে। কিন্তু এক আল্লাহর সাথে অন্য যেকোনো শক্তিকে শরিক করা হলে ঈমান আর থাকে না। তাই প্রগতিশীলতা ও আধুনিকতার ভড়ং এক ধরনের প্রতিক্রিয়াশীলতা কিংবা ভণ্ডামী। এই প্রতিক্রিয়াশীল গোষ্ঠী গণবিছিন্ন একটি নতুন ‘সম্প্রদায়’। এরা সবসময় সবখানে অল্পবিস্তর থাকে। মনে রাখতে হবে আবু জেহেল অনেক জ্ঞানের অধিকারী হলেও তাকে বিশ্বাসগত কারণে বলা হতো, অজ্ঞতার বাবা।
মূর্তি কিংবা ভাস্কর্য বিতর্কের অবসান ঘটানোর সুযোগ হাতছাড়া করে সংশ্লিষ্টরা মহা ভুল করলেন। এই স্থানান্তর সবকূল রক্ষার একটা জোড়াতালির মতো বিষয়। এটি যুক্তির ধোপে টিকবে না। কারণ একটি বিকৃত গ্রিক দেবী মূর্তিকে আগলে রাখার জন্য কোনো পূজারি এই দেশে কোনোদিন পাওয়া যাবে না। এই দেশে গ্রিক প্রাচীন সভ্যতা ও জ্ঞানের অনুরাগী কিছু থাকলেও তাদের দেবী কিংবা দেবতার পূজা কেউ করবে না। তাই এটি রক্ষার জন্য কোনো ধর্মীয় উপদল ধনুকভাঙা পণ করে সামনে বাড়বে না। অপরদিকে, আইনাঙ্গনে একটি গ্রিক মূর্তি যা কি না গ্রিকবাসীর মিথ ও মিথোলজির বিষয়, তা এ জনপদে ভিনদেশী পরগাছা অপসংস্কৃতি হিসেবেই আখ্যায়িত হবে। যারা শিল্পবোধ নিয়ে ভাববেন তারা দেব-দেবী নয়, একটি গ্রিক ভাস্কর্য নিয়ে আগ্রহ দেখাতে পারেন। সেখানে শিল্পবোধ আহত করার অভিযোগ খণ্ডাবে কে? গ্রিক মূর্তিকে বিকৃত করে উপস্থাপনের বা বাঙালিকরণের অপরাধ এক ধরনের নকলের মতো বিষয়। এটা কেন টিকিয়ে রাখা হবে, এর সদুত্তর পেতে হবে।
এখন যারা প্রগতির দোহাই দিয়ে মূর্তিবাদী সেজেছেন- তারা শেষ পর্যন্ত টিকে যেতে পারবেন না। বাস্তবে তারা কেউ পূজারি নন। যে ক’জন তরুণ কিংবা কথিত বৃদ্ধিজীবী ফোবিয়া আক্রান্ত, তারা বুদ্ধির সততার কাছে হার মানতে বাধ্য। হেফাজত আস্কারা পাচ্ছে, মৌলবাদীরা আপার হ্যান্ড পেয়ে যাচ্ছে- এটাই এই প্রতিক্রিয়ার সার কথা। এ ধরনের প্রতিক্রিয়ায় জনগণের আগ্রহ নেই। তাদের মনোযোগও আকর্ষণ করেনি। তাই পাল্টা প্রতিক্রিয়া দেখতে না চাইলে মূর্তিটি তিন কারণে অপসারণ করা উচিত। ক. এটি ধর্মবিশ্বাস বিধৌত একটি দেবী মূর্তি যার সাথে এ ভূখণ্ডের হিন্দু-মুসলিম-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান-ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী কারো সম্পর্ক নেই। খ. এটিকে বিকৃত করে যে অন্যায় করা হয়েছে, সেটা অনেকের শিল্পবোধের মৌলিকত্বকে আহত করেছে। গ. এটি একটি অপসংস্কৃতি, আমাদের সাংবিধানিক চেতনার সাথে সাংঘর্ষিক এবং আমাদের আইন-আদালতের সাথে এর দূরতম সম্পর্কও নেই। আইনপাড়ার কোনো আইনজীবীকে দেখিনি এর প্রতি ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি পোষণ করতে। এখন সিদ্ধান্ত দেয়ার সময়, সংশ্লিষ্টরা কোনো সিদ্ধান্ত না দিলে ভবিষ্যৎ বলে দেবে, কী হবে।
masud2151@gmail.com

Check Also

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল রাষ্ট্রীয় পদে আসীন হচ্ছেন খবরে আসামিপক্ষে শুনানি করেননি সমাজী

জুলাই-আগস্টের গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার সাবেক ৯ মন্ত্রীসহ ১৩ জনকে আন্তর্জাতিক …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

***২০১৩-২০২৩*** © ক্রাইমবার্তা ডট কম সকল অধিকার সংরক্ষিত।