ক্রাইমবার্তা রিপোট: আলমগীর হোসেন লক্ষ্মীপুর থেকে : প্রবাসীর স্ত্রী লিপি বেগমের হাত থেকে রেহায় পায়নি দত্তক নেওয়া ৪ বছরের শিশু সাগর। মধ্যযুগীয় কায়দায় শিশুটির হাত, পা, মুখ ,বেধে, ও কুমোড়র সিংড়ী দিয়ে তাকে পায় সময় নিযার্তন করার অভিযোগ ওঠেছে মা লিপি বেগম (৩৫) বিরুদ্ধে।
এনিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে শিশুটির নির্যাতনের ছবি ছড়িয়ে পড়লে পুরো জেলা জুড়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়।
এ ঘটনা ঘটে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার শাকচর ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের বগাগো বাড়িতে। নির্যাতনকারী দত্তক মা লিপি আক্তার একই এলাকার প্রবাসী সোলায়মানের স্ত্রী। এ বিষয়ে এখনো কোনো মামলা হয়নি।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, লিপি আক্তারের এক মেয়ে জন্ম হওয়ার পর থেকে কোনো ছেলে সন্তান না হওয়ায় বিগত এক বছর আগে উপজেলার টুমচর গ্রাম থেকে সাগর নামে ওই শিশুটিকে দত্তক নেওয়া হয়। এর কিছু দিন যেতে না যেতেই শুরু হয় শিশুটির উপর বর্বর নির্যাতন। এনিয়ে শাওনেওয়াজ বিপ্লব নামে এক ফেসবুক ব্যবহারকারি নির্যাতনের বর্ণনা দেন তার টাইমলাইনে। সেখানে দেখা যায়, শিশুটিকে উলঙ্গ অবস্থায় মাথা নিচু করে দিয়ে পায়ের নিচে দিয়ে কান ধরে সূর্য চেঙ্গি দিয়ে রাখা হয়েছে। ওই পোস্টে জেলা জুড়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়। সেখানে ইউডিসি ওয়াহিদ রিয়াজ, মাহবুবুর রহমান সোহাগ, সাবরিনা সুলতানাসহ অনেকে মন্তব্য করেছেন, লিপিকে শিশু নির্যাতনের অপরাধে আইনের আওয়াতায় আনা হোক।
শুক্রবার বেলা ৪ ঘটিকার দিকে গণমাধ্যম কর্মীদের নজরে আসে। সরোজমিনে গেলে স্থানীয় শামসুন্নাহার, শাহিন, দেলোয়ার, কুসুমসহ অনেকে অভিযোগ করে বলেন, অবুঝ শিশুটিকে প্রায় সময় তার দত্তক মা লিপি আক্তার মারধর করেন। এ নিয়ে কেউ কিছু বললে সবাইকে গাল-মন্দ করে। তার নিজের একটি মেয়ে আছে অথচ আজ পর্যন্ত ওই মেয়েটিকে কোন নির্যাতন করে নাই। শিশুটির সারা শরীরে আঘাতের চিহ্ন দেখা গেছে। এছাড়াও শিশুটিকে মেরে ফেলার জন্য বিভিন্ন হুমকী দিচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন তারা।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত শিশুটির দত্তক মা লিপি আক্তার ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ছেলেকে মানুষ করার জন্য শাসন করি। তাছাড়া আমার ছেলেকে খাওয়াবো আমি আবার মারবোও আমি।
শিশু নির্যাতনের ঘটনায় স্থানীয়দের মাঝে চরম ক্ষোভ ও অসন্তোষ বিরাজ করছে। অচিরেই প্রশাসনের সু-দৃষ্টি কামনা করেছে স্থানীয়রা।