ক্রাইমবার্তা রিপোট:বাংলাদেশের পার্বত্য জেলা রাঙামাটিতে এক বাঙালি যুবলীগ কর্মীর মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে পাহাড়িদের বাড়িঘর-দোকানপাটে ভাঙচুর এবং অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে শুক্রবার।
লংগদু এলাকায় শুক্রবার রাত থেকে ১৪৪ ধারা জারি রয়েছে, চলছে গ্রেপ্তার অভিযান।
রাঙ্গামাটি জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) মো: শাফিউল সারোয়ার বিবিসি বাংলাকে জানিয়েছেন ওই ঘটনায় এখন পর্যন্ত তারা ৭ জনকে আটক করেছেন। অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
তিনি জানান, ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যাচ্ছেন প্রশাসন ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। আজ বেলা এগারোটায় তারা এক বৈঠকে বসবেন বলে তিনি জানান।
যদিও সকালে লংগদুর একজন স্থানীয় সাংবাদিক আরমান খান জানিয়েছিলেন ওই ঘটনায় ১০ জনকে আটক করার খবর তারা জানতে পেরেছেন।
তিনি বলেন “সবার মনেই এখন একটা আতঙ্ক কাজ করছে। এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। এমনকি বিভিন্ন গুজবও ছড়ানো হচ্ছে যে ওই জায়গায় পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে, কোনো জায়গায় আক্রমণ করা হবে “।
এর আগে স্থানীয় পুলিশ জানায়, নুরুল ইসলাম নয়ন নামে এক যুবলীগ কর্মীর লাশ বৃহস্পতিবার রাতে খাগড়াছড়ির দীঘিনালা-লংগদু সড়কের পাশে পাওয়া যাবার পর উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। তার জানাজার পর শুক্রবার সকালে স্থানীয় বাঙালিরা মিছিল বের করলে আক্রমণের সূত্রপাত হয়।
ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে লংগদু উপজেলার একাধিক গ্রামে পাহাড়িদের বেশ কিছু বাড়িঘর পুড়িয়ে দেয়া হয়।
ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িঘরের সংখ্যা এবং হতাহতের বিষয়ে স্থানীয় প্রশাসন এবং পাহাড়িদের কাছ থেকেও ভিন্ন ভিন্ন বক্তব্য পাওয়া যাচ্ছে। ঘটনার পর পুলিশের পক্ষ থেকে ১৫-১৬টি বাড়িতে অগ্নিসংযোগের কথা বলা হলেও চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (পিসিজেএসএস) এর এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘হামলায় আড়াইশো ঘরবাড়ি ও দোকানপাট পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে’।
তবে পুলিশ কর্মকর্তা মো: শাফিউল সারোয়ার আজ শনিবার সকালে জানিয়েছেন প্রাথমিকভাবে ৫০টি বাড়ি পুড়িয়ে দেয়ার বিষয়ে তারা নিশ্চিত হয়েছেন। কিন্তু সঠিক সংখ্যাটা তারা এখনো জানতে পারেননি।
সূত্র : বিবিসি বাংলা