মুক্তিযোদ্ধার বুকে লাথি মারলেন চেয়ারম্যান!

সাতক্ষীরা সংবাদদাতাঃ সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলায় সালিশ না মেনে থানায় যাওয়ায় এক মুক্তিযোদ্ধার বুকে লাথি মারার অভিযোগ উঠেছে জনপ্রতিনিধির বিরুদ্ধে।10
শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে কলারোয়া পৌর শহরের পশু হাসপাতালের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
ওই মুক্তিযোদ্ধার নাম জিয়াদ আলী। তাঁর বাড়ি কেড়াগাছি ইউনিয়নের বোয়ালিয়া গ্রামে। তিনি অভিযোগ করেছেন, কেড়াগাছি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আফজাল হোসেন হাবিল তাঁর বুকে লাথি মেরেছেন।
ঐ দিন সন্ধ্যায় পশু হাসপাতালের সামনে ইউপি চেয়ারম্যান জনসম্মুখেই রোজাদার মুক্তিযোদ্ধা জিয়াদ আলীকে মারধর শুরু করেন। পরে স্থানীয় লোকজন প্রতিবাদ করে চেয়ারম্যানকে ধাওয়া করলে তিনি সেখান থেকে দ্রুত সটকে পড়েন।

জিয়াদ আলী বলেন, তাঁর বোনের সঙ্গে কেড়াগাছির বোয়ালিয়া গ্রামের খোকনের বিয়ে হয়েছে। বেশ কিছুদিন আগে তাঁর বোনকে স্বামী মারপিট করে আহত করেন। এ ঘটনার পর ইউনিয়ন পরিষদে বিচার দেওয়া হয়। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত সালিশে চেয়ারম্যান আফজাল হোসেন হাবিল বলেন, তাঁর বোন বাড়িতে পা পিছলে পড়ে গিয়ে আহত হয়েছেন। তাঁর স্বামী তাঁকে মারেননি।

জিয়াদ আলী এই সালিশ মেনে নিতে পারেননি। এ জন্য কলারোয়া থানায় অভিযোগ দেন তিনি। আর এতেই ক্ষুব্ধ হন চেয়ারম্যান আফজাল হোসেন হাবিল।
জিয়াদ আলী অভিযোগ করেন, থানায় অভিযোগ করার পর শুক্রবার সন্ধ্যায় কলারোয়া বাজারে তাঁকে পেয়ে চেয়ারম্যান হাবিল প্রকাশ্যে কিল-ঘুষি মেরে মাটিতে ফেলে দেন। পরে তাঁর বুকে একাধিকবার লাথি মারেন। এ সময় স্থানীয় লোকজন প্রতিবাদ করলে চেয়ারম্যান দ্রুত সেখান থেকে চলে যান।
কেড়াগাছি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আফজাল হোসেন হাবিল বলেন, ‘মুক্তিযোদ্ধা জিয়াদ আলীর বোনকে মারধর করার অভিযোগ মিথ্যা। সালিশে সেটাই প্রমাণিত হয়েছে। অথচ এই সালিশ বিচার না মেনে জিয়াদ আলী পুলিশের কাছে গেছেন। এ নিয়ে তাঁর সঙ্গে কিছু বাগবিতান্ড হয়েছে মাত্র। মারধরের কোনো ঘটনা ঘটেনি।’

Check Also

আশাশুনি সদর ইউনিয়ন জামায়াতের ৮টি ওয়ার্ডে আংশিক কমিটি গঠন

এস,এম মোস্তাফিজুর রহমান,আশাশুনি প্রতিনিধি।।বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী আশাশুনি সদর ইউনিয়নের ৮টি ওয়ার্ডে আংশিক কমিটি গঠন করা …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

***২০১৩-২০২৩*** © ক্রাইমবার্তা ডট কম সকল অধিকার সংরক্ষিত।