লন্ডনে সন্ত্রাসী হামলা নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৭
ক্রাইমবার্তা ডটকম
04/06/2017
ক্রাইমবার্তা আন্তর্জাতিক ডেস্ক :লন্ডনে সন্ত্রাসী হামলায় ছয় জন নিহত ও ৪৮ জন আহত হয়ে। পরে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাড়িয়েছে ৭। একই সঙ্গে সন্দেহভাজন তিনজন গুলিতে নিহত হওয়ার তথ্যও প্রকাশ করেছে লন্ডন পুলিশ।
শনিবার রাতে সন্ত্রাসীরা একটি সাদা রংয়ের গাড়ি নিয়ে প্রায় ৫০ কিলোমিটার গতিতে পথচারীদের উপর এ হামলা চালায়। খবর বিবিসি ও আল জাজিরা।
হামলায় আহতদের সরিয়ে নেয়ার দৃশ্য
এ সময়ে গাড়ি থেকে নেমে তিন ব্যক্তি ব্রিজের পাশের মার্কেটে জনসাধারণ ও পুলিশের উপর এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত শুরু করে। ছুরিকাঘাতে ট্রান্সপোর্ট পুলিশের এক সদস্যও আহত হয়েছেন। হামলার ৮ মিনিটের মধ্যেই পুলিশের গুলিতে তিন সন্দেহভাজন ঘটনাস্থলে নিহত হয়েছে।
ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে এ ঘটনাকে কাপুরুষোচিত হামলা বলে উল্লেখ করেছেন এবং এ ঘটনায় জরুরি বৈঠক আহ্বান করার কথা জানান তিনি।
লন্ডনের মেয়র সাদিক খান সন্ত্রাসী হামলাকে পরিকল্পিত কাপুরুষোচিত হামলা বলে অভিহিত করেছেন।
লেবার পার্টির নেতা জেরমি করবিন এক টুইট বার্তায় এ ঘটনাকে নিষ্ঠুর ও দু:খজনক বলে উল্লেখ করেছেন।
ঘটনার পরই লন্ডন ব্রীজ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। স্থানীয় সময় অনুযায়ী সারা রাত ব্রীজ বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছে জানিয়েছে ট্রান্সপোর্ট পুলিশ।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন, বিবিসির সাংবাদিক হলি জোন্স। তিনি জানান, একজন পুরুষ “ঘণ্টায় প্রায় ৫০ কিলোমিটার গতিতে” গাড়িটি চালাচ্ছিল। গাড়িটি ঠিক আমার পাশ দিয়ে যায় এবং ৫/৬ জন ব্যক্তির উপর উঠে যায়।
হামলার সময় সন্ত্রাসীরা নকল ভেস্ট (আত্মঘাতী বন্ধনী) পরেছিল বলে জানিয়েছে স্থানীয় পুলিশ। লন্ডন মেট্রোপলিটন পুলিশের সহকারী কমিশনার মার্ক রোলে জানিয়েছেন, সন্ত্রাসীরা এমন পোশাক পরেছিল যা দেখতে বিস্ফোরক বন্ধনীর মতই।
এদিকে হামলার ঘটনার পর পুলিশের পক্ষ থেকে জরুরি শাখা খোলা হয়েছে। যেখানে ০৮০০০৯৬১২৩৩ ও ০২০৭১৫৮০১৯৭ নম্বরে জনসাধারণকে যোগাযোগ করতে ও তথ্য দিতে অনুরোধ করা হয়েছে।
এছাড়া ঘটনাস্থলে থাকা প্রত্যাক্ষদর্শীদের ঘটনার ছবি বা ভিডিও থাকলে (http://ow.ly/JriF30cijSW) এই লিংকে শেয়ার করতে বলা হয়েছে।
ম্যানচেস্টারে হামলার আত্মঘাতী হামলার ২ সপ্তাহের মধ্যে পুনরায় এ হামলার ঘটনা ঘটলো। ম্যানচেস্টার হামলায় ২২ ব্যক্তি নিহত হয়। এর আগে গত মার্চ মাসে লন্ডনে গাড়ি হামলায় ৫ ব্যক্তি নিহত হয় এবং এক পুলিশ কর্মকর্তা ছুরিকাহত হয়।