ক্রাইমবার্তা রিপোট: ‘আর কত বয়স হলে আমি ভাতা পাবো? শেষ বয়সে এসেও ভাতার কার্ড পাওয়ার জন্য ঘুরে বেড়াচ্ছি। বয়সের কারণে ভিক্ষাও করতে পারি না। কিন্তু পেট তো মানে না। এবার কার্ড না পেলে আমি আত্মহত্যা করব!’ এভাবেই নিজের অসহায়ত্ব ও ক্ষোভের কথা তুলে ধরলেন পাবনার চাটমোহর উপজেলার বিলচলন ইউনিয়নের রামনগর গ্রামের ৮৯ বছর বয়সী মফিজ উদ্দিন।
এক সময়ের খড়ি (লাকড়ি) ব্যবসায়ী এই প্রবীণ চার মেয়ে ও দুই ছেলের জনক। মেয়েদের সবার বিয়ে হয়েছে। তবে তাদের অবস্থা তেমন ভালো নয়। এক ছেলে মারা গেছেন এবং আরেক ছেলে পৃথক থাকেন। তিনি বাবা-মায়ের কোনো খোঁজ-খবর নেন না।
এ অবস্থায় বৃদ্ধা স্ত্রী বাদলী খাতুনকে নিয়ে বিপাকে পড়েছেন মফিজ উদ্দিন। অভাবে কারণে নিয়মিত খেতে না পেয়ে শরীর শুকিয়ে গেছে তাদের। নিরুপায় হয়ে অন্যের বাড়িতে কাজ করেন বাদলী। অন্যের জমিতে ধান ও গমও কুড়ান তিনি।
কিন্তু বাদলীর আয়ে কোনো মতেই সংসার চলে না এ প্রবীণ দম্পতির। প্রায় সময়েই না খেয়ে দিন কাটে তাদের।
এ অবস্থায় বয়স্ক ভাতা পাওয়ার জন্য মরিয়া হয়ে চেষ্টা করছেন মফিজ উদ্দিন। এজন্য সকাল থেকে লাঠিতে ভর দিয়ে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে শুরু করে উপজেলার বিভিন্ন অফিসে ছুটে চলেছেন।
অবিরাম ছুটে চলায় এখন ক্লান্ত তিনি। জনপ্রতিনিধিদের আচরণে ক্ষুব্ধও। তিনি বলেন, চেয়ারম্যান-মেম্বরের কাছে গেলে তারা শুধু আশ্বাস দেয়। অনেক সময় বিরক্ত হয়ে তাড়িয়ে দেয়।
তার প্রশ্ন- ‘আর কত বয়স হলে আমি ভাতা পাবো?’
মফিজ উদ্দিনের বঞ্চনার বিষয়ে জানতে চাইলে বিলচলন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলীর মোবাইল ফোনে একাধিকবার ফোন করলেও তিনি সাড়া দেননি।
এদিকে চাটমোহর উপজেলা নির্বাহী সার বেগম শেহেলী লায়লা বলেন, আমি বিষয়টি চেয়ারমানের কাছে জেনে ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
Check Also
আশাশুনিতে টঙ্গী ইজতেমায় হত্যার বিচারের দাবিতে মানববন্ধন
এস,এম মোস্তাফিজুর রহমান,আশাশুনি।।ঢাকার টঙ্গীত ইজতেমা-মাঠে নিরীহ মুসল্লিদের উপর উগ্রবাদী সন্ত্রাসী সাদ পন্থীদের বর্বরোচিত হামলা ও পরিকল্পিত …