যশোরে তিন নেতাকর্মীকে গ্রেফতারের পর আদালতে হাজির না করায় উদ্বেগ
সরকার গ্রেফতার ও গুম করে আতঙ্ক ছড়িয়ে দিচ্ছে-ছাত্রশিবির
সোমবার ০৫ জুন ২০১৭ |
ছাত্রশিবির যশোর জেলা সভাপতি রাফিদ হাসান, শিবির কর্মী আবুল কাসেম ও তরিকুল ইসলামকে অন্যায়ভাবে গ্রেফতারের পর ৪ দিন পেরিয়ে গেলেও আদালতে হাজির না করায় উদ্বেগ প্রকাশ এবং অনতিবিলম্বে তাদের সন্ধান দাবি করে বিবৃতি দিয়েছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির।
গতকাল রোববার দেয়া যৌথ বিবৃতিতে ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি ইয়াছিন আরাফাত ও সেক্রেটারি জেনারেল মোবারক হোসাইন বলেন, গত ১ই জুন সকাল ৮টায় বেনাপোল পোর্ট থানার কাগজপুকুর দক্ষিণপাড়া প্রাইমারি স্কুলের সামনে থেকে এএসআই জহিরের নেতৃত্বে তাদের গ্রেফতার করে পুলিশ। তাৎক্ষণিকভাবে থানায় যোগাযোগ করা হলে পুলিশ তাদের গ্রেফতারের বিষয়টি স্বীকার করে। গ্রেফতারকৃতদের পরিবারের কাছেও গ্রেফতারের কথা স্বীকার করে তারা থানায় আছে জানানো হয়। গ্রেফতারের পর তাদের আদালতে হাজির করার কথা। কিন্তু গ্রেফতারের পর ৪ দিন পেরিয়ে গেলেও অজ্ঞাত কারণে এখন পর্যন্ত তাদের আদালতে হাজির করা হয়নি। কেন হাজির করা হচ্ছেনা তাও স্পষ্ট করে বলছে না পুলিশ। আমরা বিশ্বস্ত সুত্রে জানতে পেরেছি, তাদেরকে যশোর ডিবি কার্যালয়ে রাখা হয়েছে। তাদের অন্যায় ভাবে গ্রেফতার করে আদালতে না তোলা বেআইনি ও মানবাধিকারের লঙ্ঘন। গ্রেফতারের পর আদালতে না তোলার পেছনে কোন ষড়যন্ত্র লুকিয়ে আছে কি না তা নিয়ে আমরা সন্দিহান। কেননা এর আগেও পুলিশ একইভাবে গ্রেফতারের পর অস্বীকার করে ছাত্রদের হত্যা ও নাটক সাজিয়েছে।
নেতৃদ্বয় বলেন, পবিত্র রমজানেও সরকার জননিরাপত্তার বদলে গ্রেফতার ও গুম করে সারাদেশে ছাত্রজনতার মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে দিচ্ছে। যা সম্পূর্ণ অমানবিক কাজ। আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই, শিবির নেতাদের নিয়ে কোন প্রকার নাটক বা তাদের সামান্যতম ক্ষতি ছাত্রশিবির মেনে নিবে না। অবিলম্বে আমরা গ্রেফতারকৃত শিবির নেতাদের অবস্থান নিশ্চিত ও নিঃশর্ত মুক্তি দিতে প্রশাসনের প্রতি জোর দাবি জানাচ্ছি। সেইসাথে সারাদেশে নেতাকর্মীদের উপর চলমান হামলা মামলা বন্ধের দাবি জানাচ্ছি।
রোববার দুপুরে যশোর সদর উপজেলার বসুন্দিয়া এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়। বিকালে তাদের আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়।
আটককৃত জামায়াতের দুই রোকন হলেন- সদর উপজেলার জগন্নাথপুর গ্রামের মাওলানা আব্দুর রশিদের স্ত্রী রিজিয়া বেগম ও বসুন্দিয়া বিনিময়পাড়া এলাকার খোকন মিয়ার স্ত্রী শাহনাজ বেগম।
বসুন্দিয়া ফাঁড়ি ইনচার্জ এসআই ফজর আলী জানান, জামায়াতের একদল নারী কর্মী বসুন্দিয়া বিনিময়পাড়া এলাকার লুৎফর রহমানের বাড়িতে বৈঠক করছিলেন। এ সময় পুলিশ অভিযান চালিয়ে মহিলা জামায়াতের দুই রোকনসহ ৩৭ নারী কর্মীকে আটক করেছে। তাদেরকে থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।