ক্রাইমবার্তা রিপোট:রাজধানীতে সড়ক দুর্ঘটনায় ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কর্মসূচি প্রণয়ন ও পরিকল্পনা বিষয়ক সহসম্পাদক মাসুদ আলম (২৮) নিহত হয়েছেন।
আজ সোমবার সকাল নয়টার দিকে রাজধানীর যাত্রাবাড়ির মেয়র হানিফ ফ্লাইওভারে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় তিনি নিহত হন।
নিহত মাসুদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) আরবি সাহিত্য বিভাগের ২০০৬-০৭ সেশনের এবং মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হলের ছাত্র ছিলেন। তবে ছাত্রদলের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত থাকায় হলে থাকতে পারতেন না। তার গ্রামের বাড়ি বরিশালের হিজলা থানায়।
ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সংসদের তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সহসম্পাদক মামুন জানান, মাসুদের চিকিৎসার জন্য ডাক্তারের কাছে যাওয়ার কথা ছিলো। এজন্য সকালে তিনি মোটরসাইকেলে ঢাকা মেডিক্যালের উদ্দেশে রওয়ানা দেন। রাজধানীর যাত্রাবাড়ি এলাকায় ফ্লাইওভারে ওঠার সময় একটি লোকাল বাস তাকে ধাক্কা দেয়। এতে তিনি গুরুতর আহত হন। পরে তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।
এ সময় মাসুদের সাথে মোটরসাইকেলে থাকা কেন্দ্রীয় কমিটির মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সহসম্পাদক নিজামুদ্দিনও গুরুতর আহত হন। তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আজ বিকেল সাড়ে ৫টায় বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে মাসুদের নামাজে জানাজা শেষে লাশ গ্রামের বাড়ি বরিশালে নিয়ে যাওয়া হয়। আগামীকাল সকাল ১০টায় বরিশালের হিজলায় দ্বিতীয় নামাজা জানাজা শেষে মাসুদকে তার পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে।
ছাত্রদলের শোক
এদিকে মাসুদ আলমের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল। সংগঠনের কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি রাজিব আহসান ও সাধারণ সম্পাদক আকরামুল হাসান এক যৌথ শোকবার্তায় বলেন, মরহুম মাসুদ আলম অবৈধ সরকারবিরোধী আন্দোলনে রাজপথের অকুতোভয় সৈনিক ছিলেন। দলীয় প্রতিটি কর্মসূচিতে সামনের সাড়িতে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। তার মৃত্যুতে পরিবারবর্গ, আত্মীয়-স্বজন এবং গুণগ্রাহীদের সাথে আমরাও গভীরভাবে শোকাহত।
নেতৃদ্বয় মরহুম মাসুদ আলমের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকাহত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।