গতবছরের মতো এবারও ইফতার মাহফিল আয়োজন করতে পারছে না জামায়াতে ইসলামী। দলটির সেক্রেটারি জেনারেল ডা. শফিকুর রহমান দাবি করেছেন, ‘অদৃশ্য শক্তির হাতের ইঙ্গিতে’ তার দলের ইফতার আয়োজন সম্ভব হচ্ছে না।’
তিনি মনে করেন, ‘কর্তৃত্ববাদী সরকারের আমলে দেশের জনগণের সব মৌলিক অধিকার ও ধর্মীয় অধিকার ভূলুণ্ঠিত।’
বুধবার সন্ধ্যায় এক বিবৃতিতে ডা. শফিকুর রহমান বলেন, আগামী ১২ জুন ইফতার মাহফিল করার জন্য একটি হল ভাড়া নিয়েছিলাম। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের বিষয় যে, অদৃশ্য শক্তির হাতের ইশারায় ভাড়া নেওয়ার পরও হল কর্তৃপক্ষ তা দিতে অপারগতা প্রকাশ করেছে। ফলে আমাদের পক্ষে ইফতার মাহফিল করা সম্ভব হচ্ছে না।’
এ কারণে যে সব সম্মানিত রাজনীতিবিদ ও বিভিন্ন পেশার সম্মানিত বিশিষ্ট ব্যক্তিদের আমাদের ইফতার মাহফিলের দাওয়াত দেওয়া হয়েছিল, তাদের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেছে জামায়াত। যদিও ইফতার আয়োজন করা হচ্ছে—এ বিষয়টি গণমাধ্যমে জানানো হয়নি দলটির তরফে।
বিবৃতিতে জানানো হয়, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ১৯৭৯ সালে তার জন্মলগ্ন থেকেই প্রতি বছর রমজানে ইফতার মাহফিলের আয়োজন করে আসছে। যদিও গত ২০১৬ সালেও পৃথক ২টি ইফতার মাহফিলের আয়োজন করতে পারেনি তারা।
ডা. শফিকুর অভিযোগ করেন, বর্তমান কর্তৃত্ববাদী সরকারের অনাকাঙ্ক্ষিত ও অবাঞ্ছিত হস্তক্ষেপের কারণে ইফতার মাহফিল দু’টি সম্পন্ন হতে পারেনি।