একই সঙ্গে তিনি সৌদি আরবকে কাতারের প্রতি নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের অনুরোধ জানিয়েছেন।
শুক্রবার ইস্তাম্বুলে ইফতারির পূর্ব মুহূর্তে ক্ষমতাসীন নিজ দল জাস্টিস এন্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টি (একেপি) এর নেতৃবৃন্দের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
এরদোগান বলেন, ‘কাতারবাসীরা আমাদের ভাই। আমরা আমাদের ভাইদের থেকে আলাদা হব না।’
সৌদি আরবকে কাতারের উপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারে বিশেষভাবে অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আপনারা এ অঞ্চলের সবচেয়ে শক্তিশালী রাষ্ট্র। আপনারা মুসলিমদের পবিত্র স্থান ‘কাবা’ ঘরের জিম্মাদার। সুতারাং আপনাদের উচিৎ ভ্রাতৃত্ব প্রতিষ্ঠায় প্রচেষ্টা চালানো।’
মিশরে মুসলিম ব্রাদারহুডকে সাহায্য করা ও ইরানের সঙ্গে গভীর সম্পর্কের অভিযোগে কয়েক দিন আগে আকস্মিকভাবে কাতারের সঙ্গে সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন, মিশর, ইয়েমেন ও মালদিভ সম্পর্ক ছেদ করে । সৌদি আরবের নেতৃত্বে ছয় আরব দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করায় বিপাকে পড়া কাতারকে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে তুরস্ক।
ইতিমধ্যে তুরস্কের সংসদ কাতারের সমর্থনে সেনা পাঠানোরও অনুমতি দিয়েছে। তুরস্কের পার্লামেন্ট ২৪০ ভোটে এ প্রস্তাব অনুমোদন দেয়া হয়।
ভবিষ্যতে কাতার সব সবধরনের সহযোগিতা দেয়া হবে জানিয়ে এরদোগান বলেন, আমরা আমাদের কাতারি ভাইদের খাদ্য সরবরাহ ও অন্যান্য সাহায্য দেয়ায় অনেকেই আমাদের ভালো ভাবে দেখছে না। আমি দু:খের সঙ্গে তাদের বলছি, আমরা কাতারকে এমন সব ধরনের সহযোগিতা দিয়ে যাব।
কাতাদের সঙ্গে কোনো সন্ত্রাসবাদের কোনো সম্পর্ক আছে এমন কোনো প্রমাণ কারো কাছে নেই বলেও দাবি করেন এরদোগান।