ক্রাইমবার্তা রিপোট:সরকার ক্ষমতা হারানোর ভয়ে আতঙ্কিত হয়েই দ্রুত বিচার আইনের সাজার মেয়াদ বাড়িয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন।
আজ শুক্রবার দুপুরে এক আলোচনা সভায় তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলা বিঘ্নকারী আইন (দ্রুত বিচার) পুরনো আইন। ২০০২ সালে বিএনপি সরকার স্বল্পমেয়াদি স্বল্প সাজা দিয়ে এই আইনটি যখন করে তৎকালীন সাময়িক অবস্থা মোকাবিলা করার জন্য। তখন আওয়ামী লীগ এটাকে কালো আইন বলে সংসদ অধিবেশন বয়কট করেছিলো। আওয়ামী লীগ এমন একটি দল যখন যেমন, তখন তেমন। তখন ছিলো সেটা কালো আইন। এখন তারা ক্ষমতায় এসে সেই আইনের আরো সাজা বাড়িয়ে করছে ৭ বছর। কেনো করেছে বৃদ্ধি? প্রকৃতপক্ষে তারা ক্ষমতা হারানোর ভয়ে আতঙ্কিত হয়ে আছে, অস্বাভাবিকভাবে বেসামাল হয়ে হয়ে গেছে।কখন কী করেন, কখন কী বলেন হদিস নাই।
জাতীয় প্রেস ক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে ‘ঘুরে দাঁড়াও বাংলাদেশ’ নামক সংগঠনের উদ্যোগে দ্রুত বিচার আইনের শাস্তির মেয়াদ বৃদ্ধি রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত এবং জনমনে আশংকা’ শীর্ষক এই আলোচনা সভা হয়। গুলশানে বাড়ি থেকে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদকে উচ্ছেদ প্রসঙ্গে সুপ্রিম কোর্টের প্রবীন আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, মওদুদ সাহেব একটা বাড়িতে ছিলেন, সেটা বৈধ না অবৈধ সেটা অন্য ব্যাপার। কথা হলো মওদুদ আহমদ বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে একজন বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ, একজন প্রবীন আইনজীবী, বাংলাদেশের একজন উপরাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী অনেক কিছু ছিলেন। তাকে বাড়ি থেকে উচ্ছেদ করতে হবে, করেন। কিন্তু ভদ্রতা বলে তো একটা জিনিস আছে। জঙ্গি আইন বলে কিছু নাই।
হঠাৎ করে বিনা নোটিশের তার বাড়িতে হামলা হলো, ডাকাত পড়ার মতো তার মালপত্র সব কিছু বের করে দেয়া হলো। এটা কোন জঙ্গি আইন, কোন আইনের শাসন। একটা কোনো সভ্য সমাজে এই ধরণের ঘটনা ঘটতে পারে। সরকার বেসামাল হয়ে পড়েছে তার বুঝা যায়। নির্বাচন সম্পর্কে তিনি বলেন, সরকারকে বলতে চাই, দেশের মানুষ অত্যন্ত ধৈর্য্যশীল, তারা যখন জেগে উঠবে, তখন কোনো বাঁধন মানবে না। আপনাদের অত্যাচার-নির্যাতন-হত্যা-গুম করছেন। আপনারা ভাবছেন, দ্রুত বিচার আইনের সাজা বাড়িয়ে বিএনপির নেতা-কর্মীদের ভয় দেখাচ্ছেন- এবার কিন্তু ৫ বছর থেকে সাজা ৭ বছর করেছি, আর রক্ষা নেই। আমি বলতে চাই, জনগনের দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে, তারা প্রতিরোধ করবেই।
গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানান খন্দকার মাহবুব। সংগঠনের সভাপতি কাদের সিদ্দিকীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আহমেদ আযম খান, নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।