ক্রাইমবার্তা রিপোট: সাতক্ষীরা: গ্যাস সিলিণ্ডারের পাইপ ছিদ্র হয়ে আগুন লেগে শরীরের ৬০ ভাগ ঝলসে গেছে টুম্পা খাতুন নামের এক নারীর(৩০)। শনিবার ভোরে সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার খাজরা ইউনিয়নের পিরোজপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। তবে স্থানীয়দের অভিযোগ বহু বিবাহের নায়ক পিরোজপুর গ্রামের সাইফুল্লার সঙ্গে তার স্ত্রী টুম্পার বিরোধ চলে আসছিল। এ নিয়ে কথাকাটাকাটির একপর্যায়ে টুম্পার গায়ে দাহ্য পদার্থ ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে।
গোপালগঞ্জ জেলার ঢাগর উপজেলার বটবাড়ি গ্রামের মনীন্দ্র নাথ বিশ্বাস জানান, তার মেয়ে সোমা যাত্রাদলে গান করতো। ছয় বছর আগে যাত্রাদলে গান করতে যেয়ে সোমাকে মুসিলম ধর্মে ধর্মান্তরিত করে টুম্পা সাজিয়ে বিয়ে করে সাইফুল্লাহ। মরিয়ম নামে তাদের একটি পাঁচ বছরের মেয়ে আছে।তমেনা বলে সাইফুল্লার প্রথম স্ত্রী আছে। এ ছাড়া এক মাস আগে খাজরা ইউনিয়নের দুর্গাপুরে সোনা চৌকিদারের বাড়ির পাশে মাঠে যাত্রা এনে এক ওই দলের এক নারীকে ও দেড় মাস আগে আরো একটি যাত্রা দল এনে ওই দলের আরো একটি মেয়েকে বিয়ে করে সাইফুল্লাহ। বর্তমানে তার ছয় স্ত্রী। এ নিয়ে টুম্পার সঙ্গে সাইফুল্লার বিরোধ চলে আসছিল। সাইফুল্লাহ টুম্পাকে মাঝে মাঝে নির্যাতন করতো। খবর পেয়ে তিনি তার স্ত্রীকে নিয়ে গত সপ্তাহে পিরোজপুর আসেন। সাইফুল্লাহ তার মেয়ের শরীরে আগুন লাগিয়ে মেরে ফেলার চেষ্টা করেছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
আশাশুনি উপজেলার পিরোজপুর গ্রামের সাইফুল্লাহ বলেন, তার স্ত্রী শনিবার ভোরে সেহেরীরর রান্না করতে ওঠেন। এ সময় গ্যাস সিলিণ্ডারের নল লুজ থাকায় তা থেকে আগুন লেগে গুম্পার শরীরে আগুন লেগেছে। তাকে শনিবার সকালে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের সার্জারী কনসালট্যান্ট ডাঃ শরিফুল ইসলাম জানান, টুম্পার শরীরের ৫৫ থেকে ৬০ ভাগ পুড়ে গেছে। তবে গায়ে কি ধরণের দাহ্য পদার্থ ব্যবহৃত হয়েছে তা তিনি জানাতে পারেনি। তবে তাকে ঢাকা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হাসপাতালের বা খুলনা ৫০০ শয্যার বার্ন ইউনিটে স্থানান্তরের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
আশাশুনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহীনুল ইসলাম শহীদ জানান, বিষয়টি তিনি শুনেছেন।