ক্রাইমবার্তা রিপোট:রানীশংকৈল প্রতিনিধিঃ-হামার জীবনে দেখিনি সরকারের রাস্তা তৈরীত ভাটাতে আধা-ভাঙ্গা(পরিত্যাক্ত) ইট লে অসে রাস্তার কাজ করতে,হামরা রাস্তাখান দেহেনে যাওয়া আসা করতে দেখিয়ি ট্রলি লাত করে ভাটাতে আধা ভাঙ্গা,ইটের টুকরা ইটলা লে অসে রাস্তার কাজ করছে। হামরা জানি রাস্তার কাজ হবে নতুন গোটা গোটা ইট দেহেনে। কে জানি বা সরকারের লোকলা কি যে করছে।
এ প্রতিবেদককে কথা গুলো গত ২৫ এপ্রিল বলেছিলেন পথচারী আব্দুল কুদ্দুস(৫০), ঠাকুরগায়ের রানীশংকৈল উপজেলার ক্ষুদ্র বাঁশবাড়ী গ্রামে এলজিইডি’র মাধ্যমে ১কিঃমিঃ নির্মানাধীন রাস্তা নিয়ে। সম্প্রতি এ রাস্তাটিতে কার্পেটিং করার পর ১৫ দিন না পেরুতেই কার্পেটিং উঠে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে এবং সরজমিনে গিয়ে দেখা গেছে রাস্তাটির বিভিন্ন স্থানে কার্পেটিং উঠে গেছে কোন স্থানে খাল হয়ে রয়েছে এখনও রাস্তাটির দুধারে কার্পেটিং শক্ত হয়ে বসেনি।। এবং এ নিয়ে সংবাদও প্রকাশ হলেও কাজ ভাল হয়েছে বলে বিষয়টি উড়িয়ে দিচ্ছেন সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষ। ক্ষুদ্র বাশঁবাড়ী গ্রামের নির্মানাধীন রাস্তায় সে-সময় গিয়ে দেখা যায়,ইটের খোয়া করার জন্য ভাঙ্গা ভাঙ্গা, টুকরা টুকরা বিভিন্ন ধরনের মিশ্রিত ইট রাস্তাটির কিছু-দুর দুর স্তুপ করে রেখেছে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার। আর এ কাজটি করেছে স্বপন ট্রের্ডাস নামক একটি ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান। স্বপন রানীশংকৈল উপজেলার নেকমরদ এলাকার বাসিন্দা। তিনি একজন প্রভাবশালী ঠিকাদার এছাড়াও তাদের ব্যক্তিগত ইট ভাটাও রয়েছে বলে জানা যায়। রাস্তাটির ১ম থেকেই অনিয়ম হচ্ছে বলে জানান স্থানীয়রা, তারা আরো জানান রাস্তাটিতে বালু ও মাটি মিশ্রিত করে বালু দেওয়া হয়েছে যদিও শুধু মাত্র বালু দেওয়ার বিধান রয়েছে। তবে একটু আকটু মাটি পড়েছে বলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্বীকার করেন একজন শ্রমিক। রাস্তাটির প্রস্ততার কোন নিদিষ্ট পরিমাপ নেই সোজা জায়গায়ও আকাবাকা ভাবে ইটের রেলিং করে কাজ করা হয়েছে। ঐ রাস্তার ইট গুলো নিয়েও উঠেছে দরুণ অভিযোগ। ইটগুলো যে কোন ভাটার ইট বিক্রির পর পরে থাকা পরিত্যাক্ত ইট বলে জানান এলাকাবাসী। ঐ এলাকার অনেকে বলেন,আমরা এই অনিয়মের প্রতিবাদ করলে নাকি থানা পুলিশ দিয়ে আমাদের হয়রানী করানো হবে হুমকি প্রদান করে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার কতৃপক্ষের লোকজন তাই আমরা প্রতিবাদ করতে পারি না। রাস্তাটির বিষয়ে অনিয়মের অভিযোগ উঠলেও কোন ব্যবস্থাই নেইনি এলজিইডি কতৃপক্ষ। এ ব্যাপারে প্রকৌশলী তারেক বিন ইসলামের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ইউএনওর সাথে মিটিং করছেন পরে কথা হবে বলে ফোন কেটে দেন সে-সময়। আর ঠিকাদার স্বপন’র সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি এ প্রতিনিধিকে বলেন আপনি যে সাংবাদিক আমি কি করে বুঝবো কেউতো আমাকে আন্দাজি ফোন দিয়েও বলতে পারে তাই এ বিষয়ে কিছু বলতে পারবো না আপনি আমার চেম্বার নেকমরদে আসেন তারপর সাক্ষাৎকার দিবো।