প্রকাশ : ১০ জুন ২০১৭,
বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১টার দিকে উপজেলার পইনাল মোল্যার কান্দি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
মোহন খান ওই গ্রামের কাদির খানের ছেলে। আর ফাহিমা পাশের মমিন ফরাজী কান্দি গ্রামের ফজলু ফরাজীর মেয়ে।
ফাহিমার ভাই রিপন ফরাজী জানায়, প্রায় এক বছর আগে মোহন খানের সঙ্গে ফাহিমার বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে মোহন কোনো কাজকর্ম করতো না। অসুস্থের অজুহাতে সারাদিন ঘরে বসে থাকতো আর ভিটামিন ওষুধের নামে ইয়াবা সেবন করতো। কিছু বললেই ফাহিমাকে মারধর করতো মোহন।
এ কারণে কিছুদিন আগে ফাহিমা তার বাবার বাড়ি চলে যায়। পরে আক্কাস মেম্বার ও হারুন মাদবর সালিশের মাধ্যমে ফাহিমাকে স্বামীর বাড়িতে দিয়ে আসেন।
বৃহস্পতিবার রাতে ঘরের মধ্যে ফাহিমার ওপর পাশবিক নির্যাতন চালায়। এ সময় ফাহিমার উরুসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে কামড়িয়ে ক্ষত-বিক্ষত করে। এছাড়া তার গোপনাঙ্গে টেঁটার নাল, বোতল, ধাতব পদার্থ ঢুকিয়ে দেয় মোহন।
পরিবারের লোকজন খবর পেয়ে আহত ফাহিমাকে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।
অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়।
সদর হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স নাসিমা বলেন, ফাহিমার গোপনাঙ্গে লোহা, বোতল, কনডম ঢোকানো হয়েছে। লোহা ধরে টান দিলে নাড়ী, মাংসসহ বেরিয়ে আসে। তাছাড়া তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে কামড়ের দাগ রয়েছে।
হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. শেখ মো. এহসানুল ইসলাম বলেন, ফাহিমাকে প্রথমে গাইনি বিশেষজ্ঞ ডা. সাবরিনার কাছে পাঠানো হয়। সেখানেও কোনো সমাধান না হওয়ায় রোগীকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।