ক্রাইমবার্তা রিপোট:আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, রোজার ঈদের পর সরকারের বিরুদ্ধে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার আন্দোলনের হুমকি ফাঁকা বুলি ছাড়া আর কিছু নয়।
তিনি বলেন, জনগণকে ফাঁকা বুলি দিয়ে বিভ্রান্ত করবেন সেইদিন চলে গেছে বেগম জিয়ার। এই ধরনের ফাঁকা বুলি দিয়ে আওয়ামী লীগকে বিভ্রান্ত করা যাবে না।’
ওবায়দুল কাদের আজ রোববার বাংলাদেশ প্রকৌশলী বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) অডিটরিয়ামে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের দু’দিন ব্যাপি বর্ধিত সভার উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন।
বর্ধিত সভায় কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ ও ১০৯টি জেলা ইউনিটের সভাপতি-সম্পাদকরা বর্ধিত সভা ও প্রশিক্ষণ কর্মশালায় অংশ নেন।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘বিএনপি শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন করবে এটা যদি সত্য হয়, তা আরব্য রজনীর রূপকথাতেও হয় না। বিএনপির আন্দোলনের আট বছরে ঈদের পর, কোরবানীর ঈদের পর, এসএসসি পরীক্ষার পর বলেই আসছে। আমরা জানতে চাই এবারের আন্দোলন কোন ঈদের পর হবে। আর সেটা কোন বছর?’
ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগের সভাপতিত্বে বর্ধিত সভায় ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইসহাক আলী খান পান্না, সাবেক সভাপতি মাহমুদুল হাসান রিপন, ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসাইন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
‘হাসিনা মার্কা নির্বাচন হতে দেয়া হবে না’ বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার এমন বক্তব্যের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, খালেদা জিয়া আপনাকে বলতে চাই, আপনি মনে হয় ইতিহাস ভুলে গেছেন। ১/১১ এর পটভূমি তৈরি করে কে অন্ধকারের দিকে জাতিকে ঠেলে দিতে চেয়েছিল। তার আগের পাঁচ বছর কি ঘটেছিল বাংলাদেশে, কেন ১৫ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন সৃষ্টি করেছিলেন? আজকে বেগম খালেদা জিয়া আপনার কি মনে নেই সেই আজিজ মার্কা নির্বাচনের কথা। আমরা কি সেই ইতিহাস ভুলে গেছি।
আগামী নির্বাচনকে নিয়ে বিদেশী কুটনৈতিকদের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘যেসব কুটনৈতিক আমাদের দেশের আগামী নির্বাচন নিয়ে মাথা ঘামাচ্ছে তাদের উদ্দেশ্যে আমি বলতে চাই। নিজ নিজ দেশের চেহারাটা আগে দেখুন, আয়নায় নিজেদের দেখুন, নিজ দেশ নিয়ে মাথা ঘামান। আগামী নির্বাচন ফ্রি অ্যান্ড ফেয়ার হবে। আমাদের নির্বাচন নিয়ে আপনাদের মাথা ঘামানোর দরকার নেই।’
নির্বাচন নিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন অদ্ভুত দাবি করে আসছে জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, আগামী নির্বাচন শেখ হাসিনার অধীনে হবে না, নির্বাচন হবে নির্বাচন কমিশনের অধীনে। শেখ হাসিনা সরকার নির্বাচন কমিশনকে নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য সহায়তা করবে। পৃথিবীর কোথাও সহায়ক সরকারের কোনো বিধান নেই। বিশ্বের অন্যান্য দেশে যেভাবে নির্বাচন হয় বাংলাদেশে একইভাবে নির্বচান হবে। আর এ নিয়ে বিএনপি নেত্রী অদ্ভুত, উদ্ভট দাবি করে আসছেন।