ক্রাইমবার্তা রিপোট: সাতক্ষীরা সংবাদদাতাঃ সরকারী মুল্যের চেয়ে বাজার মুল্য বেশি হওয়ায় সাতক্ষীরায় চাল সংগ্রহ অভিজান ব্যর্থ হতে চলেছে। বাজার মুল্যের চেয়ে সরকারী মুল্য কম হওয়াতে এ অবস্থার সৃষ্টি মিল মালিকরা সরকারী দরে চাল বিক্রি করতে অপারগতা প্রকাশ করেছে।ফলে মিলারের ৪ বছরের জন্য লাইসেন্স স্থগিত ও কালো তালিকাভুক্ত করা হচ্ছে বলে জানালেন সাতক্ষীরা জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক সুজিত কুমার মুখার্জি।
জানা যায়, গত ২ মে থেকে সাতক্ষীরা জেলায় সরকারী ভাবে বোরো চাল সংগ্রহ অভিযান শুরু হয়েছে। কিন্ত গত এক মাসের মধ্যে জেলার ৭টি উপজেলার মধ্যে ৫টিতে এক কেজি চালও সংগ্রহ হয়নি। অন্য ২টি উপজেলাতে মাত্র ৪৪ টন বোরো চাল ক্রয় হয়েছে। যা লক্ষ্যমাত্রার বিপরিতে ২% অর্জিত । সরকারী মুল্যের চেয়ে বাজার মুল্য বেশি হওয়ায় মিলাররা এগিয়ে আসছে না বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।
জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যলয় থেকে জানা গেছে, চলতি বোরো মৌসুমে সাতক্ষীরার সাতটি উপজেলার জন্য সরকারী ভাবে চাল সংগ্রহ লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারন করা হয় ৭ হাজার ৭৩৮ মেট্রিকটন। এরমধ্যে সাতক্ষীরা সদর উপজেলায় ৩ হাজার ৮৮৮ টন, কলারোয়ায় ৫৬৫ টন, তালায় ১ হাজার ৯৫৫ টন, কালিগঞ্জে ৫০৮ টন, দেবহাটায় ৪৭১ টন, আশাশুনিতে ১৯৫ টন এবং শ্যামরগরে ১৫৬ টন। ৩৪ টাকা সরকারী মুল্য নির্ধারন করে জেলায় বোরো চাল সংগ্রহ অভিযান শুরু হয় গত ২ মে থেকে। যা চলবে আগামী ৩০ আগষ্ট পর্যন্ত।
সুত্রটি আরো জানায়, এই লক্ষ্যমাত্রার বিপরিতে গত এক মাসে অর্জিত হয়েছে কালিগঞ্জে ৩২ টন এবং দেবহাটায় ১২ টন। যা লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় ২ শতাংশ অর্জন। এর কারন হিসেবে সংশ্লিষ্টরা বলছে, সরকারী মুল্যে চেয়ে বাজার মুল্য কেজি প্রতি ৮ থেকে ১০ টাকা দর বেশি থাকায় মিলাররা সরকারী গুদামে চাল দিচ্ছে না। সুত্রটি আরো বলে, জেলার ২৮৫ টি নিবন্ধিত মিলমালিকদের মধ্যে সরকারের সাথে চুক্তি করেক্তে করেছে ১৯৩ জন।
সাতক্ষীরা জেলা চালকল বা চাতাল মিলমালিক সমিতির সভাপতি আব্দুল গফ্ফার জানান, সরকার ৩৪ টাকা দরে মিলারদের কাছ থেকে সংগ্রহের মুল্য নির্ধারন করেছে। কিন্ত বোরো চালের বর্তমান বাজার দর যাচ্ছে ৪০ থেকে ৪২ টাকা। ফলে সরকারী মুল্যের ব্যবধান হচ্ছে মন প্রতি ২৮০ থেকে ৩০০ টাকা পর্যন্ত। এই লোকসান যেনে শুনে কোনো মিলার করতে চাইবে কেন? ফলে সরকারের সাথে চুক্তি করেও গুদামে চাল দিতে পারছে না তারা।
সাতক্ষীরা জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক সুজিত কুমার মুখার্জি বলেন, লোকসান এড়াতে চুক্তি করার পরও মিলার সরকারী গুদামে চাল দিচ্ছে না। তবে সরকারী মুল্যে চেয়ে বাজার মুল্য বেশি হওয়ায় মিলমালিকরা চাল অনন্ত্র বিক্রি করছে। তবে সরকারের নির্দেশ পাওয়ার পরও চুক্তি করেনি ্এমন প্রায় ২০০ মিলারের ৪ বছরের জন্য লাইসেন্স স্থগিত ও কালো তালিকাভুক্ত করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি। তাছাড়া অন্যান্য মৌসুমে ধান ক্রয় করা হলেও চলতি বোরো মৌসুমে সরকার কোনো ধান কিনছে না। ফলে চাষিরা তাদের ইচ্ছামাফিক ধান বিক্রি করছে।—আবু সাইদ বিশ্বাসঃসাতক্ষীরা—১২/৬/১৭
Check Also
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল রাষ্ট্রীয় পদে আসীন হচ্ছেন খবরে আসামিপক্ষে শুনানি করেননি সমাজী
জুলাই-আগস্টের গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার সাবেক ৯ মন্ত্রীসহ ১৩ জনকে আন্তর্জাতিক …