তিনি এমনটাই জানিয়েছেন তার ঘনিষ্ঠজনদের। যদিও রাজনীতি ও নির্বাচন তার জন্য নতুন কিছু নয়। এর আগে তিনি ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছিলেন।
তিনি বিএনপিপন্থী হিসেবে পরিচিত হলেও সম্প্রতি তিনি টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর মাজার জিয়ারত করেন। ফলে তিনি আওয়ামী লীগ না বিএনপি থেকে মনোনয়ন চাইবেন, তা খোলাসা করেননি।
এক-এগারোর রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর আর সব রাজনীতিকের মতো বিপাকে পড়েন ডিপজল।কারাগারেও যেতে হয় তাকে।
তার ঘনিষ্ঠরা বলেন, এক-এগারোতে ডিপজল ব্যক্তিগত ও রাজনৈতিকভাবে যে ক্ষতির মুখে পড়েছিলেন তা নজিরহীন।
পরে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এলে দীর্ঘদিন রাজনীতির বাইরে ছিলেন ডিপজল। বিএনপির কোনো রাজনৈতিক সভা-সেমিনারে দীর্ঘকাল দেখা যায়নি তাকে। সিনেমাতেও অভিনয় করেননি অনেক দিন।
সবশেষে ২০১৫ সালের এপ্রিলের শুরুতে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিসৌধে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়ে প্রকাশ্যে আসেন ডিপজল।
বঙ্গবন্ধুর সমাধিসৌধে শ্রদ্ধা জানানোর মধ্য দিয়েই তিনি বিএনপির রাজনীতি থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে সরে আসেন।
ডিপজলের ঘনিষ্ঠ একাধিক সূত্র জানান, তিনি এখন আবার সিনেমায় সময় দিচ্ছেন। পাশাপাশি স্বচ্ছ ভাবমূর্তি নিয়ে রাজনীতি করতে চান। তবে তার বড় ইচ্ছে ঢাকার সংসদ সদস্য হওয়া। নির্বাচনে অংশ নেয়ার জন্য তিনি ঢাকার কোন আসন থেকে মনোনয়ন চাইবেন তাও খোলাসা করে বলেননি।
শুধু এটুকু বলেছেন, সময় হলে সব বলবেন।
১৯৫৮ সালের ১৫ জুন ঢাকার মিরপুরের বাগবাড়িতে জন্ম নেয়া ডিপজলের বাংলা সিনেমায় আগমন হয় পরিচালক মনতাজুর রহমান আকবরের হাত ধরে। তার প্রথম ছবি ‘টাকার পাহাড়’।