সোশ্যাল মিডিয়ায় সৌদি বিরোধী ঝড়
কাতারের সঙ্গে সম্পর্কচ্ছেদ ও হামাসকে সন্ত্রাসী সংগঠন বলায় আরবের সোশ্যাল মিডিয়াগুলো সৌদি আরব সরকারের বিরোধী নেতিবাচক মন্তব্যে ছেয়ে গেছে। সোশ্যাল মিডিয়ার হাজারো ব্যবহারকারী সৌদি সরকারের বিরুদ্ধে মতামত ব্যক্ত করেছেন।
সম্প্রতি সৌদি আরব ও তার মিত্ররা ৭১ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের তালিকা প্রকাশ করে। যারা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত বলে অভিযোগ করা হয়। ওই তালিকার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে ফিলিস্তিনের রাজনৈতিক সংগঠন হামাস।
হামাসকে সন্ত্রাসী বলার পর থেকেই মধ্যপ্রাচ্যের সামাজিক মাধ্যম ব্যবহারকারীরা তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে। তারা হামাসকে সন্ত্রাসী নয়; বরং বৈধ প্রতিরোধ সংগ্রাম হিসেবে চিহ্নিত করছে।
বৃহস্পতিবার হামাস সমর্থকরা ‘হামাস প্রতিরোধ সংগ্রাম, সন্ত্রাসী নয়’ শিরোনামে সামাজিক মাধ্যমে হ্যাশট্যাগও চালু করে।
অবশ্য রবিবার রাশিয়া টুডেতে প্রকাশিত এক সাক্ষাৎকারে কাতারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ বিন আব্দুল রহমান আল থানিও হামাসকে ‘বৈধ প্রতিরোধ সংগ্রাম’ বলে মন্তব্য করেন ।
ফিলিস্তিন, কাতার, জর্ডান, মিশর, আলজেরিয়া, ওমান ও লিবিয়ার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারকারীরাই সৌদির বিরুদ্ধে এবং কাতার ও ফিলিস্তিনের পক্ষে বেশি জনমত সৃষ্টি করছে।
ফিলিস্তিন বিশেষজ্ঞ সারি ওরাবি তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখেছেন, ‘কার বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হল তা আমরা মানতে বাধ্য নই।’
আরব আমিরাতের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের একজন অধ্যাপক সেলিম আল মেনহালি। তিনি বলেছেন, এটা স্বাভাবিক যে, হামাস একটি প্রতিরোধ সংগ্রাম। তারা সন্ত্রাসী নয়। তারা কাউকে আক্রমণ করে না, বরং তারা দখলদারিদের হাত থেকে ফিলিস্তিনের প্রতিরক্ষায় কাজ করে।
ফিলিস্তিনের সাবেক কারাবরণকারী মোহাম্মদ মেরদাউ তার টুইটারে লিখেছেন, ‘আরব কর্তৃপক্ষের কিছু লোক হামাসকে সন্ত্রাসী বলায় ইসরাইলের দখলদারিরা মজা পাচ্ছে।’
ফিলিস্তিনের ব্লগার ও সংগঠক আহমেদ বিকোয়ারি লিখেছেন, ‘শয়তান সব জায়গায় আছে। যারা আপনাকে প্ররোচিত করবে।’
মিশরের রাজনীতিবিদ আইমান নূর তার টুইটারে লিখেছেন, ‘সৌদি আরবের বিবৃতিতে প্রমাণ হয় তারা বিভ্রান্তির মধ্যে আছে।’