ক্রাইমবার্তা রিপোট:গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি ও বিদ্যুতে ১৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপসহ লুণ্ঠন সহায়ক গরিব মারার বাজেট প্রত্যাখ্যান এবং হাওরবাসীর জন্য বরাদ্দের দাবি জানিয়েছে বাম রাজনৈতিক দলগুলো।
একই সাথে জলমহাল ইজারা বাতিলসহ জনজীবনের সমস্যা সমাধানের দাবিতে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদ ও গণতান্ত্রিক বামমোর্চা ঐক্যবদ্ধভাবে সচিবালয়ের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ করে।
মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সমাবেশ করে একটি বিক্ষোভ মিছিল পল্টন ঘুরে সচিবালয়ের সামনে এলে পুলিশ তাদের বাধা দেয়।
পরে এখানে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক মো. শাহ আলম, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জুনায়েদ সাকী, বাসদ কেন্দ্রীয় নেতা রাজেকুজ্জামান রতন, বাসদ (মার্কসবাদী) কেন্দ্রীয় নেতা আকম জহিরুল ইসলাম, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক আন্দোলনের সমন্বয়ক হামিদুল হক, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির কেন্দ্রীয় নেতা শহীদুল ইসলাম সবুজ।
সমাবেশ পরিচালনা করেন সিপিবি ঢাকা মহানগর কমিটির সাধারণ সম্পাদক ডা. সাজেদুল হক রুবেল।
সিপিবি সাধারণ সম্পাদক মো. শাহ আলম বলেন, এই বাজেট ধনী লুটপাটকারীদের স্বার্থে প্রণীত। এবারের বাজেট যেমন সবচেয়ে বেশি ব্যয়ের বাজেট, তেমনই সবচেয়ে বড় ঘাটতি বাজেট। হাওরের ইজারা, বাজেটসহ জনদুর্ভোগ সৃষ্টির সমস্ত অপতৎপরতার বিরুদ্ধে জনগণের পক্ষে বামগণতান্ত্রিক শক্তিকে ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।
তিনি বাম ও গণতান্ত্রিক শক্তির সমন্বয়ে বৃৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলার ঘোষণা দেন।
সমাবেশে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, অর্থমন্ত্রী জনগণের ওপর ট্যাক্সের বোঝা চাপিয়ে আমলা ব্যবসায়ী তোষণের বাজেট প্রণয়ন করেছেন। সরকার জনগণের প্রতিপক্ষ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
লুটপাটের দায় জনগণের কাঁধে চাপানোর এই বাজেট প্রত্যাখ্যান করার জন্য জনগণের প্রতি আহবান জানান তিনি।
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জুনায়েদ সাকী বলেন, ব্যাংক লুটপাট, দেশের টাকা পাচার করে তা পূরণের জন্য জনগণের ওপর করের বোঝা চাপানো হচ্ছে। এই সরকার লুটপাট ও দুর্নীতিবান্ধব এবং জনগণের শত্রু হিসেবে যতদিন টিকে থাকবে ততই জনদুর্ভোগ বাড়বে।
বাম গণতান্ত্রিক শক্তির ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ ছাড়া জনগণের স্বার্থ রক্ষা করা যাবে না বলেও মন্তব্য করেন জোনায়েদ সাকী।
বাসদ নেতা রাজেকুজ্জামান রতন বলেন, সমস্ত যুক্তি উপেক্ষা করে সরকার গ্যাসের দাম বাড়িয়েছে, বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর পাঁয়তারা করছে। দেশের টাকা পাচারকারী, ব্যাংকের টাকা আত্মসাৎকারীদের সহায়তা করা আর জনগণের ওপর ভ্যাট-ট্যাক্স করের বোঝা চাপানোর এই সরকারের বিরুদ্ধে বাম গণতান্ত্রিক শক্তির ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।
বাসদ (মার্কসবাদী)’র নেতা জহিরুল ইসলাম বলেন, লুটপাটের পাহারাদারের ভূমিকায় অবতীর্ণ এই সরকারের বিরুদ্ধে বাম গণতান্ত্রিক শক্তির প্রতিরোধ আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।