ক্রাইমবার্তা রিপোট:সাতক্ষীরার বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে সংসদে কথা বললেন ডা. রুহুল হক এমপি: বাজেট বক্তৃতায় বাইপাস সড়ক আলিপুর চেকপোস্টে সংযোগ করার দাবী
বাজেট বক্তৃতায় বাইপাস আলিপুর চেকপোস্টে সংযোগ করার দাবী
জাতীয় সংসদে বাজেট বক্তৃতায় সাবেক স্বাস্থ্য মন্ত্রী ডা. আফম রুহুল হক এমপি সাতক্ষীরা বাইপাস সড়কের ডিজাইন পরিবর্তনের দাবী জানিয়ে বলেছেন “সাতক্ষীরা শহর বাইপাস সড়কটি মেডিকেল কলেজ পার হয়ে ভোমরা বর্ডার চেকপোস্টের সাথে সংযোগ হবার কথা। যখন এ বাইপাস রাস্তাটি নিয়ে প্রাথমিক আলোচনা হয় তখন এভাবেই ডিজাইন করার কথা ছিল। কিন্তু আমি কিছুদিন আগে সাতক্ষীরায় গিয়ে দেখলাম বাইপাস সড়কটি মেডিকেল কলেজের নিকটবর্তী স্থানে গিয়ে ভোমরা বর্ডার রাস্তার সঙ্গে মিলেছে। ফলে মেডিকেল কলেজটি ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে। এজন্য আমাদের দাবী হলো বাইপাস সড়কটি ভোমরা বর্ডার চেকপোস্টের সাথে সংযোগ করার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক।”
গতকাল সাতক্ষীরা জেলার সামগ্রিক উন্নয়ন, সম্ভাবনা ও সমস্যার কথা তুলে ধরে জাতীয় সংসদে দীর্ঘ বক্তব্য দিয়ে আশার আলো জ্বেলেছেন সাতক্ষীরা-৩ আসনের সংসদ সদস্য সাবেক সফল স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী ডা. আ. ফ. ম রুহুল হক।
বাজেট বক্তব্য: ২০১৭-২০১৮ অর্থ বছরের বাজেট বক্তৃতায় তিনি স্পীকারকে ধন্যবাদ দিয়ে বলেন, ১০ম জাতীয় সংসদের ৪র্থবাজেট অধিবেশনে অর্থমন্ত্রী কর্তৃক প্রস্তাবিত ২০১৭-১৮ অর্থ বছরের বাজেটের উপর আমাকে আলোচনার সুযোগ দেওয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। আলোচনার শুরুতে সাংসদ রুহুল হক জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবার, মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের এবং গণতান্ত্রিক আন্দোলনে নিহতদের শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন।
এলাকার জনগনকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে ডা. আ. ফ. ম রুহুল হক বলেন, আমি আমার নির্বাচনী এলাকা ১০৭-সাতক্ষীরা-৩ এর জনগণকে ধন্যবাদ জানাই। তাঁরা আমাকে এই মহান সংসদে এসে তাঁদের কথা বলার সুযোগ করে দেওয়ায় তাঁদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়ে সাবেক স্বাস্থ্য মন্ত্রী বলেন, বৈশ্বিক মন্দার মধ্যেও বাংলাদেশের অর্থনীতি সকল প্রতিকুলতা, বাধা-বিপত্তি পেরিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। শুধু এগিয়ে যাচ্ছে তাই-ই নয়, বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার দিক-নির্দেশনায় বাংলাদেশের উন্নয়নের ঝুড়ি আজ উপচে পড়ছে। তাই অর্থনীতির সকল ক্ষেত্রে এ ধারাবাহিক সাফল্য অর্জনের জন্য তিনি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও মাননীয় অর্থমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান।
বর্তমান সরকারের আমলে এলাকার উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরে ডা. আ. ফ. ম রুহুল হক এমপি বলেন, বিগত ৮ বছরে বর্তমান সরকারের উন্নয়নে বাংলাদেশের চেহারাই বদলে গেছে। আমি দক্ষিণবঙ্গ তথা সাতক্ষীরার জন প্রতিনিধি। আইলা ও সিডর বিধ্বস্ত এলাকা সাতক্ষীরা। সব সময় যা অবহেলিত ছিল। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সেখানে সুন্দরবনে বিশ্ব মানের পর্যটন কেন্দ্র, যশোর-সুন্দরবন রেললাইন, ভোমরা স্থলবন্দর, সাতক্ষীরা শহর বাইপাসসহ সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ স্থাপনের ব্যবস্থা করে সাতক্ষীরার মানুষকে কৃতজ্ঞতার পাশে আবদ্ধ করেছেন। আমি তাদের পক্ষ হতে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। আমার নির্বাচনী এলাকার দেবহাটা উপজেলা এই অর্থ বছরের মধ্যেই শত ভাগ বিদ্যুায়িত হবে। আশাশুনি, কালিগঞ্জও প্রায় একই অবস্থা। এজন্য আমি বিদ্যুত প্রতিমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
তিনি আরো বলেন, আমার নির্বাচনী এলাকায় বিগত ৮ বছরে অনেক উন্নয়ন হয়েছে। বুধহাটা-গাজীরহাট ভায়া বদরতলা ২০ কিলোমিটার রাস্তা কার্পেটিং, কাঁদাকাটির হলদিয়াপোতা হতে প্রতাপনগর পর্যন্ত ৩৩ কিলোমিটার রাস্তা কার্পেটিং, মরিচচাপ নদীর উপর চাপড়া বেইলি ব্রিজ সংস্কার, শোভনালী ব্রিজ নির্মাণ, বড়দল ব্রিজ নির্মাণ, বাঁশতলা ব্রিজ নির্মাণ, ৪১টি সাইক্লোন সেন্টার নির্মাণ, প্রচুর গ্রামীন, উপজেলা ও ইউনিয়ন সড়ক নির্মাণ করা হয়েছে, পারুলিয়া-শশাডাঙ্গা ৫০ কিলোমিটার রাস্তা নির্মাণ, দরগাপুর ও তারালিতে ১০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল নির্মাণ, আশাশুনি ও দেবহাটা কলেজসহ স্কুল-কলেজ সরকারীকরণ ও এমপিওভূক্ত করা হয়েছে। প্রচুর মসজিদ-মন্দির সংস্কার ও মেরামত করা হয়েছে। তাছাড়া ১০ কোটি ও ১২.৫০ কোটি ব্যয়ে নাভারন-সাতক্ষীরা ও সাতক্ষীরা সার্কিট হাউজ থেকে বাকাল ব্রিজ রাস্তার মেরামত ও সংস্কার কাজ শুরু হয়েছে।
সাবেক স্বাস্থ্য মন্ত্রী এলাকায় ২০০৯ সাল থেকে এ পর্যন্ত রাস্তাঘাট, সাইক্লোন সেন্টারের উন্নয়নের ছোট্ট একটা চিত্র তুলে ধরে বলেন, আশাশুনি সাইক্লোন সেন্টার ২৬টি, উপজেলা সড়ক ৫২.১২ কিমি, মোট সড়ক ১৭৭.০২ কিমি ইউনিয়ন সড়ক ৫২.০৩ কিমি, গ্রামীণ সড়ক ৭২.০৫ কিমি, ব্রিজ কালভার্ট ২৮২.১৬ মিটার, দেবহাটা সাইক্লোন সেন্টার ৯টি, উপজেলা সড়ক ২০.০৫ কিমি, মোট সড়ক ৪৪.১১ কিমি ইউনিয়ন সড়ক ৬.০৬ কিমি, গ্রামীণ সড়ক ১৮.০০ কিমি, ব্রিজ কালভার্ট ১২ মিটার, কালিগঞ্জ (আংশিক) সাইক্লোন সেন্টার ৬টি, উপজেলা সড়ক ১২.০০ কিমি, মোট সড়ক ৬৯.০৫ কিমি ইউনিয়ন সড়ক ২৩.০০ কিমি, গ্রামীণ সড়ক ৩৪.০৫ কিমি, ব্রিজ কালভার্ট ১২ মিটার উন্নয়ন হয়েছে।
সাবেক স্বস্থ্য মন্ত্রী বলেন, উন্নয়ন চলমান প্রক্রিয়া। আশাতিরিক্ত উন্নয়নের পরও কিছু সমস্যা থেকে যায়। আমার এলাকার ঠিক সে রকম কিছু সমস্যার কথা তুলে ধরতে চাই। এসময় তিনি আশাশুনি উপজেলায় জলাবদ্ধতা, সড়ক ও সেতু বিভাগ, স্বাস্থ্য খাত, সুপেয় পানির ব্যবস্থা, এলজিইডি’র রাস্তা সংস্কার ও উন্নয়ন, সাইক্লোন সেন্টার নির্মাণ, স্কুল-কলেজ এমপিওভুক্তকরণ, অর্থনৈতিক জোন গড়ে তোলার উপর গুরুত্বারোপ করেন।
আশাশুনি উপজেলায় জলাবদ্ধতা বিষয়ে ডা. রুহুল হক এমপি বলেন, মাননীয় স্পীকার আশাশুনি উপজেলায় জলাবদ্ধতা এখন বিশাল আকার ধারণ করেছে। এর কারণ জলমহাল ইজারা নিয়ে মাছ চাষ করা হচ্ছে। জলমহালগুলোর ভিতরে বড় বড় খাল আছে। বর্ষার পানি এসব খালে স্থাপিত শরিগাতী, ঘলঘলে, গাবতলা ও মোকামখালিস্লুইস গেটের মাধ্যমে বর্ষার পানি বেতনা নদীতে নিষ্কাশিত হয়ে থাকে। বিগত জোট সরকারের সময়ে ১০ বছর মেয়াদী ইজারা নিয়ে এসব খাল বিভিন্ন ভাগে বিভক্ত করে ক্রস বাধ দিয়ে মাছের চাষ করা হচ্ছে। এজন্য পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়ায় আশাশুনি উপজেলায় জলবদ্ধতা হচ্ছে। তাছাড়া বাঁশদহ ও সাপমরা নদী দুইটি ইছামতির সাথে সংযোগ আছে। তবে পলি জমে নদী ২টির উৎস মুখ বন্ধ হয়ে গেছে। তাই বাঁশদহ ও সাপমরা নদী দুইটি খনন করা হলে আশাশুনির একাংশের জলবদ্ধতা দূর করা সম্ভব। মাননীয় স্পীকার পার্শ্ববর্তী তালা উপজেলায় একই অবস্থা বিরাজ করছে। মাননীয় স্পীকার আমি আপনার মাধ্যমে এ বিষয়ে মাননীয় ভূমি ও পানি সম্পদ মন্ত্রী মহোদয়ের সদয় দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
সড়ক ও সেতু বিভাগের সমস্যার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, সাতক্ষীরা-দেবহাটা-কালিগঞ্জ-শ্যামনগর-মুন্সিগঞ্জ, আশাশুনি-শ্যামনগর ভায়া ঘোলাকোলা, সাতক্ষীরা-আশাশুনি রাস্তাগুলো দ্রুত মেরামত করা আবশ্যক। রাস্তাগুলো চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। রাস্তায় বড় বড় গর্ত তৈরী হয়েছে।
খুলনা-সাতক্ষীরা রোড বহু পুরনো। ভারত-বাংলাদেশের আমদানি-রপ্তানি বানিজ্যের বিরাট অংশ সাতক্ষীরার ভোমরা বর্ডারের মাধ্যমে হয়ে থাকে যা খুলনা হয়ে দেশের অন্যান্য অঞ্চলে যায়। ভোমরা স্থল বন্দরের উন্নয়ন চলছে। বর্তমানে এই রাস্তায় প্রতিদিন শত শত ট্রাক চলাচল করে। অচির ভবিষ্যতে এটা আরো বাড়বে। ২ লেনের রাস্তার হওয়ায় প্রায় প্রতিদিনই সড়ক দূর্ঘটনা ঘটে থাকে। রাস্তাটি ৪ লেনের করা হলে সড়ক যোগাযোগ আরো উন্নত হবে।
তিনি আরো বলেন, আশাশুনি উপজেলার মানিকখালি ব্রিজ নির্মাণের জন্য কার্যাদেশ প্রদান করা হয়েছে। কিন্তু এখনো কাজ শুরু হয়নি। কাজটি দ্রুত সম্পাদন করা প্রয়োজন। মানিকখালি ব্রিজ থেকে বড়দল পর্যন্ত রাস্তা নির্মাণ করা আশু প্রয়োজন। তাছাড়া আশাশুনি-শ্যামনগর রাস্তার ঘোলাকোলা পয়েন্টে একটা ব্রিজ নির্মাণ করা প্রয়োজন। এ বিষয়ে আমি আপনার মাধ্যমে মাননীয় সড়ক পরিবহণ ও সেতু মন্ত্রীর সদয় দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
স্বাস্থ্য খাতের চিত্র তুলে ধরে রুহুল হক বলেন, সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজে বিশেষজ্ঞ শিক্ষক নাই। ফলে শিক্ষার্থীরা সঠিক মানের শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ থেকে এবার প্রথম ব্যাচ ইন্টার্নি করছে। মেডিকেল কলেজে জনবল সংকটের কারনে ইন্টার্নির সুযোগ না থাকায় সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ইন্টার্নি করতে যেতে হয়। সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ শহর থেকে একটু দূরে অবস্থিত। ফলে শিক্ষার্থীরা ভোগান্তির স্বীকার হচ্ছে। তাইঅতিদ্রুত মেডিকেল কলেজে পর্যাপ্ত জনবল নিয়োগ করা প্রয়োজন। ১০ শয্যা বিশিষ্ট দরগাপুরও তারালি হাসপাতালনির্মাণ সমাপ্ত হয়েছে। কিন্তু জনবল নাই। তাই চালু করা যাচ্ছে না। সাতক্ষীরা স্বাস্থ্য সহকারী প্রশিক্ষণ স্কুল (ম্যাটস) জনবলের অভাবে চালু করা সম্ভব হচ্ছে না। মাননীয় স্পীকার হাসপাতালগুলোতে ডাক্তারদের উপস্থিতিও নিশ্চিত করা দরকার। আমি আপনার মাধ্যমে মাননীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রীর সদয় দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
সুপেয় পানির ব্যবস্থা বিষয়ে বলেন, সাতক্ষীরা সিডর ও আইলায় বিধ্বস্ত একটি এলাকা। এ এলাকায় সুপেয় পানির খুব অভাব। লবণাক্ততা ও সুপেয় পানির অভাবে অত্র এলাকার মানুষ পেটের পীড়াসহ নানা রোগ-ব্যাধিতে আক্রান্ত হচ্ছে। মাননীয় স্পীকার খাবার পানির কষ্টের কথা বক্তব্যের মাধ্যমে উপলব্ধি করানোটা কষ্টকর। এক কলস খাবার পানি সংগ্রহের জন্য মানুষকে মাইলের পর মাইল কলসি নিয়ে হাটতে হচ্ছে। এজন্য আমার নির্বাচনী এলাকার দেবহাটা ও আশাশুনিতে ডিপটিউব ওয়েলও পানি শোধনাগার স্থাপন করে পাইপ লাইনের মাধ্যমেসুপেয় পানি সরবরাহ করা প্রয়োজন। একই সঙ্গে স্যানিটেশন ব্যবস্থার উন্নয়ন ও বর্জ্য শোধনাগার স্থাপন করা দরকার।
এলজিইডি’র রাস্তা সংস্কার ও উন্নয়ন সম্পর্কে রুহুল মহান সংসদে বলেন, আমার নির্বাচনী এলাকার দেবহাটা উপজেলার প্যারাসাইটিং রোডগুলো প্রশস্ত, সখিপুর-ভাতশালা, জলিল হ্যাচারী-কমরপুর, নলতা-আশাশুনি রাস্তার সংস্কার খুবই প্রয়োজন।
সাইক্লোন সেন্টার নির্মাণের প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করে তিনি বলেন, বর্তমান সরকার সাতক্ষীরাতে প্রচুর সাইক্লোন সেন্টার কাম স্কুল নির্মাণ করেছে। তবে আমার নির্বাচনী এলাকার দেবহাটা, আশাশুনি ও কালিগঞ্জে আরো কিছু সাইক্লোন সেন্টার নির্মান করা প্রয়োজন।
মাননীয় স্পীকার আমার নির্বাচনী এলাকায় সুপেয় পানির ব্যবস্থা, এলজিইডি’র রাস্তা সংস্কার ও উন্নয়ন, বাজার-ঘাট উন্নয়ন ও আরো কিছু সাইক্লোন সেন্টার নির্মাণ করার ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আমি মাননীয় স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রীর সদয় দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
স্কুল-কলেজ এমপিওভুক্তকরণ সম্পর্কে ডা. রুহুল হক বলেন, আমার এলাকাসহ সারাদেশে প্রচুর স্কুল-কলেজ এমপিওভুক্ত করা হয়েছে। ২৬ হাজার রেজিস্টার্ড প্রাথমিক বিদ্যালয়কে সরকারীকরণ করা হয়েছে। মাননীয় স্পীকার আরো কিছু স্কুল-কলেজ এমপিওভুক্ত করা হলে এলাকার মানুষ উপকৃত হবে। এজন্য আমি মাননীয় শিক্ষামন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।