বাংলাদেশে অতি বর্ষণে পাহাড় ধসে রাঙামাটি, বান্দরবান এবং চট্টগ্রামে ১০৭ জন নিহত হবার খবর পাওয়া গেছে।
এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি প্রাণহানি হয়েছে রাঙামাটিতে। সেখানে ৭৫ জন নিহত হবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রাঙামাটির পুলিশ সুপার। নিহতদের মধ্যে মহিলা ও শিশু রয়েছে।
এ ছাড়া নিহতদের মধ্যে সেনাবাহিনীর চার জন সদস্য রয়েছে বলে জানিয়েছেন রাঙামাটির পুলিশ সুপার। তারা মানিকছড়ি ক্যাম্পে কর্মরত ছিলেন।
ঢাকায় আন্ত:বাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর জানিয়েছে, নিহতদের মধ্যে সেনাবাহিনীর দুজন অফিসার রয়েছে। এখনো কয়েকজন সেনা সদস্য নিখোঁজ আছে বলে তারা জানিয়েছেন।
তবে সেনা সদস্য নিহত হবার ব্যাপারে আনুষ্ঠানিকভাবে এখনো কিছু জানায়নি আন্ত:বাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর।
অন্যদিকে পাহাড় ধসে বান্দরবানে ছয় জন এবং চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া এবং চন্দনাইশে মোট ২৬ জন নিহত হয়েছেন।
এছাড়া খারাপ আবহাওয়ার কারণে আরো চারজনের মৃত্যু হয়েছে।
তবে সব জায়গায় মৃতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে আশংকা করা হচ্ছে।
রাঙামাটির পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, সেখানে মঙ্গলবারও প্রবল বৃষ্টিপাত হচ্ছে। বিভিন্ন জায়গায় যোগাযোগ বন্ধ হয়েছে।
ফলে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করতে পায়ে হেঁটে বিভিন্ন এলাকায় যেতে হচ্ছে। পরিস্থিতি সস্পর্কে পরিষ্কার চিত্র পেতে আরো অপেক্ষা করতে হবে।
বান্দরবানের পুলিশ সুপার সঞ্চিত কুমার বিবিসিকে বলেন, প্রবল বর্ষণে ভূমি ধসের সাথে গাছপালা ভেঙ্গে পড়েছে।
জেলার অধিকাংশ জায়গায় কোন বিদ্যুৎ নেই। উদ্ধারকাজের জন্য বিভিন্ন জায়গায় সেনাবাহিনীর সদস্যরাও যোগ দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন মি: কুমার।
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, রবিবার এবং সোমবার টানা ভারি বৃষ্টিপাতের কারণে বিভিন্ন জায়গায় পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটে। ফলে পাহাড়ের পাদদেশে বসবাসকারী অনেক বাড়ি মাটি চাপা পড়েছে।
ক্রাইমবার্তা রিপোর্ট: অতি বর্ষণে পাহাড় ধস, গাছচাপা, বজ্রপাত ও দেয়ালচাপায় রাঙামাটি, বান্দরবান এবং চট্টগ্রামে ৭০ জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। তাদের মধ্যে ৬ জন সেনা কর্মকর্তা ও সেনা সদস্য রয়েছেন।
যদিও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়ার দাবি, ৪ সেনাসহ তিন জেলায় মোট নিহত ৩৯ জন। আর দুজন সেনা সদস্য নিখোঁজ রয়েছে বলে মন্ত্রী জানিয়েছেন। মঙ্গলবার সচিবালয়ে মন্ত্রী এ তথ্য জানান।
তবে বেসরকারি হিসাবে পাহাড় ধসসহ তিন জেলায় মঙ্গলবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ৭০ জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এর মধ্যে পাহাড় ধসে সবচেয়ে বেশি প্রাণহানি হয়েছে রাঙামাটিতে। সেখানে ৩৫ জন নিহত হবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রাঙামাটির পুলিশ সুপার।
নিহত ৩৫ জনের মধ্যে সেনাবাহিনীর পাঁচ জন সদস্য রয়েছে বলে জানিয়েছেন রাঙামাটির পুলিশ সুপার। তারা মানিকছড়ি ক্যাম্পে কর্মরত ছিলেন।
ঢাকায় আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর জানিয়েছে, নিহতদের মধ্যে সেনাবাহিনীর দুজন অফিসার রয়েছে। এখনো কয়েকজন সেনা সদস্য নিখোঁজ আছে বলে তারা জানিয়েছেন।
তবে সেনা সদস্য নিহত হবার ব্যাপারে আনুষ্ঠানিকভাবে এখনো কিছু জানায়নি আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর।
অপর একটি সূত্র বলছে, রাঙামাটিতে নিহত হয়েছে ৬ সেনাসহ মোট ৩৬ জন।
অন্যদিকে পাহাড় ধসে বান্দরবানে ১০ জন এবং চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া এবং চন্দনাইশে মোট ২০ জন নিহত হয়েছেন।
এছাড়া খারাপ আবহাওয়ার কারণে তিন জেলায় গাছচাপা, দেয়ালচাপা ও বজ্রপাতে আরো চারজনের মৃত্যু হয়েছে। সব মিয়েলে মৃত্যু সংখ্যা ৭০ জনে পৌঁছেছে।
তবে সব জায়গায় মৃতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
রাঙামাটির পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, সেখানে মঙ্গলবারও প্রবল বৃষ্টিপাত হচ্ছে। বিভিন্ন জায়গায় যোগাযোগ বন্ধ হয়েছে।
ফলে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করতে পায়ে হেঁটে বিভিন্ন এলাকায় যেতে হচ্ছে। পরিস্থিতি সস্পর্কে পরিষ্কার চিত্র পেতে আরো অপেক্ষা করতে হবে।
বান্দরবানের পুলিশ সুপার সঞ্চিত কুমার বলেন, প্রবল বর্ষণে ভূমি ধসের সাথে গাছপালা ভেঙ্গে পড়েছে।
জেলার অধিকাংশ জায়গায় কোনও বিদ্যুৎ নেই। উদ্ধারকাজের জন্য বিভিন্ন জায়গায় সেনাবাহিনীর সদস্যরাও যোগ দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন সঞ্চিত কুমার।
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, রোববার এবং সোমবার টানা ভারি বৃষ্টিপাতের কারণে বিভিন্ন জায়গায় পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটে। ফলে পাহাড়ের পাদদেশে বসবাসকারী অনেক বাড়ি মাটি চাপা পড়েছে।
রাঙ্গামাটি, বান্দরবান ও চট্টগ্রামে পাহাড় ধসের ব্যাপারে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বলেছেন, ‘আমাদের কাছে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী ৩৯ জন মারা গেছেন। এর মধ্যে চারজন সেনা সদস্য। তাদের মধ্যে আছেন একজন মেজর, একজন ক্যাপ্টেন, একজন করপোরাল ও একজন সৈনিক।’
মঙ্গলবার বিকেলে সচিবালয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া এসব তথ্য জানান।
এদিকে
রাঙামাটি, বান্দরবান ও চট্টগ্রামে পাহাড় ধস হতাহতের ঘটনায় শোক জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ ছাড়া শোক প্রকাশ করেছেন বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদ জিয়া। আজ মঙ্গলবার পৃথক বিবৃতিতে তাঁরা এই শোক প্রকাশ করেন।
টানা বর্ষণে পাহাড় ধসে রাঙামাটি, চট্টগ্রাম ও বান্দরবানে এ পর্যন্ত ৪৫ জনের প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। এ ছাড়া গাছচাপা, দেয়ালচাপা ও বজ্রপাতে আরো তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে পাহাড় ধসে রাঙামাটিতে চার সেনা কর্মকর্তা ও সদস্যসহ ২৯ জন, চট্টগ্রামে ১০ জন ও বান্দরবানে ছয়জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
তবে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বলেছেন, ‘আমাদের কাছে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী ৩৯ জন মারা গেছেন। এর মধ্যে চারজন সেনা সদস্য। তাঁদের মধ্যে আছেন একজন মেজর, একজন ক্যাপ্টেন, একজন করপোরাল ও একজন সৈনিক।’
এদিকে, সংবাদ মাধ্যমে পাঠানো শোকবার্তায় খালেদা জিয়া বলেছেন, ‘রাঙামাটি, বান্দরবান ও চট্টগ্রামের বিভিন্ন স্থানে পাহাড় ধসে সেনা কর্মকর্তা ও সৈনিকসহ বেশকিছু সংখ্যক মানুষের প্রাণহানিতে দেশবাসীর ন্যায় আমিও ব্যথিত ও শোকাহত হয়েছি। ভারি বর্ষণের ফলে পাহাড় ধসে, ঝড়ে গাছ পড়ে এসব মানুষের অকাল মৃত্যুতে সারা দেশে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রাক্কালে প্রাকৃতিক দুর্যোগে এতগুলো মৃত্যু তাদের পরিবারে এক গভীর বেদনাঘন পরিবেশ সৃষ্টি করেছে।’