মঙ্গলবার নিউইয়র্কের ব্রঙ্কসের ‘ভারমন সি বেইন কারেকশনাল সেন্টার’ থেকে স্থানীয় সময় তিনি জামিনে মুক্তি পান।
বাংলাদেশ সময় বুধবার সকালে নিউইয়র্কে বাংলাদেশ দূতাবাসের কনসাল জেনারেল শামীম আহসান বার্তা সংস্থা ইউএনবিকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
কনসাল জেনারেল শামীম আহসান জানান, তিনি মঙ্গলবার স্থানীয় সময় রাত ৮টা ২০ মিনিটে ডেপুটি কনসাল জেনারেল শাহেদুল ইসলামকে গ্রহণ করেছেন। এ সময় দূতাবাসের প্রথম সচিব শামীম হোসাইন ও তৃতীয় সচিব আসিব আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।
গত সোমবার সকালে নিউইয়র্কের কুইনস বরো থেকে গ্রেপ্তার করা হয় কূটনীতিক শাহেদুল ইসলামকে। তিনি নিউইয়র্কের কুইনসের পাশে জ্যামাইকা এলাকায় বাস করতেন।
বাংলাদেশের এই কূটনীতিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ, নিউইয়র্কে তাঁর বাসায় এক বাংলাদেশি গৃহকর্মীকে তিনি তিন বছরের বেশি সময় ধরে সহিংস নির্যাতন চালাচ্ছেন। এ ছাড়া তিনি হুমকি দিয়ে বিনা বেতনে ওই গৃহকর্মীকে কাজ করতে বাধ্য করেছেন।
কুইনস কাউন্টির অ্যাটর্নির অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে এ-সংক্রান্ত বিশদ বিবরণও রয়েছে। বিবরণে বলা হয়, মোহাম্মদ আমিন নামের ওই শ্রমিক (গৃহকর্মী) যুক্তরাষ্ট্রে আসার পর পরই শাহেদুল ইসলাম তাঁর পাসপোর্ট কেড়ে নেন। এরপর তাঁকে দৈনিক ১৮ ঘণ্টা কাজ করতে বাধ্য করেন।
আনুমানিক ২০১২ থেকে ২০১৬ সালের মে মাস পর্যন্ত কোনো ধরনের অর্থ ছাড়াই ওই গৃহকর্মীকে বাড়িতে কাজ করতে বাধ্য করেন বলেও অভিযোগে উল্লেখ করা হয়। এরপর ওই গৃহকর্মী গত বছর মে মাসে পালিয়ে গিয়ে পুলিশের কাছে অভিযোগ করেন।
শামীম আহসান জানিয়েছিলেন, তাঁর ধারণা মোহাম্মদ আমিন নামের ওই ব্যক্তি যা বলছেন, তা সত্য নয়। তিনি যুক্তরাষ্ট্রে স্থায়ীভাবে বসবাসের আশায় এ ধরনের অভিযোগ করেছেন।