ক্রাইমবার্তা স্পোর্টস ডেস্ক:ইংল্যান্ডকে ব্যাটিং-বোলিং উভয় বিভাগে পুরোপুরি বিধ্বস্ত করে আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে ওঠেছে পাকিস্তান। কার্ডিফে টসে জেতা থেকে শুরু করে প্রতিটি বিভাগে একচ্ছত্র প্রাধান্য বিস্তার করে পাকিস্তান এই জয় করায়ত্ত করে। আগামী রোববার তারা বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচে জয়ী দলের বিরুদ্ধে শিরোপার লড়াইয়ে অবতীর্ণ হবে।
বুধবার পাকিস্তান জয়ী হয় ৮ উইকেটে। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ইংল্যান্ড মাত্র ২১১ রানে অল আউট হয়ে যায়। জবাবে পাকিস্তান ৭৭ বল বাকি থাকতেই জয় পেয়ে যায় ২ উইকেট হারিয়ে।
পাকিস্তানের আজহার আলী আর ফখর জামানের ১১৮ রানের ওপেনিং পার্টনারশিপের পর পাকিস্তানকে আর দুর্ভাবনায় পড়তে হয়নি। আজহার আলী ৭৬ রান করেন। ফখর করেন ৫৭ রান।
এছাড়া বাবর আজম ৩৮ এবং মোহাম্মদ হাফিজ ৩৮ রান করে অপরাজিত থাকেন।
এর আগে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির প্রথম সেমিফাইনালে জয়ের জন্য পাকিস্তানকে ২১২ রানের টার্গেট দেয়স্বাগতিক ইংল্যান্ড। ব্যাটিং পাওয়া ইংলিশরা ৪০.৫ ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে সংগ্রহ করেছে ২১১ রান। জো রুট সর্বাধিক ৪৬ এবং ওপেনার বেয়ারস্টো ৪৩ রান সংগ্রহ করেছেন। এছাড়া স্বাগতিক দলের মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান বেন স্টোকস ও অধিনায়ক ইয়োইন মরগান করেছেন যথাক্রমে ৩৪ ও ৩৩ রান।
পাকিস্তানের হয়ে তিন উইকেট নিয়েছেন হাসান আলী। এছাড়া দুটি করে উইকেট নেন জুনায়েদ
খান ও অভিষেক পাওয়া রুম্মন রইস।
কার্ডিফে টসের বিপরীতে প্রথমে ব্যাটিং নিয়ে বেশ ধীর স্থির ভাবেই ব্যাটিং শুরু করেছিল
ইংল্যান্ড। এ সময় পাকিস্তানীদের দুর্দান্ত বোলিংয়ের বিপরীতে যথেষ্ট সংযত হয়েই ব্যাটিং করেন
স্বাগতিক দলের দুই ওপেনার বেয়ারস্টো ও এ্যালেক্স হেলস। তারা উদ্বোধনী জুটিতে ৩৪ রান
এনে দেন।
হেলসকে ফিরিয়ে দিয়ে পাকিস্তান শিবিরকে প্রথমে উজ্জ্বীবিত করেন হাসান আলী। ব্যক্তিগত ১৩
রানে হেলস ফিরে যাবার পর জো রুটের সঙ্গে জুটি বেধে দলকে এগিয়ে নেন অপর ওপেনার
বেয়ারস্টো। দলীয় ৮০ রানের মাথায় তাকে সাজঘরের পথ দেখান অভিষেক পাওয়া রুম্মন
রাইস। ব্যক্তিগত ৪৩ রান করে ফিরে আসেন স্বাগতিক ওপেনার। এরপর অধিনায়ক মরগারনর
সঙ্গে জুটিবদ্ধ হয়ে দলকে একটি শক্ত ভিতে দাঁড় করানোর দিকে মনোনিবেস করেন রুট। তবে
বেশিদূর যেতে পারেনি তারাও। দলীয় ১২৮ রানের মাথায় রুটকে ফিরিয়ে দেন শাহাদাব খান।
ফেরার সময় ৪৬ রানের পুঁজি রেখে যান রুট।
এরপর মূলত আসল বিপর্যয়ে পড়ে ইংল্যান্ড। দলকে ১৮২ রানে পৌঁছে দেয়ার পথে ঝড়ে যায়
৪টি উইকেট। এতেই মূলত ভেঙ্গে যায় ইংল্যান্ডের মেরুদণ্ড। এরপর ধুকতে থাকা দলটিকে ২১১
রানে টেনে নিয়ে যায় টেল এন্ডার ব্যাটসম্যানরা।
সংক্ষিপ্ত স্কোর :
ইংল্যান্ড : ২১১/১০, ৪৯.৫ ওভার (রুট ৪৬, হাসান ৩/৩৫)।
পাকিস্তান : ২১৫/২ ৩৭.১ ওভার (আজহার ৭৬, ফখর ৫৭)।