ক্রাইমবার্তা স্পোর্টস ডেস্ক:‘আমাদের টুর্নামেন্টগুলোতে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ রাখার চেষ্টা করি। এ বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই। আইসিসির দৃষ্টিকোণ থেকেও এটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। সমর্থকরাও এই ধরনের বড় ম্যাচ আশা করে। ভারত-পাকিস্তান ম্যাচে টিভি দর্শকসংখ্যা মাঝে মাঝে ১০০ কোটিও ছাড়িয়ে যায়। তাই টি২০ বিশ্বকাপ থেকে শুরু করে এ ধরনের বড় আয়োজনে একই গ্রুপে রাখা হয় ভারত-পাকিস্তানকে।’
কথাগুলো আইসিসির প্রধান নির্বাহী ডেভ রিচার্ডসনের। গত বছরে ইংল্যান্ডের ওভালের মেট্রোপলিটন ক্লাবে আইসিসির এক সংবাদ সম্মেলনে ২০১৭ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সময়সূচি ঘোষণা করেছিল।
এরপর দ্য টেলিগ্রাফকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এমন কথা বলেন রিচার্ডসন।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলের (আইসিসি) গত কয়েকটি বড় আসরে ভারত-পাকিস্তানের ম্যাচ দেখতে পেরেছে ক্রিকেট ভক্তরা। সর্বশেষ ভারতে অনুষ্ঠিত টি২০ বিশ্বকাপসহ ৫টি বড় টুর্নামেন্টে একই গ্রুপে পড়েছে ভারত-পাকিস্তান।
এবারের আসরেও এর ব্যতিক্রম হয়নি। ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক কোনো সিরিজের আয়োজন না হওয়ায় আইসিসি এমনটা করে থাকে।
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির অষ্টম আসরে গত ৪ জুন মাঠে নেমেছিল ভারত ও পাকিস্তান। তবে ম্যাচটি একতরফাভাবে জিতে নিয়েছে ভারত। ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যকার সর্বশেষ ম্যাচগুলোর ফলাফল এমনই। পাকিস্তান যেন পাত্তাই পায় না ভারতের কাছে।
আর আইসিসির বড় আসরগুলোতে তো আরও নয়। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে হেসেখেলেই জেতে ভারত।
এবারের আসরে পাকিস্তান দল এরই মধ্যে ইংল্যান্ডকে হারিয়ে ফাইনাল নিশ্চিত করেছে। ১৮ জুন পর্দা নামবে এবারের আসরের।
তবে তার আগে বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় সেমিফাইনালে ভারতের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। সেমিফাইনালে জয়ী দল ফাইনালে চলে যাবে।
তবে অতীতের কিছু ম্যাচ ও আইসিসির প্রধান নির্বাহী ডেভ রিচার্ডসনের কথায় কিছুটা ভয়েও রয়েছেন টাইগার ভক্তরা। ভারত-পাকিস্তান ফাইনাল আয়োজনের জন্য আইসিসিই না ষড়যন্ত্র করে বসে!
এর আগে গত বিশ্বকাপে কোয়ার্টারফাইনালে বাংলাদেশের বিপক্ষে বেশ কিছু বিতর্কিত সিদ্ধান্ত দেন আম্পায়াররা। যা ভারতের পক্ষে যায়। তাছাড়া ম্যাচ শুরুর আগেই জায়ান্ট স্ক্রিনে বড় করে লেখা ছিল, জিতে গা ভাই জিতে গা, ইন্ডিয়া জিতে গা।
ভারতের কাছে হেরে বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নিয়েছিল বাংলাদেশ।
শুধু ওই ম্যাচেই নয়, বাংলাদেশ মাঠে নামলে প্রায় ম্যাচেই কিছু সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের বিপক্ষে যায়।
নিউজিল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়া বিশ্বকাপে ঘটে যাওয়া ওই ম্যাচের দৃশ্যগুলো সামনে নিয়ে এসে কিছুটা হলেও শংকায় রয়েছেন বাংলাদেশি সমর্থকরা। আর পাকিস্তান ফাইনালে চলে যাওয়ায় সেই শংকা আরও বড় হয়েছে। এর পেছনে রয়েছে আইসিসির প্রধান নির্বাহী ডেভ রিচার্ডসনের এক বছর আগে দেয়া সেই বক্তব্য।