ক্রাইমবার্তা রিপোট:ফিরোজ জোয়ার্দ্দার,স্টাফ রিপোর্টার,
সাতক্ষীরার কলারোয়ায় ‘ঈদ মানেই আনন্দ’ ঈদ মানেই খুশি’ এই আনন্দ আর খুশি সবার জীবনে বয়ে আনুুক অনাবিল সুখ, শান্তি, ও সমৃদ্ধি। ঈদকে সামনে রেখে জমে উঠেছে পৌরসদরের হাট বাজারগুলো। ঈদের এখনো কয়েকদিন বাকি থাকায় পৌর বাজারে জমে উঠেছে ঈদ বাজার। তারপরেও পবিত্র রমজান পালনের পাশাপাশি চলছে ঘরে ঘরে ঈদ উৎসব উদযাপনের প্রস্তুতি। বিশেষ করে প্রতিদিন বিকালে বিশাল এই পৌর বাজারের পোশাক ও অন্যান্য সামগ্রী বিপনী বিতানে ক্রেতারা ভিড় জমাচ্ছেন। আগাম এই ক্রেতা উপস্থিতিতে ব্যবসায়ীরাও নড়েচড়ে বসেছেন। অনেক দোকানীরা ধারণা করেছেন রোজার সময় যত যাবে ততই বাজারে বেশি ক্রেতার আগমন ঘটবে। প্রতিদিন বাজারে ক্রেতাদের ভিড় লক্ষ্য করা যাচ্ছে অতুলনীয়। সদর কেন্দ্রীক এই বাজারে এবার চোখে পড়ার মতো প্রমীলা ক্রেতাদের উপস্থিতি দেখা মেলে। যেটা সময়ের নিরিখে অবশ্যই ইতিবাচক হিসেবে বিবেচনা করার সময় এসেছে। তাই এবোরের ঈদে ছেলে ক্রেতারা বেশি ঝুঁকছে ভারতের হিন্দী সিনেমা বাহুবলী-২ নায়কদের প্যান্টের দিকে। ঐতিহ্যবাহী এই কলারোয়া বাজারের ব্যবসায়ীরা আশা করেছেন এবারের ঈদের আগে মানুষ ফসল ঘরে তোলায় অনেকটা স্বস্তিভরে রয়েছেন। হাতে নগত অর্থ থাকায় কৃষক পরিবারগুলো অনেক প্রফুল্ল।
তারা প্রসন্ন মনেই ঈদের বাজারে আসবেন’ তাই ঈদের বেচা বিক্রি অনেক ভালো হবে সে আভাস পাওয়া যাচ্ছে। কলারোয়া পৌর বাজারে জমে উঠেছে ঈদের আগাম কেনাকাটা। হাট বাজারের বিভিন্ন দোকান ও ফ্যাশন হাউসগুলোতে শোভা পাচ্ছে ঈদুল ফিতরের বিশেষ পোশাক। রমজানের প্রথম দিন থেকেই মনের আঙ্গীনায় রঙে-রঙে সাজিয়ে তুলতে শুরু করেছিলো। তারই প্রেক্ষিতে শুরু হয়েছে নারী-পুরুষ শিশু বনিতা সকলে কেনাকাটায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন এক দোকান থেকে আরেক দোকানে। সেই আনন্দকে অন্যান্য ধর্র্মের আনন্দ প্রিয় মানুষ সকলেই কাছে জমে উঠেছে ঈদ পোশাক বেচা বিক্রি। আরো শুরু হয়েছে দর্জির দোকানে উপছে পড়া ভিড়। ধর্মপ্রান মুসলমানদের ঈদের আনন্দঘেরা দিনের উদযাপন সামনে রেখে ঈদ পোশাক বিক্রির জন্য বিভিন্ন দোকানের কয়েক শতাধিক বস্ত্র ব্যবসায়ী কয়েক লাখ টাকার তৈরি পোশাক, শাড়ি ও তার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে গহনা ও ঘর সাজানোর বিভিন্ন সামগ্রী দোকানে তুলছেন। প্রায় জুুন মাসের শুরু থেকেই দোকানিরা ঈদের পোশাক বিক্রিতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। বিক্রিও করছেন অন্য ধর্মাবম্বী সকল মানুষের কাছে। শহর জুড়ে এখন ঈদের পোশাকের বিপুল সমাহার। বাজারের দোকান ও মার্র্কেট গুলোতে ঈদুল ফিতরের মহিমান্বিত আনন্দময় দিনকে সামনে রেখে এবারে নানান ডিজাইন ও রঙের শাড়ি, পাঞ্জাবি, সালোয়ার-কামিজ, ফতুয়া, টি রঙের শার্ট, প্যান্টের রয়েছে বিভিন্ন প্রকারের সমাহার। আরো রয়েছে গেঞ্জি জাতীয় বস্ত্র ও দর্জির দোকানীর থান কাপড়ের স্থান। এবারের মুসলমানদের আনন্দকে আন্দোলিত করতে প্রতিটি পোশাকের লাল-সাদার পাশাপাশি উজ্জ্বল রঙের মধ্যে হলুদ, কমলা, নীল, মেরুন, সবুজ ব্যবহার করা হয়েছে। মেয়েদের কামিজ অ্যামব্রডারি, টাইডাই ও ফুলেল প্রিন্টের কাজ আনা হয়েছে। শিশুদের ফ্রাগ ও অন্যান্য পোশাকে বিভিন্ন ধরনের নকশা অ্যামব্রডারি সাদা লাল-সবুজ ও নীলের সংমিশ্রণ আনা হয়েছে। আর শাড়িতে বিভিন্œ রকমের আলপনা করা হয়েছে। পাঞ্জাবি, টুপি, পায়জামাকে নানান রঙে প্রধান্য দেয়া হয়েছে। পাঞ্জাবি ও শাড়িতে লাল-সাদাসহ বিভিন্ন রংয়ের মিশ্রণে বন্ত্রকে যেসব আলপনা করা হয়েছে, তাতে সকলের আকৃষ্ট হচ্ছে, বিভিন্ন দিক ফুটে উঠেছে আতর গোলাপের সেন্ট-পারফিউম জাতীয় দ্রব্য এবং ভিড় জমে উঠেছে কসমেটিক্য্র দোকানগুলোতেও। নানান ধরনের চুড়ি ফিতাসহ প্রসাধনী সামগ্রীক কেনার জন্য। আরো জমে উঠেছে চামড়াজাতসহ বিভিন্ন জুতা স্যান্ডেল মার্কেটে, ক্রেতারাও মানিয়ে নিচ্ছে পায়ের সাথে। অন্যান্য বারের মতো এবারও শিশুদের পোশাক পরিদেহ পোশাকে দৃষ্টিনন্দন ডিজাইন ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। সকল মুসলমানদের ঐতিহাসিক আনন্দঘেরা দিন ঈদের দিনকে সামনে রেখে দোকান গুলোতে বাহারি রং ও ডিজাইনের পোশাক তরুন-তরুণী এবং শিশুদের দারুনভাবে আকৃষ্ট করেছে বলে, দোকানীরা কাষ্টমারদের গায়ে জড়িয়ে দিচ্ছেন। ধনী ও মধ্য বিত্তরা ঈদের পোশাক কেনার জন্য ছুটছেন বড় বড় মার্র্কেটের দিকে। আর ঈদের দিনকে বরণ করতে ফুটপাত বা সড়কের ধারে ছোট খাটো দোকান থেকে ঈদের শাড়ি, পাঞ্জাবি টুপি, প্যান্ট, টি-শার্ট, থ্রি-পিছসহ নানান ধরনের শিশুদেরসহ সকলের প্রয়োজনীয় পোশাক কিনে নিচ্ছেন। ঈদের দিনকে সামনে রেখে যেসব তৈরি পোশাক বাজারে এসেছে, এসবের দাম ক্রেতাদের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যেই রয়েছে। তাছাড়া এবার দেশীয় পোশাকে মানও অনেক ভাল থাকাই আকৃষ্ট ও বিক্রিতে ব্যাপক ভূমিকা রাখছে দেশীয় তৈরি সকল প্রকার পোশাক। বাজারের কয়েকজন বস্ত্র ব্যবসায়ীরা জানান- ঈদের দিনকে সামনে রেখে ছেলে শিশু ও কন্য শিশুদের ব্যতিক্রমী পোশাক দোকানে তোলা হয়েছে। এবারের শিশুদের পোশাকে দৃষ্টিনন্দন কাজে ও রঙে নতুন ডিজাইন সৃষ্টি করেছে। সেই সাথে কলারোয়া বাজারের ব্রিজের ওপারেও ঈদ নববর্ষ উপলক্ষে উৎসুক জনতার ঢল নামতে শুরু হয়েছে। ক্রেতারা দুুর-দুুরান্ত থেকে ছুটে আসছে ঈদের আনন্দভরা মন নিয়ে আকর্র্ষনীয় কলারোয়া বাজারে। জনতার ঢল দেখেই মনে হচ্ছে সে যেনো এক অন্য রকম আমেজ, বরন করে নিতে ইচ্ছুক ঈদুল ফিতরের আনন্দঘেরা দিন ঈদকে। প্রতিটি মানুষের মনের মধ্যে যাপন করছে ঈদের আনন্দঘেরা মনটা যেনো থাকে সারাটি বছর। এমনই একটি ভাব পরিলক্ষিত হয়। তাই ঘরে ঘরে বয়ে আসুক ঈদ মানেই আনন্দ, ঈদ মানেই খুশি, ঈদ প্রতিটি মানুষের জীবনে বয়ে আনুক অনাবিল সুখ, শান্তি, সমৃদ্ধি এবং অনাবিল আনান্দ। ছবি আছে”””””””””””
কলারোয়ায় সীমান্তে বিজিবি’র অভিযানে ভারতীয় বাংলা মদ ও গাঁজা উদ্ধার।
ফিরোজ জোয়ার্দ্দার,স্টাফ রিপোর্টার,
সাতক্ষীরার কলারোয়ায় তলুুইগাছা ও চান্দুড়িয়া সীমান্তে বিজিবি’র সদস্যরা মাদক বিরোধী পৃথক অভিযান চালিয়ে ভারতীয় বাংলা মদ ও গাঁজা উদ্ধার করেছে। মঙ্গলবার দুপুরে দিকে উপজেলার কাঁদপুর শ্বশানঘাট এলাকা ও বৃহস্পতিবার সকালে দক্ষিণ তলুুইগাছা মাঠের মধ্যে থেকে এই ভারতীয় মাদক উদ্ধার করা হয়। চান্দুড়িয়া ক্যাম্পের হাবিলদার ইউনুছ আলীর নেতৃত্বে মঙ্গলবার দুপুরের দিকে কাঁদপুর শ্বশানঘাট এলাকায় টহলকালে মাদক চোরাচালানীদের তাড়া করে ভারতীয় ২৯ বোতল বাংলা মদ উদ্ধার করে। অপরদিকে তলুুইগাছা ক্যাম্পের হাবিলদার কবিরের নেতৃত্বে বৃহস্পতিবার সকালে দক্ষিণ তলুইগাছা মাঠের মধ্যে মাদক চোরাচালানীদের তাড়া করে ভারতীয় ৩কেজি গাঁজা উদ্ধার করে। তবে পৃথক উদ্ধারের সময় বিজিবি কোন মাদক চোরাচালানীকে আটক করতে পারেনি। বিজিবি’র পৃথক অভিযানে উদ্ধারকৃত মাদকের আনুমানিক মূল্যে ৫৪ হাজার টাকা। তবে জব্দকৃত মাদক সাতক্ষীরা কাষ্টম কোরিডোরে জমা দেওয়া হয়েছে বলে জানা যায়।
কলারোয়ায় কাকডাঙ্গা সীমান্তে ধুুড় আটক!
ফিরোজ জোয়ার্দ্দার,স্টাফ রিপোর্টার,
সাতক্ষীরার কলারোয়ায় কাকডাঙ্গা সীমান্তের বিপরীতে ভারতের তারালি বিএসএফ ক্যাম্পে ১বাংলাদেশী নাগরিক (ধুড়) কে হস্তান্তর করলো ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বিএসএফ। বৃৃহস্পতিবার সকালের দিকে উপজেলার কাকডাঙ্গা সীমান্তের মেইন পিলার ১৩/৩ এস ৯ আরবি’র নিকট দু-দেশের পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে ভারতীয় বিএসএফ তাকে বাংলাদেশী (ধুড়)কে বিজিবি’র কাছে হস্তান্তর করেন। হস্তান্তরকারী নাগরিক হল বাগেরহাট জেলার ফকিরহাট থানার বেতাসা গ্রামের মৃৃত জিদে রড় দাসের ছেলে প্রফুল্ল দাস (৮০)। কাকডাঙ্গা বিজিবি ক্যাম্পের নায়েক সুবেদার আহম্মদ আলী জানান, ওই বাংলাদেশী নাগরিক (ধুুড়) গত কয়েকদিন আগে পাসপোর্ট ব্যতীত অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করে তারালি বিএসএফ ক্যাম্প এলাকায় ঘোরাফেরা করছিল। এসময় টহলরত বিএসএফ তাকে আটক করে কাকডাঙ্গা সীমান্তের বিজিবি’র নিকট পত্র প্রেরণ করেন। বিএসএফের আহবানে সাড়া দিয়ে বৃহস্পতিবার সকালের দিকে সীমান্তের ভূখন্ডে দু-দেশের পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে ভারতীয় বিএসএফ বাংলাদেশী নাগরিক (ধুড়)কে বিজিবি’র নিকট হস্তান্তর করেন। পরে দুপুরে তাকে কলারোয়া থানায় সোপার্দ করা হয়। এ ব্যাপারে কাকডাঙ্গা ক্যাম্পের হাবিলদার শামজাহান আলী বাদি হয়ে আটকের বিরুদ্ধে থানায় একটি পাসপোর্ট আইনে মামলা নং (৩০) ১৫/৬/১৭ দায়ের করেন বলে জানা যায়।