এ মামলার আসামিরা হলেন, চম্পাফুল ইউপি চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হক গাইন, ইউপি সদস্য গোলাম কাইয়ুম, আব্দুর রশিদ গাইন, মো. আবু বক্কর গাইন, মো আব্দুস সাত্তার খান, মো. আবু বক্কর, ঠাকুর দাস সরকার, সংরক্ষিত মহিলা সদস্য রাধা রানী অধিকারী, রাফেজা খাতুন ও শ্যামলী রানী সরকার।
এদিকে দু’দকের মামলার খবর পেয়ে ইউপি চেয়ারম্যান ও বর্তমান চম্পাফুল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মোজাম্মেল হক গাইনসহ অপর আসামিরা তড়িঘড়ি করে আত্মগোপন করেছেন।
তবে ইউপি সদস্য ঠাকুরদাস সরকার বলেন, দুদক বড্ড বেরসিক, তাই ঈদের আগে এমন মামলাটি করলো।
মামলার বিবরণে জানা যায়, দেশের খাদ্য নিরাপত্তা ও পুষ্টি নিশ্চিতকল্পে সরকারি বিতরণ ব্যবস্থার আওতায় পল্লী অঞ্চলের হত দরিদ্র জনসাধারণকে স্বল্পমূল্যে খাদ্য সহায়তা দেওয়ার জন্য সরকার কর্তৃক খাদ্যশস্য বিতরণ নীতিমালা, ২০১৬ প্রণয়ন করা হয়। এরই আলোকে ২০১৬-২০১৭ অর্থ বছরে সাতক্ষীরা জেলার কালিগঞ্জ উপজেলাধীন তনং চম্পাফুল ইউনিয়নে হত দরিদ্রদের জন্য সরকার কর্তৃক নির্ধারিত ১০ টাকা কেজি দরে মাসিক ৩০ কেজি হারে পরিবার প্রতি চাল বিতরণ নীতিমালার আওতায় ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যগণ এক হাজার ২৫৩ জন হত দরিদ্রের নামের তালিকা উপজেলা পরিষদে জমা দেন। ইউপি চেয়ারম্যান, ছয়জন ইউপি সদস্য ও তিনজন সংরক্ষিত নারী ইউপি সদস্য পরস্পর যোগসাজসে নিয়মবহির্ভুতভাবে ব্যবসায়ি, চাকুরিজীবী, ধনী এমন ৪৬ জন আর্থিকভাবে স্বচ্ছল ব্যক্তিকে তালিকাভুক্ত করে ৪১ হাজার ৪০০ টাকা মূল্যের চার হাজার ১৪০ কেজি চাল আত্মসাৎ করেন। যা দন্ডবিধি ৪০৯/৪২০/১০৯ তৎসহ ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন। গত বছরের ২৪ সেপ্টেম্বর থেকে ৬ নভেম্বরের মধ্যে এসব অপরাধ সংগঠিত হয় বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে চম্পাফুল ইউপি চেয়ারম্যান মোজ্জাম্মেল হক গাইন বলেন, মামলার কপি না পেলে কোন মন্তব্য করা যাবে না।
কালিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লস্কর জায়াদুল হক জানান, দুর্নীতি দমন কমিশন খুলনা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপসহকারি পরিচালক রাজ কুমার সাহা বাদি হয়ে বুধবার থানায় এ মামলা দায়ের করেন। মামলায় চম্পাফুল ইউপি চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হক গাইন ও নয়জন ইউপি সদস্যকে আসামি করা হয়েছে। মামলার তদন্তভার দুদকের উপর ন্যস্ত করা হয়েছে। আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।