শুক্রবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে ধানমন্ডি এলাকা থেকে তাদের আটক করে র্যাব-২।
শনিবার দুপুরে প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানিয়েছে র্যাব ২ এর কমান্ডিং অফিসার লেফটেন্টে কর্নেল ইফতেখারুল মাবুদ।
আটক ব্যক্তিরা হলেন- দলনেতা হেমায়েত হোসনে ওরফে বিডিয়ার হেমায়েত ওরফে জসীম উদ্দীন (৫৩), সহ দলনেতা জুয়েল হোসেন ওরফে জুয়েল রানা (২২), ফরিদুল ইসলাম ফরিদ (২৩), মোর্শেদুল ইসলাম খান (৩৯), মোহাম্মদ আলী (৩২), আইয়ুব বেপারি ওরফে আইয়ুব আলী শেখ (২৫) ও স্বপন সরকার (৩৬)।
আটকদের কাছ থেকে ১টি বিদেশি পিস্তল,২ রাউন্ড গুলি, ১টি ম্যাগজিন, ১টি প্রাইভেটকার, ১টি চাপাতি, ২টি ডিবি পুলিশের জ্যাকেট, ২টি হ্যান্ডকাফ ও ওয়াকিটকি জব্ধ করা হয়েছে।
ব্রিফিংয়ে র্যাব ২ এর কমান্ডিং অফিসার লেফটেন্টে কর্নেল ইফতেখারুল মাবুদ বলেন, চক্রটি দীর্ঘ দিন ধরে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে রাজধানী ও রাজধানীর আশেপাশে মোটরসাইকেল, প্রাইভেটকারসহ বিভিন্ন গাড়ি থামিয়ে ডাকাতি, ছিনতাই ও মালামাল লুটপাট করে আসছে। এছাড়া রাজধানীর বিভিন্ন বাসা-বাড়িতে ডাকাতিও করছে এ চক্রটি।
র্যাব-২ এর কর্মকর্তা আরও বলেন, শুক্রবার রাতেও ধানমন্ডির একটি বাড়িতে ডাকাতির প্রস্তুতি নিয়ে বাড়িটিতে প্রবেশের সুযোগের জন্য অপেক্ষা করতে থাকে। এসময় র্যাব হাতে নাতে তাদের আটক করে।
তিনি বলেন, বিগত দুই মাস ধরে র্যাব তাদের অনুস্মরণ করে তাদের অপরাধমূলক কর্মকান্ডের বিষয়ে নিশ্চিত হয়। আটক ব্যক্তিদের মধ্যে দলনেতা হেমায়েতের বিরুদ্ধে রাজধানী ও রাজধানীর বাইরে ৭টি, আইয়ুবের বিরুদ্ধে ৪টি ও জুয়েলের বিরুদ্ধে ৪টি মামলা রয়েছে।
ব্রিফিংয়ে আরও র্যাবের এই কর্মকর্তা আরও জানায়, জিজ্ঞাসাবেদ তারা গুরুত্বপূর্ণ ও অনেক চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছে। ডাকাত দলটির সবাই ইতিপূর্বে জেলে থেকেছে। তাদের পারস্পারিক পরিচয়ও জেলখানা থেকে ।