তিনি কিশোরগঞ্জ জেলার বাজিতপুর উপজেলার ৪নং সরারচর ইউনিয়ন পরিষদের ২নং ওয়ার্ডের সদস্য এবং গোবিন্দপুর গ্রামের মৃত ইলিয়াস ভূঁইয়ার ছেলে।
বদরুল ওই ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।
শনিবার সকাল ১১টার দিকে শ্রীপুর থানা পুলিশ তাকে উদ্ধার করে শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
বেড়াইদেরচালা এলাকার সাইফুল ইসলামের ছেলে রাব্বি হোসেন জানান, সকাল সাড়ে ৯টার দিকে মহাসড়কের পাশ দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময় ছোট্ট একটি জলাশয় থেকে আল্লাহু আল্লাহু শব্দ শুনতে পান। এগিয়ে জলাশয়ে দেখতে পান একটি বস্তার ছেঁড়া অংশ দিয়ে মাথা দেখা যায়। এর ভেতর থেকেই শব্দটা ভেসে আসছে। আশপাশের লোকজন ডেকে এনে তিনি বস্তাটি পানি থেকে টেনে তুলেন। বস্তা খুলে দেখতে পান জীবিত মানুষ। পরে থানা পুলিশকে খবর পাঠান।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বদরুল আলম ভুঁইয়া জানান, ২০১৪ সালে তার এলাকার ২০ জন লোককে বিদেশে পাঠানোর জন্য ঢাকার আশকোনা এলাকার সিঙ্গাপুর ট্রেনিং সেন্টারের মালিক সাগর মিয়াকে ৩৫ লাখ টাকা দেন। সাগর বিদেশে পাঠানোর ব্যবস্থা করতে না পেরে টাকা ফেরত দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। সাগর নানা ধরনের টালবাহানা করতে থাকলে তিনি নিজে জমি বিক্রি করে ২০জনের টাকা পরিশোধ করেন। ওই টাকা আনার জন্য বিভিন্ন সময় সাগরের কাছে যেতেন বদরুল আলম।
বৃহষ্পতিবার পাওনা টাকা আনতে গিয়ে ট্রেনিং সেন্টারে সাগর মিয়ার সঙ্গেই ইফতার করেন। এরপর থেকে তিনি আর কিছু বলতে পারেননি।
বদরুল আলম ভুঁইয়ার ছেলে জাহাঙ্গীর আলম বলেন, গত বৃহস্পতিবার (১৫ জুন) সকালে এগারসিন্ধুর ট্রেনের মাধ্যমে তার বাবা রাজধানী ঢাকায় সাগর নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে দেখা করার কথা বলে বাড়ি হতে বের হন এবং বলে যান সন্ধ্যার ট্রেনে বাড়ি ফিরবেন। কিন্তু বিকেল হতেই তার বাবার মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়। পরে তার সন্ধানের জন্য বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করেও তাকে পাওয়া যায়নি। তবে বাবাকে কে বা কারা এমন অবস্থা করেছেন তা তাদের জানা নেই।
শ্রীপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) জামিল আহমেদ জানান, জলাশয় থেকে বস্তাবন্দী অবস্থায় উদ্ধার হওয়া বদরুল আলম বর্তমানে সুস্থ। ধারণা করা হচ্ছে ট্রেনিং সেন্টারের মালিক বা তার লোকজন তাকে অচেতন করে মৃত্যু নিশ্চিত জেনে জলাশয়ে ফেলে গেছে। এ ব্যাপারে মামলার প্রস্তুতি চলছে।