ক্রাইমবার্তা রিপোট:জিয়ারুল ইসলামঃ- কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার আমলাতে আওয়ামীলীগের দু-পক্ষের সংঘর্ষে শাহবুদ্দিন আহম্মেদ শাহীন(২৫) নামের এক যুবলীগ কর্মী নিহত হওয়ারা খবর পাওয়া গেছে। এঘটনায় আরো ৬ জন আহত হওয়ারও খবর পাওয়া গেছে। জানা যায়, মিরপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক ও মিরপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কামারুল আরেফিন ও আমলা ইউপি চেয়ারম্যান আনোয়ারুল ইসলাম মালিথার সমর্থকদের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এঘটনার পর এলাকায় থমথমে পরিবেশ বিরাজ করছে।
রোববার বিকেল ৪ টার দিকে উপজেলার আমলা বাজারে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। নিহত শাহীন আমলা এলাকার শাহজাহান আলীর ছেলে।
স্থানীয় সুত্র জানিয়েছে, উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম-সাধারন সম্পাদক ও আমলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জেলার শ্রেষ্ট চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ায় দুটি দেশে সফরে যান। তিনি দেশে ফেরার পর তাকে সংবর্ধনা দেওয়ার উর্দোগ নেন আনোয়ারুল সমর্থকরা। সংবর্ধনার আয়োজন করতে গেলে কামারুল আরেফিন সমর্থকরা তাদের বাধা প্রদান করে। এতে দু-গ্রপের মধ্যে সামান্য উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। পরে আনোয়ার ইসলাম ঢাকা থেকে এলাকায় আসলে আমলা বাজারে আনন্দ মিছিল বের করে নেতাকর্মীরা। একপর্যায়ে মিছিলকারীরা কামারুল সমর্থিত যুবলীগ নেতা আশরাফুল ইসলামের ব্যক্তিগত অফিস সভাংচুর করে। এসময় অফিসের সামনে থাকা দুটি মোটরসাইকেলও ভাংচুর করা হয়।
এ খবর ছড়িয়ে পড়লে কামারুল আরেফিনের সমর্থকরা সংঘবদ্ধ হয়ে আনোয়ারুল মালিথার উপর হামলা চালায়। বেশ কয়েক রাউন্ড গুলিরও বিস্ফোরন ঘটনা হয় বলে সংবাদ পাওয়া গেছে। এতে ৭ জন আহতের খবরও পাওয়া যায়। এদের মধ্যে সাহাবুদ্দিন আহম্মেদ শাহীনকে গুরুত্বর আহত অবস্থায় ২৫০ শয্যা বিশিণ্ট জেনারেল হাসপাতালে নিলে সেখানে কর্তৃব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করে।
মিরপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম-সাধারন সম্পাদক আনোয়ারুল ইসলাম মালিথা জানান, কামারুল আরেফিন এলাকায় এককভাবে সব কিছু নিয়ন্ত্রন করে চলেছে। এ কারনে দলীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে তার বিরুদ্ধে ক্ষোভ দিনদিন পুঞ্জিভুত হচ্ছে। তিনি দাবি করেন, কামারুল আরেফিনের নিদের্শেই এ হামলা সংঘটিত হয়েছে। এতে তার এক কর্মী নিহত হয়েছে।
মিরপুর উপজেলা চেয়ারম্যান কামারুল আরেফিন অভিযোগ অস্বিকার করে বলেন, কুষ্টিয়া পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে বিশেষ কাজে এসেছিলাম। সেখান থেকে জানতে পারি আনোয়ারুল মালিথার লোকজন স্থানীয় যুবলীগ নেতা আশরাফুল ইসলামের অফিস ভাংচুর করে এ নিয়ে সংঘর্ষ হয়েছে। তিনি আরো বলেন, দলীয় সব নেতারা আমার সাথেই রয়েছে।
কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার এসএম মেহেদী হাসান জানিয়েছে, দু-পক্ষের সংঘর্ষে বেশ কয়েকজন আহত এবং একজন নিহত হয়েছে। তবে পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রনে রয়েছে বলেও জানান তিনি।