তিনি বলেছেন, আমরা দাবি জানাচ্ছি যে, অবিলম্বে পার্বত্য চট্টগ্রাম ও চট্টগ্রামের যেসব অঞ্চলে ভূমিধস হচ্ছে-ওইসব এলাকাকে দুর্গত এলাকা ঘোষণা করা হোক এবং রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করা হোক।
সোমবার গুলশানের ইমানুয়েলস কনভেনশন সেন্টারে জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থা-জাসাসের উদ্যোগে ইফতার মাহফিল তিনি এ দাবি জানান।
মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা যখন এখানে ইফতার করছি, তখন অনেক দূরে দেশের একদম দক্ষিণাঞ্চলে আমাদের ভাই-বোনেরা খুব কষ্টে আছেন। তাদের ঘর-বাড়ি ভেঙে পড়ছে। আত্মীয়-স্বজনরা মারা গেছে। ভূমিধসে ১৭০ এর মতো মানুষ মারা গেছে। তারপরও দুঃখজনকভাবে সরকার কোনো রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করেনি এবং এখনো ওই অঞ্চলটিকে উপদ্রুত এলাকা ঘোষণা করেনি।
সরকারের সমালোচনা করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, গণতন্ত্রহীন দেশে প্রকৃত সংস্কৃতি চর্চা হয় না। গণতন্ত্রহীন ও অধিকারহীন অবস্থার মধ্যে দেশ চলছে। আমাদের প্রত্যাশা থাকবে জাসাস এই সংস্কৃতিকে ধারণ করে তারা সত্যিকার অর্থেই দেশের মানুষের প্রকৃতি কৃষ্টি ও সংস্কৃতি চর্চা করবে এবং দেশের মানুষের মাঝে ছড়িয়ে দেবে।
তিনি বলেন, আমরা সবসময় বলছি, আমরা গণতন্ত্র চাই। এটা চাই বলেই আমরা সবসময় লড়াই করছি, সংগ্রাম করছি। গণতন্ত্র আওয়ামী লীগ সরকার হরণ করে নিয়েছে। আমরা মনে করি একমাত্র সুষ্ঠু অবাধ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে সেই গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে আনা সম্ভব। সেটাকে ফিরিয়ে আনার দাবি আমরা জানাচ্ছি।
গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার আন্দোলনে ‘সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে জনমত’ সৃষ্টির জন্য জাসাসের সর্বস্তরের নেতা-কর্মীদের কাজ করার আহবান জানান মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- জাসাস সভাপতি অধ্যাপক মামুন আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক হেলাল খান, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য গাজী মাজহারুল আনোয়ার, আবদুস সালাম, তাহমিনা রুশদীর লুনা, সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক আশরাফউদ্দিন আহমেদ উজ্জ্বল, জাসাসের সাবেক সভাপতি রেজাবুদ্দৌলা চৌধুরী, জাতীয়তাবাদী সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের মহাসচিব রফিকুল ইসলাম প্রমুখ।