সোমবার সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে এই নীতিমালার অনুমোদন দেওয়া হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
শফিউল আলম বলেন, সরকার আগে থেকেই জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যমকে একটি নীতিমালার অধীনে আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আজ সেটার খসড়া চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হলো।
তিনি বলেন, অনুমোদিত নীতিমালা অনুযায়ী বর্তমানে দেশে চলমান প্রায় ২ হাজার অনলাইন গণমাধ্যমকে সরকারের কাছ থেকে নিবন্ধন নিতে হবে।
মন্ত্রিসভায় অনুমোদনের পর এখন তথ্য মন্ত্রণালয় থেকে গেজেট আকারে প্রকাশের অপেক্ষা। মন্ত্রণালয় গেজেট প্রকাশ করলেই এটি কার্যকর হবে।
খসড়া অনুমোদন পাওয়া প্রস্তাবিত নীতিমালা অনুযায়ী গঠিত জাতীয় সম্প্রচার কমিশনই অনলাইন গণমাধ্যম পরিচালনা করবে। জারি করা বিধি-বিধান যথাযথভাবে মেনে চলা হচ্ছে কিনা তাও ধারাবাহিকভাবে পর্যবেক্ষণ করবে এই কমিশন।
সব গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠানের প্রকাশিত বা প্রচারিত সংবাদ ও অনুষ্ঠান প্রসঙ্গে ৬ মাস বা এক বছর পরপর প্রতিবেদন নেবে কমিশন। পরবর্তীতে তা পেশ করা হবে সরকারের কাছে। যে কোনো অনলাইন গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠান পরিদর্শনও করবেন তারা।
নীতিমালা পরিপন্থী তথ্য প্রকাশ এবং দেশের বিদ্যমান আইন লঙ্ঘনের সুনির্দিষ্ট অভিযোগে পেলে সংশ্লিষ্ট অনলাইন গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠানকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেবে কমিশন। স্বপ্রণোদিতভাবেও তারা এই কাজ করতে পারবে। আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দিয়ে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সুপারিশ করবে সরকারকে।
এছাড়া কমিশন আইনের বাস্তবায়ন, পরিবর্তন, পরিবর্ধন, বিধিবিধান প্রণয়নের জন্য সংশ্লিষ্টদের পরামর্শ নেবে। অনলাইন গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠান ও নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষের জন্য একটি অনুসরণীয় নিয়মকানুনও তৈরি করবে কমিশন।
সংবাদপত্রের জন্য ১৯৭৩ সালের প্রেস অ্যান্ড পাবলিকেশনস অ্যক্ট থাকলেও অনলাইন পত্রিকা পরিচালনার জন্য দেশে কোনো আইন, নীতিমালা ও অধ্যাদেশ ছিলো না। ২০১২ সালে সরকার একটি খসড়া তৈরি করলেও তা নিয়ে সমালোচনা শুরু হয়।
এরপর অনলাইন গণমাধ্যমের সম্পাদকসহ সংশ্লিষ্টদের নিয়ে গঠিত কমিটির সুপারিশ ও সংশ্লিষ্টদের মতামত নিয়ে খসড়া চূড়ান্ত করা হয়।
অনলাইন গণমাধ্যমকে নিবন্ধন দিতে এরইমধ্যে বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার মাধ্যমে তদন্ত করেছে সরকার।