ক্রাইমবার্তা রিপোট: রাজধানীর মিরপুরে পুলিশ হেফাজতে চাঞ্চল্যকর জনি হত্যার মূল আসামী এসআই জাহিদ এখনও কারাগারে। কিন্তু অভিযুক্ত অপর দুই আসামী এএসআই কামরুজ্জামান ও রাশেদুল জামিনে বেড়িয়েই মামলা তুলে নিতে চাপ দিচ্ছেন বাদীকে। এমন কি তারা বাদীদের টাকাও দেওয়ার কথা বলছেন। ধরণা দিচ্ছেন রাজনৈতিক নেতাদের দুয়ারেও। তাদের এই তৎপরতা ধরা পরেছে গোপন ক্যামেরায়। এই অবস্থায় চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছে জনির পরিবার। অবশ্য জনির মায়ের সাফকথা কিছুতেই তারা আপোষ করবেন না ছেলে হত্যা কারীদের সাথে।
২০১৪ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর মিরপুরে পুলিশের সোর্সের সাথে কথা কাটাকাটির জেরে একটি বিয়ের অনুষ্ঠান থেকে জনি ও রকি নামের দুই ভাইকে তুলে নিয়ে যায় পল্লবি থানার একদল পুলিশ সদস্য। চালায় নির্মম নির্যাতন। পরে ঐই রাতেই আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাদের নেয়া হয় হাসপাতালে। ভগ্যের জোরে ছোট ভাই রকি বেঁচে গেলেও বাঁচতে পারেনি বড় ভাই জনি। পুলিশ হেফাজতে নিয়ে জনিকে হত্যার অভিযোগ উঠে এসআই জাহিদ, এএসআই কামরুজ্জামান ও এএসআই রাশেদুলের বিরুদ্ধে।
ঘটনার এক বছর পর আত্মসমর্থন করেন দুই এএসআই। তিন মাস জেল খেটে বের হন জামিনে। এরপর থেকে শুরু হয় মামলা তুলে নিতে হুমকি দামকি। তাতে কাজ না হলে স্থানীয় এমপি ইলিয়াস মোল্লার কাছে ধরনাদেন তারা।
বিষয়টি স্বীকার করে সংসদ সদস্য ইলিয়াস উদ্দিন মোল্লা বলেন, তারা দোষী। আগেও বলছে, এখনও বলছে এবং কিছুদিন আগেও আসছিলো। ওরা এসে টাকা অফার করে।
এমপির কাছে তদবির করে বেড়িয়ে আসার পথেই তাদের সাথে দেখা হয় জনির ভাই রকির সাথে। কথায় কথায় উঠে আসে সেই রাতের নির্মম নির্যাতনের বর্ণণা। যা মোবাইল ফোনে গুপনে ধারণ করে রাখেন রকি।
জনির বাসায় গিয়ে তার পরিবারকে মোটা অঙ্কের টাকাও সাধেন দুই পুলিশ কর্মকর্তা।
জনির মায়ের সাফকথা হুমকি দামকি কিংবা টাকা কোনো কিছুতেই আপোষ করবে না ছেলের হত্যা কারীদের সাথে।
নিহতের ভাই রকি জানান, আমি আইনকে বিশ্বাস করেছি। আইন এটার বিচার করছে। এর মাঝে হাইকোর্ট থেকে জামিন নিয়ে তারা আমাকে নানা ধরনের হুমকি দামকি এবং টাকা পয়সার প্রলোভন দিয়ে যাচ্ছেন। আমার পরিবারকে নিয়ে আমি এভাবে আতঙ্কে জীবনযাপন করছি।
আদালতের উপর আস্থা রেখে এখনো ন্যায় বিচারের আশায় বুক বেঁধে আছে জনির পরিবার। সূত্র : চ্যানেল ২৪।