বুধবার জাতীয় সংসদে আগামী অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে মেনন এই কথা বলেন।
ঢাকায় নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকদের উদ্দেশে মেনন বলেন, তাঁদের উচিত হবে কূটনীতিক শিষ্টাচারের মধ্যে থেকে এদেশের নির্বাচনে হস্তক্ষেপ না করা। যেখানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচন নিয়ে ট্রাম্প-হিলারি প্রশ্ন তোলেন, সেখানে কীভাবে সেদেশের রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের নির্বাচনের স্বচ্ছতা নিয়ে পরামর্শ দেন, তা তিনি বুঝতে পারছেন না।
প্রস্তাবিত বাজেট প্রসঙ্গে রাশেদ খান মেনন বলেন, ১৫ শতাংশ ভ্যাট কার্যকর হলে তার পরিণতি কী হবে, অর্থমন্ত্রী জানেন না। এতে নিম্ন মধ্যবিত্তদের ওপর আঘাত আসবে। তিনি আশা করেন, অর্থমন্ত্রী এটি পুনর্বিবেচনা করবেন এবং প্রধানমন্ত্রী প্রয়োজনে এখানে হস্তক্ষেপ করবেন।
ব্যাংক হিসাবে বাড়তি আবগারি শুল্ক প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, এ শুল্কের নাম বদলালে তা যথেষ্ট হবে না। তিনি বলেন, ভ্যাটের আওতা না বাড়িয়ে সহজে আদায় করা যায়—এমন করের ওপর বাজেটে জোর দেওয়া হয়েছে। এর অন্যতম উদাহরণ হলো ব্যাংক হিসাবে আবগারি শুল্ক বাড়ানোর প্রস্তাব।
নিজের মন্ত্রণালয় প্রসঙ্গে বেসরকারি বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী মেনন বলেন, বিমান সম্পর্কে যত কম কথা বলা যায়, ততই ভালো। এটি একটি পাবলিক লিমিডেট কোম্পানি। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে এটিকে লিমিডেট কোম্পানি করা হয়েছে। এখানে জবাবদিহিতা এবং জনবল কোনটাই নেই। যার কারণে এটা নিয়ে অজস্র এখানে (সংসদে) অভিযোগ আসছে। ইতোমধ্যে বিমানকে জরুরি সার্ভিস ঘোষণা করা হয়েছে। মন্ত্রণালয় থেকে একটি কমিটি করে দেওয়া হয়েছে। তারা বিমানের আমুল সংস্কারের জন্য সুপারিশ প্রদান করবে। ওই সুপারিশ প্রধানমন্ত্রীকে দেওয়া হবে। পরে সেই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসবে। এর মধ্যে বেশ কিছু উন্নতি বিধান করার চেষ্টা হয়েছে।
– See more at: http://www.sheershanews.net/2017/06/21/140635#sthash.S69Qlttr.dpuf