ইভিএম নয়, আন্তরিকতাই সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন নিশ্চিত করবে : সুজন সম্পাদক

ক্রাইমবার্তা আন্তর্জাতিক ডেস্ক :যেহেতু আমাদের নির্বাচনটা প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক হবে কি না সেটা নিয়ে আমাদের সমস্যা। নির্বাচনে সবাইকে অংশগ্রহণে উদ্বুদ্ধ করাই আমাদের একটা বড় চ্যালেঞ্জ। তাই এই মুহূর্তে আমাদের ইভিএম ব্যবহার করার চিন্তা থেকে সরে আসতে হবে। আর ইভিএম যদি ব্যবহার করতেই হয়ে তবে সবার সম্মতি নিয়ে করা উচিত। টিভিএনএ নিউজের সাথে একান্ত সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেছেন, সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার।

তিনি বলেন, আমরা যদি বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে চাই এবং যদি উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত হতে চাই তাহলে আমাদের ভবিষ্যতে উন্নত ও আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করতে হবে। ইভিএম নিয়ে যেহেতু অনেক রকম প্রশ্ন আছে এবং অনেক রকম সন্দেহ আছে তাই এটা এখন ব্যবহার না করাই ভাল। ভবিষ্যতে সকল দলের বিশেষ করে বড় দলগুলোর মতামতের ভিত্তিতে এটা ব্যবহার করা যেতে পারে।

বদিউল আলম বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর মতামতের ভিত্তিতে স্থানীয় নির্বাচনে আমরা সীমিত আকারে ইভিএম ব্যবহার করতে পারি। আর এটাই আমাদের অব্যাহত রাখা উচিত। তা ছাড়া আমরা একাদশ সংসদ নির্বাচনের পরিবর্তে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে এটা ব্যবহারের উদ্যোগ নিতে পারি।

ইলেক্ট্রনিক্স ভোটিং মেশিন সম্পর্কে তিনি আরো বলেন, ভারতে নির্বাচনে যে প্রযুক্তি ব্যবহার করে সেটা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিলো। যদিও তাদের দেশের নির্বাচন কমিশন ঐ সন্দেহটা দূর করতে পেরেছে। আমাদের এখানে তো আরো জোরালো বিরোধিতা আছে এবং আমাদের সুষ্ঠু নির্বাচনেই একটা বড় সমস্যা। ভারতে সুষ্ঠু নির্বাচন বড় সমস্যা নয়। আমাদের প্রেক্ষাপটটা ভিন্ন তাই আমাদের মুল অংশীদার যারা আছে তাদের মতামতের ভিত্তিতে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া উচিত। নির্বাচনের সময় সহায়ক সরকার সম্পর্কে বদিউল আলম বলেন, আমাদের অতীত ইতিহাস বলে বাংলাদেশে যতগুলো নির্বাচন দলীয় সরকারের অধিনে হয়েছে সবগুলোতে যারা ক্ষমতাসীন ছিলো তারাই ক্ষমতায় ফিরে এসেছেন। আর যতটুক নির্বাচন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধিনে হয়েছে সব নির্বাচনেই যারা ক্ষমতায় ছিলো তারা ক্ষমতাচ্যুত হয়েছে। তাতে এটা স্পষ্ট যে, দলীয় সরকারের অধিনে সুষ্ঠু নির্বাচন হয় না।

আমাদের নিকট অতীতে যে নির্বাচন হয়েছে সে নির্বাচনতো অংশগ্রহণমূলকই হয়নি। শুধু তাই নয় আমাদের স্থানীয় সরকার নির্বাচনগুলোতে সরকার পরিবর্তনে হয় না। তার পরও সেগুলো পর্যন্ত দলীয় সরকারের অধিনে সুষ্ঠু হয়নি। তাই আমাদের নির্বাচনকালীন এমন একটা সরকার থাকা দরকার (আমি তত্ত্ববধায়ক সরকারের কথা বলছি না) যেই সরকারটা নিরপেক্ষ আচরণ করবে, যেই সরকার নির্বাচনকে প্রভাবিত করবে না, যেই সরকার আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বা প্রশাসনকে ব্যবহার করবে না। সেই রকম একটা সরকার প্রয়োজন। তাই আমাদের এই ব্যাপারে চিন্তা ভাবনা করতে হবে এবং আমাদের রাজনীতিবিদদের এই নিয়ে সমঝোতায় পৌঁছাতে হবে। না হলে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়।
বদিউল আলম মজুমদার আরো বলেন, সংবিধানে দলীয় সরকারের অধিনে নির্বাচন হওয়ার কথা আছে। আমাদের রাজনীতিবিদরা যদি একমত হয় তাহলে যারা সংসদে প্রতিনিধিত্বে নেই তাদের কে সমঝোতার ভিত্তিতে নির্বাচিত করে এনে এটা করা সম্ভব। এটা সদিচ্ছার প্রশ্ন। এটা আমাদের পরস্পরের প্রতি আস্থাশীলতার প্রশ্ন এবং আমরা নির্বাচনটা কিভাবে দেখতে চাই তার উপর নির্ভর করবে। আমাদের আন্তরিকতার উপর নিভ

 

Check Also

আনুষ্ঠানিকভাবে ভারতের কাছে শেখ হাসিনাকে ফেরত চাইল বাংলাদেশ

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেশে ফেরাতে ভারতকে চিঠি পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

***২০১৩-২০২৩*** © ক্রাইমবার্তা ডট কম সকল অধিকার সংরক্ষিত।