ক্রাইমবার্তা রিপোট:প্রধানমন্ত্রীর ইমেজ বৃদ্ধির জন্য বাজেট নিয়ে জনগণের সাথে চলছে তামাশা উল্লেখ করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রহুল কবির রিজভী বলেছেন, সরকার চোরকে বলছে চুরি করতে আর পুলিশকে বলছে ধরো-ধরো। প্রধানমন্ত্রীর ভাবমূর্তি বৃদ্ধি করতে গিয়ে অর্থমন্ত্রীকে বেকুব ও রাবিশে পরিণত করা হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, আওয়ামী লীগের বৈশিষ্ট্যই এরকম। সরকার প্রধানকে রক্ষা করার জন্য প্রয়োজনে নিজ দলের উচ্চ পর্যায়ের যে কাউকে বলি দিতে এরা দ্বিধা করে না। আওয়ামী দূ:শাসনপ্রসুত বাজেট জনগণের বিরাজমান দু:খ-দুর্দশাকে আরো তীব্রতর করবে। জনগণের পকেট কেটে লুটপাটের মাধ্যমে দেশের অর্থনীতিকে এমন খাদের কিনারে নিয়ে যাওয়া হয়েছে যে সেখান থেকে পূণ:রুজ্জীবনের এই মূহুর্তে আর কোন সম্ভাবনা নেই।
এই সরকার হচ্ছে দুর্ভোগ সৃষ্টির সরকার উল্লেখ করে বিএনপির এই নেতা বলেন, এই সরকার মানুষকে শান্তি, স্বস্তি, স্থিতি, স্থৈর্য্য দিতে পারেনি। ঈদে ঘরমূখী মানুষের দুর্ভোগের কোন সীমা নেই। ঢাকার চারিদিকে সকল মহাসড়কে দীর্ঘ যানজটে যাত্রীদের নাকাল অবস্থা। গণমাধ্যমের পরিসংখ্যান অনুযায়ী সারাদেশে সড়ক ও মহাসড়কের ৭৫ হাজার কি: মি; রাস্তারই বেহাল দশা। এগুলো সরকারের দুর্নীতিরই উজ্জল দৃষ্টান্ত।
রিজভী বলেন, ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার খোশালপুর গ্রামে ভারতের বিএসএফ কর্তৃক শহীদুল ইসলামের ছেলে সোহেল ও শ্যামপুর গ্রামের কাউসার আলীর ছেলে হারুন অর রশীদ নামে বাংলাদেশের দুই জনকে গুলি করা হলে তারা ঘটনাস্থলেই মারা যান। আমাদের প্রশ্ন হচ্ছে-বিএসএফ কর্তৃক নিহত দুই বাংলাদেশী কিশোর তারা কী ভারত আক্রমণ করতে গিয়েছিল ? তারা কী ভারতের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের জন্য বিরাট হুমকি ছিল ? বাংলাদেশের মানুষ এই জঘন্য হত্যাকান্ডের ক্রোধে ফেটে পড়লেও আওয়ামী সরকার নিশ্চুপ। আমাদের বক্তব্য হচ্ছে-ভারত মুক্তিযুদ্ধে সাহায্য করেছে বলেই কী বাংলাদেশীদেরকে বেআইনী এবং যখন তখন গুলি করে হত্যা করার অনুমোদন পেয়েছে ? ৭১ এর ঋণ আমাদেরকে আর কতদিন ধরে রক্ত দিয়ে শোধ করতে হবে।