স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার ‘হার্জলিয়া’ সম্মেলনে বক্তৃতাকালে এসব কথা বলেন ইয়িসরায়েল কাৎজ। এ সম্মেলেন ইসরাইলি নেতারা ইহুদিবাদী রাষ্ট্রটির জাতীয় কৌশল সংক্রান্ত পরিকল্পনা ও উদ্যোগের কথা উপস্থাপন করেন।
কাৎজ তার বক্তৃতায় সৌদি ও ইসরাইলের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা করতে বিতর্কিত ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনজামিন নেতানিয়াহুকে রিয়াদ সফরে আমন্ত্রণ জানাতে সৌদি রাজা সালমান বিন আবদুল আজিজের প্রতি আহ্বান জানান।
একই সঙ্গে তিনি ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানকে তেল আবিব সফরে পাঠাতে সৌদি রাজাকে পরামর্শ দেন।
কাৎজ বলেন, আমি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুকে সৌদি আরব সফরে আমন্ত্রণ জানাতে রাজা সালমানকে আহ্বান জানাচ্ছি। যখন মার্কিন প্রেসিডেন্ট সৌদি আরব সফর করছিল তখন আমরা দেখেছি আপনি কত চমৎকারভাবে মেহমানদারি করেন।
কাৎজ বলেন, আপনি নতুন উত্তরাধিকারী প্রিন্স মোহাম্মদকেও ইসরাইল সফরে পাঠাতে পারেন। তিনি একজন চৌকষ ব্যক্তি। তিনি একজন সূচনাকারী এবং তিনি প্রতিবন্ধকতা দূর করতে চান।
‘হার্জলিয়া’ সম্মেলনে ইসরাইলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী আবিদগার লিবারম্যানও ইসরাইলের সঙ্গে আরব রাষ্ট্রগুলোর ‘পূর্ণ কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিক’ সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানান।
এদিকে ইসরাইলের দুজন মন্ত্রী সৌদির সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ার কথা বললেও তা নাকচ করে দিয়েছেন ফিলিস্তিনি নেতা মোস্তফা বারগুতি।
রামাল্লা নিবাসী প্যালেস্টাইন ন্যাশনাল ইনিশিয়েটিভের এই প্রধান বলেন, আমি মনে করি না যে সৌদি বা অন্য কোনো আরব রাষ্ট্র ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্ক সহজ করার প্রস্তাব গ্রহণ করবে।
উল্লেখ্য, ২০১৫ সালের ২৩ জানুয়ারি সৌদির তৎকালীন রাজা আবদুল্লাহ বিন আবদুল আজিজ ইন্তেকাল করলে ক্ষমতাসীন হওয়ার এক ঘণ্টার মধ্যে মোহাম্মদকে প্রতিরক্ষা মন্ত্রী করেন নতুন রাজা সালমান।
এরপর ক্রমাগতই প্রিন্স মোহাম্মদের প্রভাব বাড়ছিল। সর্বশেষ গতকাল বুধবার ভোররাতে সৌদির ক্রাউন প্রিন্স পদ থেকে ভাতিজা মোহাম্মদ বিন নায়েফকে অপসারণ করে এ পদে মোহাম্মদকে বসান সৌদি রাজা।
এর ফলে রাজা সালমানের মৃত্যুর পর সৌদির নতুন রাজা হবেন মোহাম্মদ।