বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের সাইনবোর্ড এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম ও ঢাকা-সিলেট মহসড়কে ঈদে যাত্রীদের নিরাপত্তার বিষয়ে বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ) এর কার্যক্রম পরিদর্শনে এসে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
সেতুমন্ত্রী বলেন, আমাদের সংসদ সদস্যরাই অনেকে এ বাজেটের বিরোধিতা করছে কিছু কিছু অংশে আবার পক্ষে বলছে। প্রস্তাব উথাপন মানেই বাজেট পাশ নয়। বাজেট পাশ হবে ২৯ তারিখে। প্রধানমন্ত্রী এ বিষয়ে সকলকে নিয়ে বসেছেন, কথা বলেছেন, আলাপ আলোচনা হয়েছে। আমি মনে করি বাজেট যখন সংসদে পাশ হবে তখন সবার কাছে গ্রহণযোগ্য হবে। জনগণ খুশি হবে এবং বিএনপির মুখ বন্ধ হয়ে যাবে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, সংবিধানে সহায়ক সরকারের কোনো বিধান নেই। এছাড়াও পৃথিবীর কোনো দেশে সহায়ক সরকার বলে নির্বাচনকালীন কোনো সরকার নেই। তাহলে বাংলাদেশে কেন বেগম জিয়া এর আশা করছেন, তিনি কি সহায়ক সরকার করেছিলেন? এখন এসব কথা বলে লাভ নেই। সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হবে।
তিনি আরও বলেন, নির্বাচনে বেগম জিয়া আসবেন সেটা আমরা জানি। কারণ এ নির্বাচনে আসার জন্য তারা নিজেদের দলেরই চাপে আছে। এ নির্বাচনে না আসলে বিএনপির অবস্থান মুসলিম লীগের চেয়েও খারাপ হবে। পরপর নির্বাচন বয়কটের পরিণতি তাদেরকে চোরাবালিতে আটকে রাখবে। এ ধরনের অস্বতিত্বের ঝুঁকি বেগম জিয়া নেবেন বলে আমার বিশ্বাস হয় না।
ঈদে যানজটের বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, বড় ধরনের কোনো জটপূর্ণ পরিস্থিতি সৃষ্টি না হলে এবারের ঈদ যাত্রা স্বস্তিদায়ক হবে। জনগণের ভোগান্তি সহনীয় পর্যায় রাখার জন্য ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। আমাদের প্রকৌশলীদের ছুটি বাতিল করেছি। যেখানে অবহেলা সেখানে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। গতকাল গাজীপুর ও ভুলতার দুই প্রকৌশলীকে শোকজ করা হয়েছে। কোনো প্রকার দায়িত্ব অবহেলা সহ্য করা হবে না।
এর আগে মন্ত্রী চলমান বাসের যাত্রী ও চালকদের উদ্দেশ্যে লিফলেট বিতরণ করেন।
এ সময় মন্ত্রীর সঙ্গে সড়ক ও জনপথ বিভাগের ঢাকা জোনের অতিরিক্ত প্রকৌশলী আব্দুস সবুর, বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ) এর পরিচালক (প্রশাসন) নাজমুল আহসান মজুমদার, নারায়ণগঞ্জ সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আলীউল হোসেন, উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী ইমরান ফারহান সুমেল ও আব্দুস সাত্তার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।