ক্রাইমবার্তা বিনোদন ডেস্ক:বিএফডিসির সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ড দেখে গত বুধবার প্রকাশিত একটি সংবাদের শিরোনাম লেখা হয়েছিল, ’আবার নিষিদ্ধ হচ্ছেন শাকিব!’ শেষের বিষ্ময় চিহ্নটি দেয়া ছিল শঙ্কা থেকেই। শুক্রবার সন্ধ্যায় সেই শঙ্কা সত্যি হলো চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট ১৬টি সংগঠন নিয়ে গঠিত চলচ্চিত্র ঐক্যজোটের নতুন ঘোষনাতে।
বিএফডিসি পড়ার এই উত্তেজনা আগে থেকেই আচ করতে পেড়েছিলেন শাকিব খান। তাই শুক্রবার বিকেল থেকেই ফোনের মাধ্যমে সাংবাদিকদের সাথে যোগাযোগ রাখছিলেন। যৌথ প্রযোজনার ছবি ‘চালবাজে’র শুটিংয়ের জন্য তিনি এখন অবস্থান করছেন সেন্ট্রাল লন্ডনে। সেখান থেকেই নিষিদ্ধ হওয়ার প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন শাকিব। তিনি বলেন, চলচ্চিত্রকে ধ্বংস করার জন্য বড় চক্রান্ত হচ্ছে। যারা কাজ করছে কিংবা কাজ করতে চাচ্ছে, তাদেরকে বাধা দেওয়া হচ্ছে, তাদেরকে নিষিদ্ধ করা হচ্ছে, তাদের মুখ বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। আমি সকল চক্রান্তকারীর মুখোশ খুলে দিব।’
দেশীয় চলচ্চিত্রের শীর্ষ নায়ক বলেন, ’আমি ষড়যন্ত্রের শিকার। বুধবার (২৬ জুন) দেশে ফিরে সংবাদ সম্মেলন করে এ বিষয়ে বিস্তারিত বলবো।
চলচ্চিত্রে আজীবনের জন্য নিষিদ্ধ হওয়ার পর সবার দৃষ্টি শাকিব খানের দিকে। বিএফডিসিতে অবাঞ্চিত তিনি। কেউ আর তার সাথে কাজ করতে পারবে না। তিনি কী বলবেন? শাকিব জানালেন, এপ্রিল মাসে তাকে যখন নিষিদ্ধ করা হয়, তখন স্বেচ্ছায় তিনি চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির কার্যালয়ে যাননি। চিত্রনায়ক আলমগীরের অনুরোধে গিয়েছিলেন। আর তিনি কারও কাছে ক্ষমা চাননি। পরে সংবাদ সম্মেলনে যা বলা হয়েছে, তা সম্পূর্ণ মিথ্যা।
শাকিব খান বলেন, চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সদস্য ৫ শতাধিক, চলচ্চিত্র প্রযোজক–পরিবেশক সমিতির সদস্য ২৪০ জন আর চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির সদস্য ৩ শতাধিক। কিন্তু আন্দোলন করছে হাতে গোনা মাত্র কয়েকজন। কিন্তু যারা তাকে অবাঞ্চিত ঘোষণা করেছে, নিষিদ্ধ করেছে; তারা আসলে কারা, তারা কতজন?
তিনির আরও বলেন, গত ১৮ জুন সংবাদ সম্মেলনে চিত্রনায়ক ফারুকের নাম উচ্চারণ করে তিনি কোনো মন্তব্য করেননি। তিনি ‘সাহেব’ বলেছেন।