ক্রাইমবার্তা রিপোট:আলমগীর হোসেন লক্ষ্মীপুর থেকে:পর্যাপ্ত ফেরি, সি-ট্রাক ও লঞ্চ না থাকায় বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কায় তিনগুণ যাত্রী নিয়ে লক্ষ্মীপুর-ভোলা নৌ রুটের মজুচৌধুরীরহাট লঞ্চঘাট থেকে লঞ্চ, সি ট্রাক করে ঈদে ঘরমুখো হাজার হাজার মানুষ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হচ্ছে নদী।ঈদ উপলক্ষে মাত্র ২টি লঞ্চের কারণে যাত্রী পারাপারে এ সংকটের সৃষ্টি হয়েছে।
লক্ষ্মীপুর-মজুচৌধুরীরহাট লঞ্চঘাট থেকে চট্টগ্রাম, চাঁদপুর, ফেনী,ভোলা, বরিশালসহ দেশের দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলার মানুষ ইলিশাসহ এ নৌ রুটে চলাচল করছে। বর্তমানে এ নৌ রুটে রয়েছে কনকচাঁপা ও কস্তুরী নামে দুটি ফেরি। যা দিয়ে কোনো রকম চলছে লক্ষ্মীপুর-ভোলা নৌ রুটের যাত্রীরা। চলাচল করছে কয়েকটি সি ট্রাক।
বরিশালের যাত্রী জিয়াউল হক বলেন, স্ত্রী, এক কন্যা ও পুত্র রয়েছেন।চট্টগ্রাম থেকে শনিবার দুপুর ১২টায় এসে মজুচৌধুরীঘাট এসে পৌঁছান। সি ট্রাক আছে তা ভোলার। বরিশালগামী একটি সি ট্রাক আছে তা সকাল ১০টায় চলে গেছে। সেটা বরিশাল হয়ে আবার কখন আসবে তা জানেন না তিনি। ওটা এলে তার পর যেতে হবে বরিশাল।
বরিশালের অপর যাত্রী সফিকুল ইসলাম,তাজল,মাইনুদ্দিন বলেন,তারা চট্টগ্রাম থেকে এসেছেন। স্বজনদের সঙ্গে ঈদ করতে বাড়ি যাচ্ছেন। বরিশাল থেকে সি ট্রাক এলে তারা লক্ষ্মীপুর মজুচৌধুরীরহাট থেকে বরিশাল রওনা হবেন। তাই তারা অপেক্ষা করছেন আর ঘাটে বসে দুর্ভোগ দেখছেন।
জেলা পুলিশ সুপার আ স ম মাহাতাব উদ্দিন বলেন, ঈদের আনন্দ যেন জীবন দিয়ে না হয়। মনে রাখতে হবে আনন্দের চেয়ে জীবনের মূল্য অনেক বেশি। নদী যে কোনো মুহূর্তে আনপ্রেডিক্টেবল হয়ে যেতে পারে। মাঝপথে নৌ দুর্ঘটনায় পতিত হয়ে জীবন যেন সব কিছু শেষ করে না দিই। তাই সরকার অঘোষিত বাহনে না চলাচল করার পরামর্শ দেন তিনি।
এদিকে লক্ষ্মীপুর জেলা প্রশাসক হোমায়রা বেগম বলেন, ঈদে ঘরমুখো মানুষ তাদের স্বজনদের কাছে যেতে পারে সে জন্য দুর্ভোগ হলে, জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
আলমগীর হোসেন
Check Also
আশাশুনিতে টঙ্গী ইজতেমায় হত্যার বিচারের দাবিতে মানববন্ধন
এস,এম মোস্তাফিজুর রহমান,আশাশুনি।।ঢাকার টঙ্গীত ইজতেমা-মাঠে নিরীহ মুসল্লিদের উপর উগ্রবাদী সন্ত্রাসী সাদ পন্থীদের বর্বরোচিত হামলা ও পরিকল্পিত …