রুহুল কবির রিজভী বলেন, ক্ষমতাসীন দলের নেতারা যদি মনে করে থাকেন যে, শেখ হাসিনার অধীনেই আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে, তাহলে তারা মূর্খের স্বর্গেই বাস করছেন। শেখ হাসিনাকে জনগণ বিশ্বাস করে না, তাই শেখ হাসিনার অধীনে কোনো নির্বাচন হবে না। ভোটাররা ভোট কেন্দ্রে যেতে পারবেন না।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শান্তিপূর্ণভাবে ঈদ অনুষ্ঠিত হয়েছে বলে মিথ্যা দাবি করেছেন। ঈদে ঘরমুখী মানুষের যাতায়াতে সরকারী উদাসীনতা ও অব্যবস্থাপনার কারণে অনেক মানুষকে জীবন দিতে হয়েছে। ঈদে যানজটে ঘরমুখী মানুষের নাকাল অবস্থায় সরকারের কোনো সার্ভিসই ছিল না।
বিএনপির এ নেতা বলেন, খাদ্য পণ্যের অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধিতে মানুষ দিশেহারা হয়ে পড়েছে। সরকার ভিজিএফ কার্ডে চাল দিতে পারেনি। ঢাকাসহ দেশব্যাপী চালের দাম বেশি। দেশে নিরবে নয় বরং প্রকাশ্যেই দূর্ভিক্ষের আগ্রাসন ধেয়ে আসছে। অনাহার-অর্ধাহারে মানুষ আজ বিপর্যস্ত।
তিনি বলেন, বিএনপিই এদেশে সূচনা করেছিল জনশক্তি রফতানি। সেই জনশক্তি রফতানি এখন স্থবির হয়ে পড়েছে। গত বছরের তুলনায় দেশের রেমিটেন্স এবার ১৭ শতাংশ কমে গেছে। গত বছরও তার আগের বছরের চেয়ে ১২ শতাংশ রেমিটেন্স কমেছিল। বর্তমান সরকার ক্ষমতাসীন হওয়ার পর থেকে ধারাবাহিকভাবে রেমিটেন্স যেভাবে কমে আসছে তাকে শিগগিরই শূন্যের কোটায় নেমে আসবে।
রিজভী বলেন, সরকারের কৃপাধন্য আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে হত্যার লাইসেন্স দেয়া হয়েছে। বাংলাদেশের জনপ্রতিনিধিরা নয়, পুলিশই এখন জনগণের ভাগ্য নিয়ন্ত্রক। বাংলাদেশকে পরিণত করা হয়েছে একটি ‘ক্রিমিনাল স্টেট’এ।
আওয়ামী লীগকে মিথ্যা চিৎকারসর্বস্ব দল উল্লেখ করে তিনি বলেন, সকল প্রকার অনাচারে লিপ্ত থেকেও দলটির নেতারা মিথ্যা কোরাশ গাইতে থাকেন। তাই ক্ষমতাসীনদের টপ টু বটম নেতারা সরকারি অন্যায়কে আড়াল করতে চায় একই মিথ্যা বারবার আউড়িয়ে।
মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগ দাবি করেন বিএনপির এ সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব।