বুধবার সকালে পুলিশ বন্দরের ধামগড় ইউনিয়নের হালুয়াপাড়ার বাড়ি থেকে ইকবালের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠিয়েছে। এ ব্যাপারে মামলা হয়েছে।
এলাকাবাসী জানান, উপজেলা কাজিপাড়া গ্রামের মোল্লা বাড়ির সুরুজ মিয়ার মেয়ে নাসরিন আক্তারের সঙ্গে হালুয়াপাড়া গ্রামের সামছুল হকের মেঝো ছেলে ইকবালের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। প্রেমের টানে তারা পরিবারের অজান্তে গোপনে বিয়ে করে। বিয়ের পর নাসরিন ৬ মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। কিন্তু ইকবালের পরিবার তা মেনে নেয়নি।
গত মঙ্গলবার সকালে মেয়েকে তুলে দেয়ার জন্য ইকবালের বাড়িতে প্রস্তাব নিয়ে আসেন নাসরিনের বড় বোন ও পরিবারের লোকজন।
এসময় ইকবালের বড় ভাই বিল্লাল হোসেন ও ছোট ভাই ইমরান তাদের গালমন্দ করে এবং মারধরের চেষ্টা করে। এরপর বোনকে নিয়ে বাড়ি চলে আসেন তারা। পরে এ নিয়ে বড় ভাই বিল্লাল ও ছোট ভাই ইমরানের সঙ্গে ইকবালের ঝগড়া হয়।
বুধবার সকালে ঘর থেকে পুলিশ ইকবালের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে ।
নিহত ইকবালের স্ত্রী নাসরিন আক্তার জানান, আমার স্বামীকে হত্যা করে লাশ ঝুলিয়ে রেখেছে বড় ভাই বিল্লাল ও ছোট ভাই ইমরানসহ পরিবারের লোকজন। এ হত্যাকাণ্ডের বিচার চান তিনি।
কামতাল তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ ইন্সপেক্টর মোস্তাফিজুর রহমান জানান, প্রেমের বিয়ে পরিবার মেনে না নেয়ায় গলায় ওড়না প্যাঁচিয়ে আত্মহত্যা করেছে ইকবাল হোসেন। লাশ উদ্ধার করে জেলা হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে। তবে ময়নাতদন্তের পর বলা যাবে এটা হত্যা না আত্মহত্যা।