ক্রাইমবার্তা নির্যাতিত মানুষের পাশে
গাজীপুর সংবাদদাতাঃ গাজীপুরে পৃথক ঘটনায় নিহত এক প্রবাসীসহ দু’যুবকের ঝুলন্ত লাশ বৃহষ্পতিবার দুপুরে উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহতরা হলো-গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের বাঙ্গালগাছ এলাকার জালাল উদ্দিনের ছেলে জাকির হোসেন (২৮) ও দিনাজপুর জেলার বিরামপুর থানার দিবুন গ্রামের রেজাউল করিমের ছেলে রতন মিয়া (২৩)। 
জয়দেবপুর থানার ওসি আমিনুল ইসলাম ও নিহতের বাবা জানান, গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের বাঙ্গালগাছ এলাকার জাকির হোসেন দুবাই’তে চাকুরি করে। প্রায় তিন মাস আগে ছুটি নিয়ে সে বাড়ি আসে। তাকে বিয়ে দেওয়ার প্রস্তুতিও নেওয়া হয়েছিল। জাকির প্রতিদিনের মতো বুধবার রাতে খাওয়া দাওয়া শেষে দরজা আটকিয়ে নিজ ঘরে ঘুমিয়ে পড়ে। কিন্তু পরদিন বৃহষ্পতিবার দুপুর পর্যন্ত তার কোন সাড়া না পেয়ে জানালার ফাঁক দিয়ে উঁকি দেয় বাড়ির লোকজন। এসময় তারা গলায় গামছা দিয়ে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে জাকির হোসেনের লাশ ঝুলতে দেখতে পায়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে নিহতের লাশ উদ্ধার করে। তার হাতে এক নারীর নাম লিখা রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, প্রেম ঘটিত কারণে সে আত্মহত্যা করেছে।
এদিকে, শ্রীপুর মডেল থানার এসআই আজহারুল ইসলাম জানান, প্রায় দু’বছর আগে দিনাজপুরের রতন মিয়া
গাজীপুরের শ্রীপুরে আসে। তেলিহাটি ইউনিয়নের মুলাইদ এলাকার শাহাবুদ্দিনের বাড়ির ভাড়াটিয়া রতন মিয়া স্থানীয় ব্লু-প্লানেট নামের ডায়িং কারখানায় প্রিন্টিং অপারেটর পদে চাকুরি করে। বৃহষ্পতিবার দুপুরে এলাকাবাসির সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ ঘরের ধর্ণার সঙ্গে মাফলার দিয়ে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় রতনের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে।
নিহতের খালা আনোয়ারা বেগম জানান, স্বামীর সঙ্গে ছাড়াছাড়ি হওয়ার পর রতনের মা দিনাজপুরের একটি চাতাল মিলে শ্রমিকের কাজ করে। পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ থাকলেও সে দীর্ঘদিনে বাড়ি যায় নি। প্রায় দু’বছর পর বাড়ি যাওয়ার জন্য বুধবার সন্ধ্যায় রতন মোবাইল ফোনে তার মায়ের কাছে ৫শ’ টাকা দাবী করে। কিন্ত রতনের মা ওই টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে রতন মন খারাপ করে। ধারণা করা হচ্ছে, টাকা না দেওয়ায় অভিমান করে গলায় ফাঁস লাগিয়ে রতন আত্মহত্যা করেছে।
###
মোঃ রেজাউল বারী বাবুল
গাজীপুর জেলা সংবাদদাতা।
২৯/০৬/২০১৭ ইং।
