বৃহস্পতিবার ভোর রাতে হাটিকুমরুল-বনপাড়া মহাসড়কের সিরাজগঞ্জের সলঙ্গার রয়হাটিতে বাস-মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে চালকসহ ওই তিনজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আরও অন্তত পাঁচজন আহত হয়েছেন।
নিহতরা হলেন- বগুড়া জেলার কাহালু থানার ধামগাড়া গ্রামের মৃত কিয়ামত উলাহ মন্ডলের ছেলে সোলেমান হোসেন (৬৫), তার পুত্রবধূ ও হারুনর রশীদের স্ত্রী লিলি আকতার (৩৫) ও তার ছেলে সাগর হোসেন (১২)।
জানা গেছে, বৃহস্পতিবার মালয়েশিয়া থেকে দেশে ফেরার কথা বগুড়া জেলার হারুন অর রশীদের। তাকে ঢাকার বিমানবন্দর থেকে আনতেই বগুড়ার জেলার কাহালু থেকে মাইক্রোবাসযোগে দুই সন্তান সাগর হোসেন, সবুজন হোসেন ও শ্বশুর সোলেমানকে নিয়ে ঢাকার বিমানবন্দরে যাচ্ছিলেন তার স্ত্রী লিলি আখতার।
ভোরে মাইক্রোটি হাটিকুমরুল-বনপাড়া মহাসড়কের সলঙ্গার রয়হাটি এলাকায় পৌঁছলে বিপরীত থেকে আসা যাত্রীবাহী একটি বাসের সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়।
এতে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় হারুন অর রশিদের পিতা, স্ত্রী ও এক সন্তান এবং মাইক্রোবাসচালকসহ চার জন। এ ঘটনায় হারুনের অপর সন্তান ও বাসযাত্রীসহ আরও অন্তত পাঁচজন আহত হয়েছেন।
আহতদের স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে নিহতদের মৃতদেহ উদ্ধার করে।
আহতদের মধ্যে দুইজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তারা হলেন- হারুনর রশীদের ছেলে সবুজ (১৮) ও ইমার উদ্দিনের ছেলে মনসুর রহমান (৩০)। এরা দুইজনও চাচাতো ভাই।
হাটিকুমরুল হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল কাদের জিলানী জানান, যাত্রাবাহী একটি বাস ঢাকা থেকে বগুড়ায় যাচ্ছিল। ভোরে বাসটি হাটিকুমরুল-বনপাড়া মহাসড়কের সলঙ্গার রয়হাটি এলাকায় ওভারটেক করতে গিয়ে একটি মাইক্রোবাসের সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই চালকসহ তিনজন নিহত হন ও আহত আরো কয়েকজন। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়ার পথে আরো একজনের মৃত্যু হয়।
ওসি জানান, নিহতদের মৃতদেহ হাটিকুমরুল হাইওয়ে থানায় রাখা হয়েছে।
হাটিকুমরুল হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল কাদের জিলানী আরও জানান, দুর্ঘটনা কবলিত বাস-মাইক্রোবাসটি আটক করে হাটিকুমরুল হাইওয়ে থানায় রাখা হয়েছে।
এ ব্যাপারে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান ওসি আব্দুল কাদের জিলানী।