আবারও আলোচনায় নির্বাচনকালীন সহায়ক সরকার

ক্রাইমবার্তা ডেস্করিপোর্টঃ থাকাbb3d711a79e8c2085af97ad17092c68a-586501d4dc306;প্রধান বিরোধী দল বিএনপি দীর্ঘদিন ধরে নির্বাচনকালীন সহায়ক সরকারের দাবি আসছে। সরকার বরাবরই এই দাবি প্রত্যাখ্যান করে আসছে। এবার একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বছর দেড়েক আগে বিষয়টি রাজনৈতিক অঙ্গনে আবারও উত্তাপ ছড়াচ্ছে। আওয়ামী লীগ ও বিএনপি—দুই শিবির থেকে বিষয়টি নিয়ে বক্তব্য পাল্টা বক্তব্য আসছে। কিছুদিন ধরে বিষয়টি ধামাচাপা থাকলেও সম্প্রতি নির্বাচনকালীন সরকার দাবি নিয়ে সরব হয়ে উঠেছে বিএনপি। দলটি স্পষ্ট করেই জানিয়ে দিয়েছে, সহায়ক সরকার ছাড়া তারা নির্বাচনে যাবে না। শিগগিরই তারা সহায়ক সরকারের একটি রূপরেখা উপস্থাপন করে তা নিয়ে সরকার প্রধানের কাছে আলোচনার প্রস্তাব দেবে। এতে সমাধান না হলে তারা দাবিটি নিয়ে রাজপথে নামবে। এদিকে এর পাল্টা জবাবে বিষয়টি নাকচ করছে সরকারি দল। আগের অবস্থানে অটল থেকে সরকারি দল বলেছে, বর্তমান সংবিধানের আলোকেই নির্বাচন হবে। সংবিধানের বাইরে যাওয়ার কোনও সুযোগ নেই। বিএনপিকে নির্বাচন করতে হলে সংবিধানের আলোকে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অধীনেই করতে হবে।

নির্বাচনকালীন সহায়ক সরকারের বিষয়টি আলোচনার বাইরে থাকলেও গত ১৮ জুন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া এটিকে আবারও সামনে নিয়ে আসেন। ওইদিন এক ইফতার মাহফিলে অংশ নিয়ে তিনি সহায়ক সরকারের রূপরেখা দেওয়ার কথা বলেন। এরপর ২৬ জুন ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময়কালে তিনি সহায়ক সরকারের দাবি তুলে বলেন, ‘সহায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন কমিশন নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালন করতে পারবে। এ জন্য সব দলের অংশ গ্রহণে নির্বাচন অনুষ্ঠানে প্রয়োজন একটি সহায়ক সরকার।’

এর জবাব দিতে গিয়ে বুধবার সচিবালয়ে ও আগের দিন কুমিল্লার গৌরীপুরে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘শেখ হাসিনার অধীনে নির্বাচন হবে না। সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হবে নির্বাচন কমিশনের অধীনে। নির্বাচনকালে শেখ হাসিনার সরকারই সহায়ক সরকারের দায়িত্ব পালন করবে। আর সরকার নির্বাচন কমিশনের পরামর্শ অনুযায়ী কাজ করবে। জনপ্রশাসন ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনায় পরিচালিত হবে।’

ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্যের জবাবে দলের পক্ষে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘সংবিধানের দোহাই দিয়ে কোনও লাভ হবে না। সংবিধান হিমালয় নয় যে, তাকে নড়ানো যাবে না। শেখ হাসিনার অধীনে ছাড়া আওয়ামী লীগের নেতারা নির্বাচন করতে চান না। নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে ভোটের কথা শুনলেই তারা মূর্ছা যান।’

প্রসঙ্গত, বিএনপি সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল হওয়ার সময়ে ব্যাপক বিরোধিতা করে। পরে দলটি তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনর্বহালের দাবিও তোলে। তবে আদালতের রায়ে এটি বাতিল হওয়ায় বিএনপি ওই অন্দোলনকে বেগমান করতে পারেনি। যে কারণে ২০১৪ সালের নির্বাচনেরে আগে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা থেকে সরে এসে ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের’’ দাবি তোলে বিএনপি। তৎকালীন  বিরোধী দলীয় নেতা খালেদা জিয়া ২০১৩ সালের ২০ অক্টোবর একজন সম্মানিত নাগরিকের নেতৃত্বে সাবেক ১০ উপদেষ্টাকে নিয়ে নির্বাচনকালীন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রস্তাব দেন।বিএনপির ওই প্রস্তাবও হালে পানি পায়নি। আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে নির্বাচন বর্জন করে বিএনপি।  এর মধ্য দিয়ে ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হয় দশম সংসদ নির্বাচন। এখন একাদশ সংসদ নির্বাচনের আগে তারা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অবস্থান থেকে নতুন করে নির্বাচনকালীন সহায়ক সরকারের দাবি তুলছে।

গত বছরের ১৮ নভেম্বর এক সংবাদ সম্মেলনে খালেদা জিয়া বলেন, ‘আমরা নিরপেক্ষ নির্বাচনকালীন সহায়ক সরকারের রূপরেখা ভবিষ্যতে যথাসময়ে জাতির সামনে উপস্থাপন করব। এরপর চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ভোলায় এক জনসভায় জানান, তারা অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক জাতীয় নির্বাচনের জন‌্য বিএনপি শিগগিরই নির্বাচনকালীন সহায়ক সরকারের রূপরেখা দেবে। দলটির পক্ষ থেকে ইতোমধ্যে নির্বাচনকালীন সহায়ক সরকারের রূপরেখার খসড়া প্রণয়ন করেছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেন, ‘রূপরেখা প্রণয়ন খসড়া পর্যায়ে আছে। শিগগিরই এটা চূড়ান্ত করে দেশবাসীর সামনে ‍তুলে ধরা হবে।’ তিনি জানান, ‘ম্যাডাম (খালেদা জিয়া) তো বলেছেন, ঈদের পরেই রূপ রেখা দেবেন। ঈদ তো গেল, শিগগিরই তিনি দলের সিনিয়র নেতাদের নিয়ে বসবেন। ওই বৈঠকে হয়তো সিদ্ধান্ত হবে কবে এটা প্রকাশ করা হবে।’ এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমরা আলোচনায় বিশ্বাস করি। আমরা রূপরেখা দিয়ে সেটা নিয়ে সরকারকে আলোচনার প্রস্তাব দেব। আলোচনায় সমাধান হলে তো সবার জন্যই ভালো। তবে, এতে সমাধান না হলে রাজপথের আন্দেলনে যাওয়া ছাড়া কোনও বিকল্প থাকবে না।’

বিএনপির সহায়ক সরকারের বিষয়টিকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মো. ফারুক খান।

সংসদের বাইরে থাকা প্রধান বিরোধী দল বিএনপি দীর্ঘদিন ধরে নির্বাচনকালীন সহায়ক সরকারের দাবি আসছে। সরকার বরাবরই এই দাবি প্রত্যাখ্যান করে আসছে। এবার একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বছর দেড়েক আগে বিষয়টি রাজনৈতিক অঙ্গনে আবারও উত্তাপ ছড়াচ্ছে। আওয়ামী লীগ ও বিএনপি—দুই শিবির থেকে বিষয়টি নিয়ে বক্তব্য পাল্টা বক্তব্য আসছে। কিছুদিন ধরে বিষয়টি ধামাচাপা থাকলেও সম্প্রতি নির্বাচনকালীন সরকার দাবি নিয়ে সরব হয়ে উঠেছে বিএনপি। দলটি স্পষ্ট করেই জানিয়ে দিয়েছে, সহায়ক সরকার ছাড়া তারা নির্বাচনে যাবে না। শিগগিরই তারা সহায়ক সরকারের একটি রূপরেখা উপস্থাপন করে তা নিয়ে সরকার প্রধানের কাছে আলোচনার প্রস্তাব দেবে। এতে সমাধান না হলে তারা দাবিটি নিয়ে রাজপথে নামবে। এদিকে এর পাল্টা জবাবে বিষয়টি নাকচ করছে সরকারি দল। আগের অবস্থানে অটল থেকে সরকারি দল বলেছে, বর্তমান সংবিধানের আলোকেই নির্বাচন হবে। সংবিধানের বাইরে যাওয়ার কোনও সুযোগ নেই। বিএনপিকে নির্বাচন করতে হলে সংবিধানের আলোকে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অধীনেই করতে হবে।

নির্বাচনকালীন সহায়ক সরকারের বিষয়টি আলোচনার বাইরে থাকলেও গত ১৮ জুন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া এটিকে আবারও সামনে নিয়ে আসেন। ওইদিন এক ইফতার মাহফিলে অংশ নিয়ে তিনি সহায়ক সরকারের রূপরেখা দেওয়ার কথা বলেন। এরপর ২৬ জুন ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময়কালে তিনি সহায়ক সরকারের দাবি তুলে বলেন, ‘সহায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন কমিশন নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালন করতে পারবে। এ জন্য সব দলের অংশ গ্রহণে নির্বাচন অনুষ্ঠানে প্রয়োজন একটি সহায়ক সরকার।’

এর জবাব দিতে গিয়ে বুধবার সচিবালয়ে ও আগের দিন কুমিল্লার গৌরীপুরে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘শেখ হাসিনার অধীনে নির্বাচন হবে না। সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হবে নির্বাচন কমিশনের অধীনে। নির্বাচনকালে শেখ হাসিনার সরকারই সহায়ক সরকারের দায়িত্ব পালন করবে। আর সরকার নির্বাচন কমিশনের পরামর্শ অনুযায়ী কাজ করবে। জনপ্রশাসন ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনায় পরিচালিত হবে।’

ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্যের জবাবে দলের পক্ষে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘সংবিধানের দোহাই দিয়ে কোনও লাভ হবে না। সংবিধান হিমালয় নয় যে, তাকে নড়ানো যাবে না। শেখ হাসিনার অধীনে ছাড়া আওয়ামী লীগের নেতারা নির্বাচন করতে চান না। নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে ভোটের কথা শুনলেই তারা মূর্ছা যান।’

প্রসঙ্গত, বিএনপি সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল হওয়ার সময়ে ব্যাপক বিরোধিতা করে। পরে দলটি তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনর্বহালের দাবিও তোলে। তবে আদালতের রায়ে এটি বাতিল হওয়ায় বিএনপি ওই অন্দোলনকে বেগমান করতে পারেনি। যে কারণে ২০১৪ সালের নির্বাচনেরে আগে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা থেকে সরে এসে ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের’’ দাবি তোলে বিএনপি। তৎকালীন  বিরোধী দলীয় নেতা খালেদা জিয়া ২০১৩ সালের ২০ অক্টোবর একজন সম্মানিত নাগরিকের নেতৃত্বে সাবেক ১০ উপদেষ্টাকে নিয়ে নির্বাচনকালীন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রস্তাব দেন।বিএনপির ওই প্রস্তাবও হালে পানি পায়নি। আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে নির্বাচন বর্জন করে বিএনপি।  এর মধ্য দিয়ে ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হয় দশম সংসদ নির্বাচন। এখন একাদশ সংসদ নির্বাচনের আগে তারা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অবস্থান থেকে নতুন করে নির্বাচনকালীন সহায়ক সরকারের দাবি তুলছে।

গত বছরের ১৮ নভেম্বর এক সংবাদ সম্মেলনে খালেদা জিয়া বলেন, ‘আমরা নিরপেক্ষ নির্বাচনকালীন সহায়ক সরকারের রূপরেখা ভবিষ্যতে যথাসময়ে জাতির সামনে উপস্থাপন করব। এরপর চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ভোলায় এক জনসভায় জানান, তারা অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক জাতীয় নির্বাচনের জন‌্য বিএনপি শিগগিরই নির্বাচনকালীন সহায়ক সরকারের রূপরেখা দেবে। দলটির পক্ষ থেকে ইতোমধ্যে নির্বাচনকালীন সহায়ক সরকারের রূপরেখার খসড়া প্রণয়ন করেছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেন, ‘রূপরেখা প্রণয়ন খসড়া পর্যায়ে আছে। শিগগিরই এটা চূড়ান্ত করে দেশবাসীর সামনে ‍তুলে ধরা হবে।’ তিনি জানান, ‘ম্যাডাম (খালেদা জিয়া) তো বলেছেন, ঈদের পরেই রূপ রেখা দেবেন। ঈদ তো গেল, শিগগিরই তিনি দলের সিনিয়র নেতাদের নিয়ে বসবেন। ওই বৈঠকে হয়তো সিদ্ধান্ত হবে কবে এটা প্রকাশ করা হবে।’ এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমরা আলোচনায় বিশ্বাস করি। আমরা রূপরেখা দিয়ে সেটা নিয়ে সরকারকে আলোচনার প্রস্তাব দেব। আলোচনায় সমাধান হলে তো সবার জন্যই ভালো। তবে, এতে সমাধান না হলে রাজপথের আন্দেলনে যাওয়া ছাড়া কোনও বিকল্প থাকবে না।’

বিএনপির সহায়ক সরকারের বিষয়টিকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মো. ফারুক খান। বাংলা ট্রিবিউনকে দেওয়া এক প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, ‘বিএনপি যে ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে না এসে ভুল করেছিল সেটা উপলব্ধি করেছে বলেই আগামী নির্বাচনে আসতে তারা এই সহায়ক সরকারের কথা বলেছেন। নির্বাচনের সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারই সহায়ক সরকারের ভূমিকা পালন করবেন। নির্বাচন অনুষ্ঠানে কমিশনকে সহযোগিতা করবে।’ তিনি বলেন, ‘বিএনপির রূপরেখাটা আমরা দেখি তাতে তারা কী চায়। তরা যদি শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সহায়ক সরকারের কথা বলেন, তাহলে আমরা অবশ্যই গ্রহণ করব। আর বিকল্প কিছু বললে তারাই আবার নিজেদের অবস্থান থেকে সরে আসতে বাধ্য হবেন। কারণ, তারা অতীতে অনেক বিষয় প্রথমে মানবেন না বলেছেন, পরে আবার অবস্থান পরিবর্তন করে মেনে নিয়েছেন।

অবশ্য আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ বিএনপির সহায়ক সরকারের প্রস্তাবকে কোনও গুরুত্বই দিচ্ছেন না। তিনি বলেন, ‘বিএনপি সহায়ক সরকারের নামে যে উদ্ভট চিন্তা করছে, আওয়ামী লীগ তা নিয়ে মাথা-ই ঘামাচ্ছে না। আওয়ামী লীগ দেশের উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে। দেশে সংবিধান অনুসারে সময়মতো শেখ হাসিনার অধীনেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আওয়ামী লীগ কখনোই আন্দোলনকে ভয় পায় না। কেউ অযৌক্তিক দাবি নিয়ে আন্দোলন করতে চাইলে রাজনৈতিকভাবেই তা মোকাবিলা করা হবে।’

বাংলা ট্রিবিউনকে দেওয়া এক প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, ‘বিএনপি যে ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে না এসে ভুল করেছিল সেটা উপলব্ধি করেছে বলেই আগামী নির্বাচনে আসতে তারা এই সহায়ক সরকারের কথা বলেছেন। নির্বাচনের সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারই সহায়ক সরকারের ভূমিকা পালন করবেন। নির্বাচন অনুষ্ঠানে কমিশনকে সহযোগিতা করবে।’ তিনি বলেন, ‘বিএনপির রূপরেখাটা আমরা দেখি তাতে তারা কী চায়। তরা যদি শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সহায়ক সরকারের কথা বলেন, তাহলে আমরা অবশ্যই গ্রহণ করব। আর বিকল্প কিছু বললে তারাই আবার নিজেদের অবস্থান থেকে সরে আসতে বাধ্য হবেন। কারণ, তারা অতীতে অনেক বিষয় প্রথমে মানবেন না বলেছেন, পরে আবার অবস্থান পরিবর্তন করে মেনে নিয়েছেন।

অবশ্য আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ বিএনপির সহায়ক সরকারের প্রস্তাবকে কোনও গুরুত্বই দিচ্ছেন না। তিনি বলেন, ‘বিএনপি সহায়ক সরকারের নামে যে উদ্ভট চিন্তা করছে, আওয়ামী লীগ তা নিয়ে মাথা-ই ঘামাচ্ছে না। আওয়ামী লীগ দেশের উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে। দেশে সংবিধান অনুসারে সময়মতো শেখ হাসিনার অধীনেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আওয়ামী লীগ কখনোই আন্দোলনকে ভয় পায় না। কেউ অযৌক্তিক দাবি নিয়ে আন্দোলন করতে চাইলে রাজনৈতিকভাবেই তা মোকাবিলা করা হবে।’বাংলা ট্রিবিউনকে

Check Also

ভোমরা বন্দরে চার মাসে ৪০০ কোটি টাকা আয়

দক্ষিণবঙ্গ সাতক্ষীরার আধুনিক নিরাপদ ও পরিবেশ বান্ধব বাণিজ্যিককেন্দ্র ভোমরা স্থল বন্দর। আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ও দারিদ্র্য …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

***২০১৩-২০২৩*** © ক্রাইমবার্তা ডট কম সকল অধিকার সংরক্ষিত।